হিংসা ও বদ নযর প্রতিরোধের জন্য রিং, সূতা ইত্যাদি হাতে, গলায় বা যানবাহনে ঝুলিয়ে রাখা শির্ক। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«مَنْ عَلَّقَ تَمِيمَةً فَقَدْ أَشْرَكَ»
“যে ব্যক্তি মাদুলি বা তাবিজ ঝুলাল, সে শির্ক করল” (মুসনাদে আহমাদ)। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেন,
«لاَ يُبْقَيَنَّ فِى رَقَبَةِ بَعِيرٍ قِلاَدَةٌ مِنْ وَتَرٍ وَلاَ قِلاَدَةٌ إِلاَّ قُطِعَتْ»
“কোনো উটের গলায় যদি মালা বা বালা জাতীয় কিছু থাকে, তাহলে তা কেটে ফেলতে হবে” (বুখারী)। তিনি আরো বলেন,
«مَنْ عَقَدَ لِحْيَتَهُ، أَوْ تَقَلَّدَ وَتَرًا، أَوْ اسْتَنْجَى بِرَجِيعِ دَابَّةٍ أَوْ عَظْمٍ، فَإِنَّ مُحَمَّدًا بَرِيءٌ مِنْهُ»
“যে ব্যক্তি তার দাড়িতে গিঁঠ দিল (পেঁচিয়ে রাখল) অথবা সূতার মালা পরিধান করল অথবা পশুর মল বা হাড্ডি দিয়ে ইস্তেনজা করল, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার জিম্মাদারী থেকে মুক্ত” (আহমাদ)। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেন,
«إِنَّ الرُّقَى وَالتَّمَائِمَ وَالتِّوَلَةَ شِرْكٌ»
“ঝাড়-ফুঁক এবং মাদুলি ও তেওয়ালা ব্যবহার করা শির্ক” (আবু দাউদ)। অন্য হাদীসে তিনি আরো বলেন,
«مَنْ عَلَّقَ تَمِيمَةً فَلاَ أَتَمَّ اللَّهُ لَهُ»
“যে ব্যক্তি মাদুলি ব্যবহার করবে, আল্লাহ তা'আলা তার উদ্দেশ্য পূর্ণ করবেন না” (ইবনে হিব্বান)।
হাদীসে ‘তেওয়ালা’ (التِّوَلَة) বলতে এমন বস্তুকে বুঝানো হয়েছে, যা স্বামীকে স্ত্রীর নিকটে অধিকতর প্রিয় করে বলে ধারণা করা হয়। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট।
আর ‘তামীমাহ’ (تَمِيمَة) বা ‘তামায়েম’ (تمَائِم) বলতে এমন জিনিসকে বুঝানো হয়েছে, যা সাধারণতঃ বাচ্চাদের গলায় হিংসা, বদনযর ইত্যাদি প্রতিরোধের জন্য ঝুলানো হয়। এটি নিছক শির্ক। কেননা আল্লাহ ছাড়া আর কেউ রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা রাখে না।