উত্তরঃ উক্ত বাক্যটি অস্বীকার করা বা সমর্থন করা কোনটিই জায়েয নেই। কেননা لَفْظ কথাটির দু’টি অর্থ আছে। (১) মুখ দিয়ে উচ্চারণ করা। এটি বান্দার কাজ। (২) মুখ দিয়ে উচ্চারণকৃত কালাম। আর তা হচ্ছে কুরআন।
উপরোক্ত কথাটি যদি কুরআন মাখলুক হওয়ার মত পোষণকারীর মুখ থেকে বের হয়, তাহলে দ্বিতীয় অর্থ বুঝাবে। তখন অর্থ এই হবে যে, আমি যেই শব্দগুলো জবানের মাধ্যমে আদায় করছি, তা মাখলুক। অর্থাৎ কুরআন। তার কথাটি জাহমীয়াদের কথার মতই হবে, যারা শব্দের মাধ্যমে পাঠকৃত কুরআনকে মাখলুক বলে।
আর তা যদি তাদের মুখ থেকে বের হয়, যারা বলে শব্দের মাধ্যমে পাঠকৃত কুরআন মাখলুক নয়, তবে প্রথম অর্থ হবে, যা বান্দার কর্ম। আর এটি হবে এত্তেহাদী সম্প্রদায়ের বিদআতসমূহের অন্যতম একটি বিদআত।
এ জন্যই সালফে সালেহীন তথা পূর্বযুগের সৎকর্মপরায়ণ ব্যক্তিগণ বলেনঃ যে ব্যক্তি এ কথা বলবে যে, শব্দের মাধ্যমে আমার পাঠকৃত কুরআন মাখলুক, সে কুরআনকে মাখলুকই বলল এবং সে জাহমী। আর যে বলবে শব্দের মাধ্যমে পাঠকৃত কুরআন মাখলুক নয়, সে বিদআতী।
মোটকথা এই যে, কুরআনকে মাখলুক হিসাবে সাব্যস্ত করা কিংবা তাকে মাখলুক সাব্যস্ত না করা- কোন ক্ষেত্রেই উপরোক্ত বাক্যটি ব্যবহার করা জায়েয নয়।