আব্দুল্লাহ্ বিন্ ’আব্বাস্ (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: যখন রাসূল (সা.) মু’আয (রা.) কে ইয়েমেন অভিমুখে পাঠাচ্ছিলেন তখন তিনি তাঁকে বলেন:
إِنَّكَ تَقْدَمُ عَلَى قَوْمٍ أَهْلِ كِتَابٍ ، فَلْيَكُنْ أَوَّلَ مَا تَدْعُوْهُمْ إِلَيْهِ عِبَادَةُ اللهِ ، فَإِذَا عَرَفُوْا اللهَ فَأَخْبِرْهُمْ أَنَّ اللهَ قَدْ فَرَضَ عَلَيْهِمْ خَمْسَ صَلَوَاتٍ فِيْ يَوْمِهِمْ وَلَيْلَتِهِمْ ، فَإِذَا فَعَلُوْا فَأَخْبِرْهُمْ أَنَّ اللهَ فَرَضَ عَلَيْهِمْ زَكَاةً مِنْ أَمْوَالِهِمْ وَتُرَدُّ عَلَى فُقَرَائِهِمْ ، فَإِذَا أَطَاعُوْا بِهَا فَخُذْ مِنْهُمْ ، وَتَوَقَّ كَرَئِمَ أَمْوَالِ النَّاسِ
‘‘তুমি আহলে কিতাব তথা ইহুদি-খ্রিস্টানদের কাছে যাচ্ছো। তাই তাদের জন্য তোমার সর্ব প্রথম দা’ওয়াত হচ্ছে আল্লাহ্ তা’আলার ইবাদতের প্রতি দা’ওয়াত। যখন তারা আল্লাহ্ তা’আলাকে ভালোভাবে চিনে ফেলবে তখন তাদেরকে বলবে: আল্লাহ্ তা’আলা তোমাদের উপর দিন-রাত চবিবশ ঘন্টায় শুধুমাত্র পাঁচ বেলা নামায ফরয করেছেন। যখন তারা তা আমলে পরিণত করে তখন তাদেরকে বলবে: আল্লাহ্ তা’আলা তাদের সম্পদের উপর যাকাত ফরয করে দিয়েছেন যা তাদের মধ্যকার ফকিরদের উপর বন্টন করা হবে। তারা এ ব্যাপারে তোমার আনুগত্য করলে তুমি তাদের থেকে যাকাত নিবে। তবে মানুষের সর্বোত্তম সম্পদটুকু যাকাত হিসেবে গ্রহণ করা থেকে তুমি অবশ্যই বিরত থাকবে’’।[1]
তবে কেউ স্বেচ্ছায় নিজের সর্বোত্তম সম্পদটুকু আল্লাহ্ তা’আলার পথে সাদাকা করলে সে অবশ্যই সমূহ কল্যাণের নাগাল পাবে।
আল্লাহ্ তা’আলা বলেন:
لَن تَنَالُوا الْبِرَّ حَتَّىٰ تُنفِقُوا مِمَّا تُحِبُّونَ ۚ وَمَا تُنفِقُوا مِن شَيْءٍ فَإِنَّ اللَّهَ بِهِ عَلِيمٌ
‘‘তোমরা কখনোই কল্যাণের নাগাল পাবে না যতক্ষণ না তোমরা নিজের পছন্দনীয় বস্ত্ত সাদাকা করো। তোমরা যা কিছুই আল্লাহ্ তা’আলার পথে ব্যয় করো তা সবই তিনি ভালোভাবে জানেন’’। (আলি ’ইমরান : ৯২)
>