আমরা উপরে দেখেছি যে, কেউ যীশুকে তার রাজা বলে না মানলে তাকে হত্যা করতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। বাইবেল থেকে জানা যায় যে, যীশুকে প্রভু মানার পরেও সামান্য ভুলভ্রান্তির জন্যও তাঁর প্রেরিতরা বা সাহাবীরা বিশ্বাসী খ্রিষ্টানদের হত্যা করতেন। পিতর ও প্রেরিতদের ধর্মপ্রচার প্রসঙ্গে প্রেরিত পুস্তক লেখেছে:
‘‘তখন অননিয় নামে একজন লোক ও তার স্ত্রী সাফীয়া একটা সম্পত্তি বিক্রি করল। তার স্ত্রীর জানামতেই বিক্রির টাকার কিছু অংশ সে নিজের জন্য রেখে বাকী টাকা সাহাবীদের দিল। তখন পিতর বললেন, ‘‘অননিয়, কি করে শয়তান তোমার মন এমন ভাবে অধিকার করল যে, তুমি পাক রুহের কাছে মিথ্যা কথা বললে এবং জমি বিক্রির টাকা থেকে কিছু টাকা নিজের জন্য রেখে দিলে? বিক্রির আগে জমিটা কি তোমারই ছিল না? আর বিক্রির পরে টাকাগুলি কি তোমার হাতেই ছিল না? তবে তুমি কেন এমন কাজ করবে বলে ঠিক করলে? তুমি মানুষের কাছে মিথ্যা বল নি, কিন্তু আল্লাহর কাছে মিথ্যা কথা বলেছ।’’ এই কথা শোনামাত্র অননিয় মাটিতে পড়ে মারা গেল। এই ঘটনার কথা যারা শুনল তারা সবাই ভীষণ ভয় পেল। পরে যুবকেরা উঠে তার গায়ে কাফন দিয়ে জড়াল এবং বাইরে নিয়ে গিয়ে তাকে দাফন করল। এর প্রায় তিন ঘণ্টা পরে অননিয়ের স্ত্রী সেখানে আসল, কিন্তু কি ঘটেছে সে তা জানত না। তখন পিতর তাকে জিজ্ঞাসা করলেন,‘‘বল দেখি, তুমি আর অননিয় সেই জমিটা কি এত টাকাতে বিক্রি করেছিলে?’’ সে বলল, ‘‘জী এত টাকাতেই।’’ তখন পিতর তাকে বললেন, ‘‘মাবুদের রুহকে পরীক্ষা করবার জন্য কেন তোমরা একমত হলে? দেখ, যে লোকেরা তোমার স্বামীকে দাফন করেছে তারা দরজার কাছে এসে পৌঁছেছে, আর তারা তোমাকেও বাইরে নিয়ে যাবে। সাফীয়া তখনই পিতরের পায়ের কাছে পড়ে মারা গেল। আর ঐ যুবকেরা ভিতরে এসে তাকে মৃত অবস্থায় দেখল এবং তাকে বাইরে নিয়ে গিয়ে তার স্বামীর পাশে দাফন করল। তখন জামাতের সব লোক এবং অন্য যারা সেই কথা শুনল সবাই ভীষণ ভয় পেল।’’ ( প্রেরিত ৫/১-১১, মো.-০৬)
সুপ্রিয় পাঠক, সবাইয়ের মত আপনিও কি ভয় পাচ্ছেন না? কোনো ধর্ম কি এত ভয়ঙ্কর ও ভয়াবহ হতে পারে? এভাবেই কি নরহত্যার মাধ্যমে অলৌকিকত্ব প্রমাণ হয়? ঈশ্বর কি এতই ভয়ঙ্কর সে সামান্যতম ভুল, লোভ বা মিথ্যার জন্য এভাবে হত্যা করেন?