জানাযার বিধিবিধান জানাযার বিধিবিধান সংক্রান্ত ৭০টি প্রশ্ন শাইখ মুহাম্মাদ ইবন সালেহ আল-উসাইমীন রহ.
৫৯: ক্ববরের উপর লেখা অথবা ক্ববর রঙীন করার বিধান কি?
ক্ববর রঙীন করা ক্ববরকে চুনকাম বা প্লাস্টার করার মতই। আর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ক্ববরকে চুনকাম বা প্লাস্টার করতে নিষেধ করেছেন।[1] এছাড়া এটি মানুষের মধ্যে গর্ব–অহংকার সৃষ্টির একটি মাধ্যম। ফলে এর মাধ্যমে ক্ববরসমূহ অহংকারের স্থান হিসাবে পরিগণিত হবে। অতএব, তা পরিত্যাগ করা উচিৎ।
এমনিভাবে রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ক্ববরে লিখতে নিষেধ করেছেন।[2] তবে লেখা যদি কেবলমাত্র পরিচয় দানের উদ্দেশ্যে হয় এবং তাতে কোন প্রশাংসার উল্লেখ না থাকে, তাহলে সেক্ষেত্রে কতিপয় আলেম শিথিলতা প্রদর্শন করেছেন। তারা বলেছেন, লেখাতে যদি মৃত ব্যক্তির সম্মান প্রকাশ পায়, তাহলে তা রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম–এর নিষেধাজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত হবে। কেননা ক্ববরে লেখা থেকে নিষেধকে ক্ববর পাকা করা থেকে নিষেধের সাথে তুলনা করা হয়েছে।
[1]. হাদীছটি জাবের রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বর্ণনা করেন (মুসলিম, ‘জানাযা’ অধ্যায়, হা/৯৭০)।
[2]. জাবের রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, রাসূল (ছাঃ) ক্ববর পাকা করতে, ক্ববরে লিখতে, ক্ববরের উপর ভবন বানাতে এবং ক্ববর পদদলিত করতে নিষেধ করেছেন (আবূ দাঊদ, ‘জানাযা’ অধ্যায়, হা/১০৫২; ইবনু মাজাহ, ‘জানাযা’ অধ্যায়, হা/১৫৬২-১৫৬৪; শায়খ আলবানী (রহেমাহুল্লাহ) হাদীছটিকে ‘ছহীহ’ বলেছেন)।
[2]. জাবের রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, রাসূল (ছাঃ) ক্ববর পাকা করতে, ক্ববরে লিখতে, ক্ববরের উপর ভবন বানাতে এবং ক্ববর পদদলিত করতে নিষেধ করেছেন (আবূ দাঊদ, ‘জানাযা’ অধ্যায়, হা/১০৫২; ইবনু মাজাহ, ‘জানাযা’ অধ্যায়, হা/১৫৬২-১৫৬৪; শায়খ আলবানী (রহেমাহুল্লাহ) হাদীছটিকে ‘ছহীহ’ বলেছেন)।