১। আরবী সাহিত্যের উলামাগণ উল্লেখ করেন যে, উক্ত আয়াতে আল্লাহ তাআলা (না’বুদু ও নাসতাঈন) ক্রিয়ার পূর্বে (ইয়্যা-কা) কর্মকারককে অগ্রে উল্লেখ করেছেন যাতে ইবাদত কেবল তারই জন্য ও সাহায্য প্রার্থনা কেবল তারই নিকট নিরূপিত হয় এবং তা কেবল তারই মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়।
২। অত্র আয়াত শরীফটি - যা মুসলিম নামাযে ও তার বাইরে প্রত্যহ বহুবার আবৃত্তি করে থাকে তা -সূরা ফাতিহার সারাংশ এবং সূরা ফাতিহা সমগ্র কুরআন মাজীদের সারাংশ ও নির্যাস।
৩। অত্র আয়াতে ইবাদত কথাটি ব্যাপক। যাতে সর্বপ্রকার ইবাদত ও উপাসনা যেমন নামায, ন্যর, যবেহ এবং বিশেষ করে দুআকে বুঝানো হয়েছে। যেহেতু নবী (সা.) বলেন, “দুআই হচ্ছে ইবাদত।” (তিরমিযী, আর তিনি এটিকে হাসান সহীহ বলেছেন)।
সুতরাং নামায যেমন এক প্রকার ইবাদত; যা কোন রসূল অথবা ওলীর জন্য নিবেদন করা বৈধ নয়, তেমনি দুআ (প্রার্থনা করা ও বিপদে ফরিয়াদ করা)ও এক প্রকার ইবাদত যা গায়রুল্লাহর জন্য নিবেদন করা অবৈধ। বরং তা শুধুমাত্র আল্লাহর জন্যই নির্দিষ্ট। তিনি বলেন,
قُلْ إِنَّمَا أَدْعُو رَبِّي وَلَا أُشْرِكُ بِهِ أَحَدًا
অর্থাৎ, বল, 'আমি আমার প্রতিপালককেই কেবল ডাকি এবং তার সহিত অন্য কাউকেও শরীক করি না।' (সূরা জিন ২০ আয়াত)
৪। প্রিয় রসূল (সা.) বলেন, “মাছের উদরে অবস্থানকালে যুননুন (ইউনূস (আঃ) যে দুআ করেছিলেন সেই দুআ হল,
لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِينَ
(অর্থাৎ, তুমি ব্যতীত কেউ সত্য উপাস্য নেই, তুমি পবিত্র। আমি নিশ্চয় অত্যাচারীদের দলভুক্ত।) কোন মুসলিম যদি এই দুআ দ্বারা কখনো প্রার্থনা করে তবে আল্লাহ অবশ্যই তা মঞ্জুর করেন। (হাকেম হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন এবং যাহাবী এতে একমত হয়েছেন।