উত্তরঃ কুরআন সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ আসমানী কিতাব। আল্লাহ তাআ’লা পূর্ববর্তী কিতাবসমূহের তুলনায় কুরআনের মর্যাদা সম্পর্কে বলেনঃ
وَأَنْزَلْنَا إِلَيْكَ الْكِتَابَ بِالْحَقِّ مُصَدِّقًا لِمَا بَيْنَ يَدَيْهِ مِنَ الْكِتَابِ وَمُهَيْمِنًا عَلَيْهِ
‘‘আর আমি এ কিতাবকে সত্যতার সাথে আপনার প্রতি নাযিল করেছি, যা সত্যায়ন করে পূর্ববর্তী কিতাবসমূহের এবং ঐ সব কিতাবের সংরক্ষকও বটে’’। (সূরা মায়িদাঃ ৪৮) আল্লাহ তা’আলা আরো বলেনঃ
وَمَا كَانَ هَذَا الْقُرْآنُ أَنْ يُفْتَرَى مِنْ دُونِ اللَّهِ وَلَكِنْ تَصْدِيقَ الَّذِي بَيْنَ يَدَيْهِ وَتَفْصِيلَ الْكِتَابِ لاَ رَيْبَ فِيهِ مِنْ رَبِّ الْعَالَمِينَ
‘‘আর এই কুরআন কল্পনাপ্রসূত নয় যে, আল্লাহ ছাড়া অন্য কেউ তা বানিয়ে নিবে। এটা তো সেই কিতাবের সত্যতা প্রমাণকারী যা ইতিপূর্বে নাযিল হয়েছে এবং সে সমস্ত বিষয়ের বিশ্লেষণ দান করে যা আপনার প্রতি নাযিল করা হয়েছে। এতে কোন সন্দেহ নেই। এটা বিশ্বপ্রতিপালকের পক্ষ হতে নাযিল হয়েছে। (সূরা ইউনুসঃ ৩৭) আল্লাহ্ তাআ’লা আরো বলেনঃ
مَا كَانَ حَدِيثًا يُفْتَرَى وَلَكِنْ تَصْدِيقَ الَّذِي بَيْنَ يَدَيْهِ وَتَفْصِيلَ كُلِّ شَيْءٍ وَهُدًى وَرَحْمَةً لِقَوْمٍ يُؤْمِنُونَ
‘‘এটা কোন মনগড়া কথা নয়, কিন্তু মু’মিন সম্প্রদায়ের জন্য পূর্বেকার কালামের সমর্থন এবং সমস্ত কিছুর বিবরণ, হেদায়াত ও রহমত’’। (সূরা ইউসুফঃ ১১১)
মুফাস্সিরগণ বলেনঃ কুরআন হচ্ছে, পূর্বেকার কিতাবসমূহের সাক্ষী ও সত্যায়নকারী। অর্থাৎ সেগুলোর মধ্যে যে সত্য ও সঠিক কথা আছে, তা সত্যায়ন করে এবং তাতে যে বিকৃতি ও পরিবর্তন সাধিত হয়েছে, তা প্রত্যাখ্যান করে। এমনিভাবে পূর্বের কিতাবগুলোতে যেসমস্ত বিবরণ আছে কুরআন হয়ত রহিত করে অথবা তাতে যেসমস্ত সঠিক কথা আছে সেগুলোকে বহাল ও প্রতিষ্ঠিত রাখে। আল্লাহ্ তাআ’লা বলেনঃ
الَّذِينَ آتَيْنَاهُمُ الْكِتَابَ مِنْ قَبْلِهِ هُمْ بِهِ يُؤْمِنُونَ * وَإِذَا يُتْلَى عَلَيْهِمْ قَالُوا آمَنَّا بِهِ إِنَّهُ الْحَقُّ مِنْ رَبِّنَا إِنَّا كُنَّا مِنْ قَبْلِهِ مُسْلِمِينَ
‘‘এর (কুরআনের) পূর্বে আমি যাদেরকে কিতাব দিয়েছি, তারা এতে বিশ্বাস করে। যখন তাদের কাছে এটা পাঠ করা হয়, তখন তারা বলেঃ আমরা এর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করলাম। এটা আমাদের প্রতিপালকের পক্ষ হতে আগত সত্য। আমরা এর পূর্বেও ছিলাম মুসলমান’’। (সূরা কাসাসঃ ৫২-৫৩)