কুরআন কারীমে বলা হয়েছে, জান্নাতীরা জান্নাতের ওয়ারেস হবে।
أُولَٰئِكَ هُمُ الْوَارِثُونَ (10) الَّذِينَ يَرِثُونَ الْفِرْدَوْسَ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ (11)
অর্থাৎ, তারাই হবে উত্তরাধিকারী। উত্তরাধিকারী হবে ফিরদাউসের; যাতে তারা চিরস্থায়ী হবে। (মু’মিনুনঃ ১০-১১)
وَتِلْكَ الْجَنَّةُ الَّتِي أُورِثْتُمُوهَا بِمَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ
অর্থাৎ, এটিই জান্নাত, তোমরা তোমাদের কর্মের ফলস্বরূপ যার অধিকারী হয়েছ। (যুখরুফঃ ৭২)
تِلْكَ الْجَنَّةُ الَّتِي نُورِثُ مِنْ عِبَادِنَا مَن كَانَ تَقِيًّا
অর্থাৎ, এ হল সেই জান্নাত যার অধিকারী করব আমি আমার দাসদের মধ্যে সংযমশীলকে। (মারয়ামঃ ৬৩)।
وَقَالُوا الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي صَدَقَنَا وَعْدَهُ وَأَوْرَثَنَا الْأَرْضَ نَتَبَوَّأُ مِنَ الْجَنَّةِ حَيْثُ نَشَاءُ ۖ فَنِعْمَ أَجْرُ الْعَامِلِينَ
অর্থাৎ, তারা (প্রবেশ করে) বলবে, প্রশংসা আল্লাহর, যিনি আমাদেরকে দেওয়া তাঁর প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করেছেন এবং আমাদেরকে এ ভূমির অধিকারী করেছেন; আমরা জান্নাতে যথা ইচ্ছা বসবাস করব। সদাচারীদের পুরস্কার কত উত্তম!' (যুমারঃ ৭৪)।
কিন্তু ওয়ারেস মানেই মুওয়ারিস আছে। আর সেই মুওয়ারিস হল কাফেরদল। যেহেতু তারা জান্নাতের হকদার হতে পারত, কিন্তু নিজেদের দোষে সেই হক থেকে বঞ্চিত হয়ে জাহান্নামে যাবে। আর তাদের জায়গার উত্তরাধিকারী বানানো হবে মুসলিমগণকে।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, “কিয়ামতের দিন আল্লাহ প্রত্যেক মুসলমানকে একজন ইয়াহুদী অথবা খৃষ্টানকে দিয়ে বলবেন, এই তোমার জাহান্নাম থেকে বাঁচার মুক্তিপণ।” (মুসলিম)
এ কথার অর্থ অন্য এক হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, প্রত্যেকের জন্য বেহেস্তে একটি নির্দিষ্ট স্থান আছে এবং দোযখেও আছে। সুতরাং মু’মিন যখন বেহেশ্তে প্রবেশ করবে, তখন দোযখে তার স্থলাভিষিক্ত হবে কাফের। (ইবনে মাজাহ)
যেহেতু সে তার কুফরীর কারণে তার উপযুক্ত। আর 'মুক্তিপণ' অর্থ এই যে, তুমি দোযখের সম্মুখীন ছিলে; কিন্তু এটি হল তোমার মুক্তির বিনিময়। যেহেতু মহান আল্লাহ দোযখ ভরতি করার জন্য একটি সংখ্যা নির্ধারিত রেখেছেন। সুতরাং তারা যখন তাদের কুফরী ও পাপের কারণে সেখানে প্রবেশ করবে, তখন তারা হবে মুমিনদের মুক্তিপণ। আর মুমিনরা হবে কাফেরদের ওয়ারেস।