উত্তরঃ কুরআন মজীদে আল্লাহর অসংখ্য সিফাতে ফে’লীয়ার বর্ণনা রয়েছে, যা বর্ণনা করে শেষ করা যাবে না। নিম্নে কতিপয় সিফাতের উদাহরণ পেশ করা হল। আল্লাহ্ তা’আলার বাণীঃ
ثُمَّ اسْتَوَى إِلَى السَّمَاءِ فَسَوَّاهُنَّ سَبْعَ سَمَوَاتٍ
‘‘অতঃপর তিনি আকাশের প্রতি মনোনিবেশ করেন এবং সপ্ত আকাশ সুবিন্যস্ত করেন’’। (সূরা বাকারাঃ ২৯) আল্লাহ্ তা’আলার বাণীঃ
هَلْ يَنظُرُونَ إِلَّا أَنْ يَأْتِيَهُمْ اللَّهُ فِي ظُلَلٍ مِنْ الْغَمَام
‘‘তারা শুধু এই অপেক্ষাই করছে যে, আল্লাহ্ তা’আলা সাদা মেঘমালা ছায়াতলে তাদের নিকট সমাগত হবেন’’। (সূরা বাকারাঃ ২১০ আল্লাহ্ তা’আলার বাণীঃ
وَمَا قَدَرُوا اللَّهَ حَقَّ قَدْرِهِ وَالأَرْضُ جَمِيعًا قَبْضَتُهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَالسَّموَاتُ مَطْوِيَّاتٌ بِيَمِينِهِ
‘‘তারা আল্লাহর যথাযথ সম্মান করে না। সমস্ত পৃথিবী কিয়ামতের দিন থাকবে তার হাতের মুষ্ঠিতে এবং আকাশমন্ডলী থাকবে ভাজকৃত তাঁর ডান হাতে’’। (সূরা যুমারঃ ৬৭) আল্লাহ্ তা’আলার বাণীঃ
قَالَ يَاإِبْلِيسُ مَا مَنَعَكَ أَنْ تَسْجُدَ لِمَا خَلَقْتُ بِيَدَيَّ أَاسْتَكْبَرْتَ أَمْ كُنتَ مِنْ الْعَالِينَ
‘‘আল্লাহ্ বললেনঃ হে ইবলীস! আমি নিজ হাতে যাকে সৃষ্টি করেছি, তাঁর সম্মুখে সিজদা করতে তোমাকে কিসে বাধা দিল? তুমি অহংকার করলে? না তুমি তাঁর চেয়ে উচ্চ মর্যাদা সম্পন্ন?’’ (সূরা সোয়াদঃ ৭৫) আল্লাহ্ তাআলা আরো বলেনঃ
وَكَتَبْنَا لَهُ فِي الْأَلْوَاحِ مِنْ كُلِّ شَيْءٍ مَوْعِظَةً وَتَفْصِيلًا لِكُلِّ شَيْءٍ
‘‘আর আমি মুসার জন্য ফলকের উপর প্রত্যেক প্রকারের উপদেশ এবং সর্ববিষয়ের সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা লিখে দিয়েছি’’। (সূরা আ’রাফঃ ১৪৫) আল্লাহ্ তাআলা আরো বলেনঃ
فَلَمَّا تَجَلَّى رَبُّهُ لِلْجَبَلِ جَعَلَهُ دَكًّا
‘‘অতঃপর যখন তাঁর প্রতিপালক পাহাড়ের উপর আলোক সম্পাৎ করলেন, তখন তা পাহাড়কে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দিল’’। (সূরা আ’রাফঃ ১৪৩) আল্লাহ্ তাআলা আরো বলেনঃ
إِنَّ اللَّهَ يَفْعَلُ مَا يَشَاءُ)
‘‘নিশ্চয়ই আল্লাহ্ যা ইচ্ছা তাই করেন’’। (সূরা হজ্জঃ ১৮)