উপরোল্লিখিত আলোচনায় বুঝা যায়, নারীরা অধিকাংশ জাহান্নামী হবে। তার মানে কিন্তু এই নয় যে, জান্নাতে নারীর সংখ্যা কম হবে। আসলে জান্নাতে জান্নাতী হুরীদেরকে নিয়ে নারীর সংখ্যাই অধিক হবে। অবশ্য এ কথাও সত্য যে, দুনিয়ার মহিলাদের অধিকাংশ জাহান্নামী হবে।
মহানবী (ﷺ) বলেছেন, “(জান্নাতে) জান্নাতীদের পাত্র হবে স্বর্ণের, তাদের গায়ের ঘাম হবে কস্তুরীর ন্যায় সুগন্ধময়। তাদের প্রত্যেকের জন্য এমন দু’জন স্ত্রী থাকবে, যাদের সৌন্দর্যের দরুন মাংস ভেদ করে পায়ের নলার হাড়ের মজ্জা দেখা যাবে।” (বুখারী-মুসলিম)
সুতরাং পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা দ্বিগুণ হবে জান্নাতে। আর জাহান্নামেও পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা বেশী হবে। তবে তারা সবাই হবে দুনিয়ার মেয়ে।
মহানবী (ﷺ) বলেন, “তোমাদের সবচেয়ে খারাপ মেয়ে তারা, যারা বেপর্দা, অহংকারী, তারা কপট নারী, তাদের মধ্যে লাল রঙের ঠোট ও পা বিশিষ্ট কাকের মত (বিরল) সংখ্যক বেহেশ্তে যাবে।” (বাইহাকী)
ভাববার বিষয় যে, দুনিয়াতে এই শ্রেণীর মহিলাই বেশী। আরো যে কারণে মহিলারা অধিকাংশ জাহান্নামে যাবে, তাও তাদের মাঝে কম নয়।
একদা নবী (ﷺ) (মহিলাদেরকে সম্বােধন করে) বললেন, “হে মহিলা সকল! তোমরা সাদকাহ-খয়রাত করতে থাক ও অধিকমাত্রায় ইস্তিগফার কর। কারণ আমি তোমাদেরকে জাহান্নামের অধিকাংশ অধিবাসীরূপে দেখলাম।” একজন মহিলা নিবেদন করল, আমাদের অধিকাংশ জাহান্নামী হওয়ার কারণ কী? হে আল্লাহর রসূল!' তিনি বললেন, “তোমরা অভিশাপ বেশি কর এবং নিজ স্বামীর অকৃতজ্ঞতা কর। বুদ্ধি ও ধর্মে অপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও বিচক্ষণ ব্যক্তির উপর তোমাদের চাইতে আর কাউকে বেশি প্রভাব খাটাতে দেখিনি।” মহিলাটি আবার নিবেদন করল, বুদ্ধি ও ধর্মের ক্ষেত্রে অপূর্ণতা কী? তিনি বললেন, “দু’জন নারীর সাক্ষ্য একটি পুরুষের সাক্ষ্য সমতুল্য। (প্রসবোত্তর খুন ও মাসিক আসার) দিনগুলিতে মহিলা নামায পড়া বন্ধ রাখে।” (মুসলিম)।
মহানবী (ﷺ) বলেন, “আমি দেখলাম, জাহান্নামের অধিকাংশ অধিবাসিনীহল মহিলা।” সাহাবাগণ জিজ্ঞাসা করলেন, তা কী জন্য হে আল্লাহর রসূল?’ বললেন, “তাদের কুফরীর জন্য।” তাঁরা বললেন, 'আল্লাহর সাথে কুফরী? তিনি বললেন, “(না, তারা স্বামীর কুফরী (অকৃতজ্ঞতা) ও নিমকহারামি করে। তাদের কারো প্রতি যদি সারা জীবন এহসানী কর, অতঃপর সে যদি তোমার নিকট সামান্য ত্রুটি লক্ষ্য করে, তাহলে বলে বসে, তোমার নিকট কোন মঙ্গল দেখলাম না আমি!” (বুখারী, মুসলিম)