উত্তরঃ পার্থিব লেন-দেনের মধ্যে বিদআত হচ্ছে তাতে এমন শর্ত জড়িয়ে দেয়া, যা না আছে আল্লাহর কিতাবে এবং না আছে রাসূলের সুন্নাতে। যেমন আযাদকারী ব্যতীত অন্য কারো জন্য আযাদকৃত গোলামের পরিত্যক্ত সম্পদের মালিক হওয়ার শর্ত লাগানো। যেমন বারীরার ঘটনায় এসেছে, যখন তার পরিবারের লোকেরা শর্ত করল যে, বারীরার মৃত্যুর পর তারা তার সম্পদের মালিক হবে। একথা শুনে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দাঁড়িয়ে আল্লাহর প্রশংসা করলেন এবং তাঁর গুণাগুণ বর্ণনা করার পর বললেনঃ
فَمَا بَالُ رِجَالٍ مِنْكُمْ يَشْتَرِطُونَ شُرُوطًا لَيْسَتْ فِي كِتَابِ اللَّهِ فَأَيُّمَا شَرْطٍ لَيْسَ فِي كِتَابِ اللَّهِ فَهُوَ بَاطِلٌ وَإِنْ كَانَ مِائَةَ شَرْطٍ فَقَضَاءُ اللَّهِ أَحَقُّ وَشَرْطُ اللَّهِ أَوْثَقُ مَا بَالُ رِجَالٍ مِنْكُمْ يَقُولُ أَحَدُهُمْ أَعْتِقْ يَا فُلاَنُ وَلِيَ الْوَلاَءُ إِنَّمَا الْوَلاَءُ لِمَنْ أَعْتَقَ
‘‘লোকদের কি হল? তারা এমন এমন বিষয়ের শর্ত লাগায়, যা আল্লাহর কিতাবে নেই। যেসমস্ত শর্ত আল্লাহর কিতাবে নেই তা বাতিল বলে গণ্য হবে। যদিও একশটি শর্ত লাগান,হোক না কেন। কেননা আল্লাহর ফয়সালাই অধিক সত্য। তাঁর শর্তই অধিক মজবুত। তোমাদের কতিপয় লোকের কি হল? তাদের কেউ বলেঃ হে অমুক! তুমি গোলাম আযাদ কর। তবে তার পরিত্যক্ত সম্পদ আমার হবে। শুনে রাখ! মূলতঃ আযাদকারীর জন্যই পরিত্যক্ত সম্পদ নির্ধারিত হবে’’।[1] অনুরূপভাবে যে শর্তটি কোন হারামকে হালাল করবে কিংবা কোন হালালকে হারাম করবে তাও বিদআত ও বাতিল বলে গন্য হবে।