ইহুদিদের নিয়ম ছিল আহারের পূর্বে হাত ধোয়া। যীশুর শিষ্যরা এ নিয়ম ভঙ্গ করেন। তাঁরা হাত না ধুয়েই আহার করতেন। এ বিষয়ে যীশুর কাছে প্রতিবাদ করা হলে তিনি শিষ্যদের কর্ম সমর্থন করেন: ‘‘জেরুজালেম থেকে কয়েকজন ফরীশী ও আলেম ঈসার কাছে এসে বললেন, পুরানো দিনের আলেমদের দেওয়া যে নিয়ম চলে আসছে, আপনার সাহাবীরা তা মেনে চলেন না কেন? খাওয়ার আগে তারা হাত ধোয় না। জবাবে ঈসা বলেন..... আমার কথা শুনুন ও বুঝুন। মুখের ভিতর যা যায় তা মানুষকে নাপাক করে না, কিন্তু মুখের ভিতর থেকে যা বের হয়ে আসে তা-ই মানুষকে নাপাক করে। ... অন্তর থেকেই খারাপ চিন্তা, খুন, সব রকম জেনা, চুরি, মিথ্যা সাক্ষ্য ও নিন্দা বের হয়ে আসে। এই সবই মানুষকে নাপাক করে, কিন্তু হাত না ধুয়ে খেলে মানুষ নাপাক হয় না।’’ (মথি ১৫/১-৩ ও ১০-২০, মো.-০৬)
এটা কি কোনো বিবেকবান ধর্মগুরুর শিক্ষা? অন্তরের পাপের ভয়াবহতা বুঝাতে কি পরিচ্ছন্নতার বিরোধিতা করতে হবে? পরিচ্ছন্নতা ও অন্তরের পবিত্রতা কি একত্র হতে পারে না? ভাল খ্রিষ্টান হওয়ার জন্য কি কোনো খ্রিষ্টান হাত না ধুয়ে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলবেন? আপনার সন্তানদেরকে কি যীশুর এ শিক্ষা প্রদান করবেন? যদি কোনো সন্তান ইঞ্জিল পড়ে এ শিক্ষা দ্বারা প্রভাবিত হয়ে এটা পালন শুরু করে তবে যীশু প্রেমিক খ্রিষ্টান পিতামাতা কি তা মেনে নেবেন? পছন্দমত যীশুর কোনো শিক্ষা আক্ষরিকভাবে গ্রহণ এবং কোনো শিক্ষা ব্যাখ্যাপূর্বক বাদ দেওয়া কি যীশুর প্রকৃত দাস হওয়ার সঠিক লক্ষণ?[1]