উত্তরঃ আল্লাহ্ তা’আলার জন্য ব্যবহৃত হওয়ার দিক থেকে গুণবাচক নামগুলো দুই প্রকার। যথাঃ (১) যে সমস্ত নাম আল্লাহর জন্য এককভাবে অথবা অন্য একটি গুণবাচক নামের সাথে যুক্ত হয়ে ব্যবহৃত হয়। আর এগুলো ঐ সমস্ত নাম, তা যেভাবেই বলা হোক না কেন, তার দ্বারা আল্লাহর সিফাতে কামাল তথা পরিপূর্ণ গুণ বুঝায়। যেমন حَيُّ (চিরঞ্জীব) قَيُّوم (সব কিছুর ধারক), الأَحَد (একক), الصَّمَدُ (অমুখাপেক্ষী)। তা ছাড়া এ ধরণের আরো অনেক গুনবাচক নাম রয়েছে।[1]
(২) যে সমস্ত নাম তার বিপরীত অর্থবোধক নাম উল্লেখ ছাড়া আল্লাহর জন্য ব্যবহার করা শোভা পায় না। সেগুলো যদি এককভাবে ব্যবহৃত হয়, তাহলে পূর্ণতার স্থলে অপূর্ণতা ও ত্রুটি বুঝায়।যেমন الضَّار النّاَفِع (ক্ষতিকারক ও কল্যাণকারী), الخَافِض الرَّافِع (নিচুকারী ও উত্তোলনকারী), الْمَانِع الْمُعْطِي (দাতা ও প্রতিরোধকারী), المُعِزُّ المُذِلُّّ (সম্মানদাতা ও অপমানকারী) ইত্যাদি।
সুতরাং এককভাবে শুধু الضَّار ,الخَافِض , الْمَانِع এবং المُعِزُّ ব্যবহার করা জায়েয নেই। কুরআন বা হাদীছের কোথাও এগুলোর কোন একটিও এককভাবে ব্যবহৃত হয়নি। অনুরূপ আল্লাহ্ তা’আলার مُنْتَفِم তথা প্রতিশোধগ্রহণকারী নামটিও তার সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয় ব্যতীত বর্ণিত হয়নি। যেমন আল্লাহ্ তা’আলার বাণীঃ
(إِنَّا مِنْ الْمُجْرِمِينَ مُنتَقِمُونَ)
‘‘নিশ্চয়ই আমি অপরাধীদেরকে শাস্তি দিয়ে থাকি’’। (সূরা সিজদাঃ ২২) অথবা তা থেকে নির্গত সিফাতের দিকে ذو (যূ) শব্দ সম্বোধন ব্যতীত ব্যবহার করা হয়নি। আল্লাহ্ তা’আলার বাণীঃ
وَاللَّهُ عَزِيزٌ ذُو انْتِقَامٍ
‘‘আর আল্লাহ্ পরাক্রান্ত ও প্রতিশোধগ্রহণকারী’’। (সূরা আল-ইমরানঃ ৪)