উত্তরঃ হ্যাঁ, যার উপর হদ্দ তথা শরীয়তের দন্ডবিধি কায়েম করা হবে তার জন্য উক্ত হদ্দ গুনাহের কাফ্ফারা হবে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একদল সাহাবীর সামনে বলেনঃ
بَايِعُونِي عَلَى أَنْ لاَ تُشْرِكُوا بِاللَّهِ شَيْئًا وَلاَ تَسْرِقُوا وَلاَ تَزْنُوا وَلاَ تَقْتُلُوا أَوْلاَدَكُمْ وَلاَ تَأْتُوا بِبُهْتَانٍ تَفْتَرُونَهُ بَيْنَ أَيْدِيكُمْ وَأَرْجُلِكُمْ وَلاَ تَعْصُوا فِي مَعْرُوفٍ فَمَنْ وَفَى مِنْكُمْ فَأَجْرُهُ عَلَى اللَّهِ وَمَنْ أَصَابَ مِنْ ذَلِكَ شَيْئًا فَعُوقِبَ فِي الدُّنْيَا فَهُوَ كَفَّارَةٌ لَهُ وَمَنْ أَصَابَ مِنْ ذَلِكَ شَيْئًا ثُمَّ سَتَرَهُ اللَّهُ فَهُوَ إِلَى اللَّهِ إِنْ شَاءَ عَفَا عَنْهُ وَإِنْ شَاءَ عَاقَبَهُ فَبَايَعْنَاهُ عَلَى ذَلِك)
‘‘তোমরা আমার কাছে এই বিষয়ের উপর বায়আত কর যে, তোমরা আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করবে না, চুরি করবে না, ব্যভিচার করবে না, তোমাদের সন্তানদেরকে হত্যা করবে না, কাউকে মিথ্যা অপবাদ দিবে না এবং ভাল কাজে নাফরমানী করবে না। তোমাদের মধ্যে হতে যে ব্যক্তি এ কাজগুলো পূর্ণ করবে, সে আল্লাহর কাছে পুরস্কার পাবে। যে ব্যক্তি উপরোক্ত অপরাধগুলোর কোন একটিতে লিপ্ত হবে, অতঃপর তাকে দুনিয়াতে শাস্তি দেয়া হলে এই শাস্তিই তার গুনাহের জন্যে কাফ্ফারা স্বরূপ হবে। আর কোন ব্যক্তি উক্ত গুনাহ্গুলোর কোন একটিতে লিপ্ত হলে আল্লাহ্ যদি তা গোপন রাখেন, তবে তা পরকালে আল্লাহর ইচ্ছাধীন থাকবে। ইচ্ছা করলে তিনি তাকে ক্ষমা করে দিবেন। আর ইচ্ছা করলে শাস্তি দিবেন। তবে শির্ক ব্যতীত অন্যান্য গুনাহের ক্ষেত্রে এ হুকুম। হাদীছের বর্ণনাকারী উবাদা ইবনে সামিত বলেনঃ আমরা উপরোক্ত কথাগুলোর উপর বায়আত করলাম।[1]