প্রথমত: আযান
আযান ও ইকামাত দেওয়া সুন্নাত। আযান দেওয়া অতীব সাওয়াবের কাজ। রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন,
(ক) “আযান দেওয়া ও প্রথম কাতারে দাড়িয়ে সালাত আদায় করার ফযীলত কত, লোকেরা যদি তা জানত তাহলে এর জন্য লটারি করা ছাড়া আর কোন উপায় ছিল না” (বুখারী: ৬১৫)।
(খ) “কিয়ামতের দিন মুয়াযযিনের গর্দান হবে লম্বা” (মুসলিম)। তার এ উঁচু দেহ হবে তার জন্য সম্মানের কারণ।
(গ) “মুয়াযিনের আযান যে কোন মানুষ, জিন বা অন্যেরা শুনতে পাবে তারা সকলেই কিয়ামতের দিন মুয়াযযিনের জন্য (তার পক্ষে) সাক্ষ্য দেবে” (বুখারী: ৬০৯)।
(ঘ) “আযান দেওয়ার সাথে সাথে শয়তান দূরে গিয়ে পালায়” (মুসলিম)।
(ঙ) “মুয়াযযিনকে তার আওয়াজের দূরত্ব পরিমাণ (গুনাহ) ক্ষমা করে দেওয়া হয় এবং শুকনো ও ভিজা যত কিছু (মুয়াযযিনের) শব্দ শুনে, তারা সবাই তাকে সত্যবাদী বলে ঘোষণা দেয়। আর তার সাথে সালাত আদায়কারীদের সমপরিমাণ পুরস্কার তাকে দেওয়া হয়। (মুসলিম: ৬৪৬)।
(চ) রাসূল (স) এভাবে তাদের জন্য দু'আ করেছেন, “হে আল্লাহ! ইমামদের সঠিক পথ প্রদর্শন কর এবং মুয়াযযিনদেরকে ক্ষমা করে দাও” (আবু দাউদ: ৫১৭)।
(ছ) আযানদাতাকে আল্লাহ মাফ করে দেবেন এবং জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। (আবু।দাউদ: ১২০৩)