এক শ্রেণীর পীর, দরবেশ, ফকীর বা সুফীদের দাবী যে, তাদের নিকট নাকি বহু বিষয়ে আল্লাহর তরফ থেকে কাশ্য হয়; যেমন আল্লাহর নবীর প্রতি অহী হতো। আবার অনেকে স্বপ্নে বা জাগ্রতাবস্থায় আল্লাহ অথবা তাঁর সহিত সাক্ষাৎ করে সরাসরি দ্বীনী ও নাজাতের জ্ঞান এবং পথ অর্জন করে থাকে। আর এর হাওয়ালায় নতুন-নতুন দ্বীনী আচার-অনুষ্ঠান আবিষ্কার করে থাকে। শুধু তাই নয় বরং তারা এই নিয়ে গর্বও করে, তাদের ঐ জ্ঞান (?)কে কিতাব ও সুন্নাহর জ্ঞানের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দেয়, কিতাব ও সুন্নাহর আলেমের প্রতি কুটি হেনে বলে, তোমাদের সনদ (বর্ণনা সুত্র) তো এক মৃত ব্যক্তি হতে অপর এক মৃত ব্যক্তি। কিন্তু আমরা সরাসরি আল্লাহ। রব্বল আলামীনের নিকট হতে ইলম গ্রহণ করে থাকি। তাই তাদের সনদে তারা বলে, আমার প্রভু হতে আমার হৃদয় আমাকে বয়ান করেছে যে,
বলে, তোমাদের কিতাবী ইম, আর আমাদের কালবী ইম; কলবে কলবে বাতেনী ইলম! মৌলভীরা তো পানারি পাতার মত পানির (ইলমের) উপর ভেসে বেড়ায়, আমরা পানির (ইলমে) গভীরে প্রবেশ করি ---- ইত্যাদি বুলি আওড়ে কিতাব ও সুন্নাহ ছেড়ে দ্বীনী বিধানের তৃতীয় উৎসরূপে তাদের মনের মানস কল্পনা ও ভাবাবেগকে শ্রেষ্ঠ কারামত বলে জাহির করে এবং বহু অজ্ঞ তাদের সেই কাল্পনিক কথার অনুসরণ করে নিজেদেরকে কৃতার্থ মনে করে অথচ তারাই সর্বনাশগ্রস্ত বিদআতী।