প্রশ্নঃ (১৬০) এবাদতের মধ্যে ‘ইহসান’ কাকে বলে?

উত্তরঃ জিবরীল (আঃ) যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে জিজ্ঞেস করলেন, আমাকে ইহসান সম্পর্কে বলুনঃ তখন তিনি বললেনঃ

(أَنْ تَعْبُدَ اللَّهَ كَأَنَّكَ تَرَاهُ، فَإِنْ لَمْ تَكُنْ تَرَاهُ فَإِنَّهُ يَرَاكَ)

‘‘ইহসান হল, এমন ভাবে তুমি আল্লাহ্ তাআলার এবাদত করবে যেন তাঁকে তুমি দেখতে পাচ্ছ। যদি তাঁকে দেখতে না পাও তবে বিশ্বাস করবে যে, তিনি তোমাকে অবশ্যই দেখছেন’’।[1] সুতরাং নবী সাল্ল­াল্ল­াহু আলাইহি ওয়া সাল­ামএর বিবরণ থেকে বুঝা যাচ্ছে যে, ইহ্সানের দু’টি স্তর রয়েছে। প্রথম স্তরটি হচ্ছে, আপনি অন্তর দিয়ে এ বিশ্বাসে আল্লাহর এবাদত করবেন, যেন আপনি আল্লাহকে দেখতে পাচ্ছেন। এটি হচ্ছে আল্লাহকে চাক্ষুষ দর্শনের স্তর। তা হল, বান্দা অন্তর দিয়ে আল্লাহকে দেখার দাবী অনুযায়ী তাঁর এবাদত করবে এবং ঈমানের মাধ্যমে অন্তরকে এমন আলোকিত করবে, যাতে অনুপস্থিত বস্ত্তকেও তার সামনে উপস্থিত দেখতে পাবে। এটিই হচ্ছে ইহসানের আসল স্তর। আর দ্বিতীয় স্তরটি হচ্ছে, মুরাকাবার স্তর। তা হচ্ছে বান্দা এতটুকু আন্তরিকতা নিয়ে আমল করবে যে, সে মনে করবে আল্লাহ্ তাকে দেখছেন, তার প্রত্যেক আমল সম্পর্কে অবগত আছেন এবং তার অতি নিকটেই আছেন। কেননা বান্দা যখন এবাদতে এই পরিমাণ মনোযোগ তৈরী করবে, তখন ইবাদতে একনিষ্ঠ হবে। তার এই মনোযোগ তাকে আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য দিকে দৃষ্টিপাত করা হতে এবং আমলের মাধ্যমে আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কিছু কামনা করা হতে বিরত রাখবে।

>
[1] - বুখারী, মুসলিম, অধ্যায়ঃ কিতাবুল ঈমান।