১৮৩. সম্পদে, স্বাস্থ্যে কিংবা শারীরিক গঠনে কাউকে নিজের চেয়ে উন্নত দেখে তার প্রতি ঈর্ষান্বিত হওয়া

আল্লাহ্ তা’আলা বলেন:

وَلَا تَتَمَنَّوْا مَا فَضَّلَ اللَّهُ بِهِ بَعْضَكُمْ عَلَىٰ بَعْضٍ ۚ لِّلرِّجَالِ نَصِيبٌ مِّمَّا اكْتَسَبُوا ۖ وَلِلنِّسَاءِ نَصِيبٌ مِّمَّا اكْتَسَبْنَ ۚ وَاسْأَلُوا اللَّهَ مِن فَضْلِهِ ۗ إِنَّ اللَّهَ كَانَ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمًا

‘‘যে ব্যাপারে আল্লাহ্ তা’আলা তোমাদের কাউকে অন্যের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন তা তোমরা পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা করো না। পুরুষরা যা উপার্জন করেছে তাতে তাদের অংশ রয়েছে। আর নারীরা যা উপার্জন করেছে তাতে তাদের অংশ রয়েছে। বরং তোমরা একমাত্র আল্লাহ্ তা’আলার নিকট শ্রেষ্ঠত্ব কামনা করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তা’আলা সর্ব বিষয়ে মহাজ্ঞানী’’। (নিসা’ : ৩২)

বরং কখনো ধন-সম্পদে বা গঠন-আকৃতিতে উন্নত এমন কারোর দিকে আপনার চোখ পড়ে গেলে সাথে সাথেই এ ব্যাপারে আপনার চেয়েও নিম্ন এমন কারোর দিকে আপনি তাকাবেন। তা হলেই আপনি সর্বদা আল্লাহ্ তা’আলার প্রতি একান্তভাবে কৃতজ্ঞ থাকতে পারবেন।

আবু হুরাইরাহ্ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন:

إِذَا نَظَرَ أَحَدُكُمْ إِلَى مَنْ فُضِّلَ عَلَيْهِ فِيْ الـْمَالِ وَالْـخَلْقِ فَلْيَنْظُرْ إِلَى مَنْ هُوَ أَسْفَلَ مِنْهُ مِمَّنْ فُضِّلَ عَلَيْهِ

‘‘শারীরিক গঠন কিংবা ধন-সম্পদে শ্রেষ্ঠ এমন কারোর প্রতি তোমাদের কারোর দৃষ্টি পড়লে সে যেন এ ব্যাপারে তার চেয়ে নিচু ব্যক্তির দিকে দৃষ্টিপাত করে যার উপর তাকে শ্রেষ্ঠত্ব দেয়া হয়েছে’’।[1]

আবু হুরাইরাহ্ (রা.) থেকে আরো বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন:

اُنْظُرُوْا إِلَى مَنْ أَسْفَلَ مِنْكُمْ ، وَلاَ تَنْظُرُوْا إِلَى مَنْ هُوَ فَوْقَكُمْ ، فَهُوَ أَجْدَرُ أَنْ لاَ تَزْدَرُوْا نِعْمَةَ اللهِ عَلَيْكُمْ

‘‘তোমরা সর্বদা তোমাদের নিচের লোকদের প্রতি দৃষ্টিপাত করো। কখনো উপরের লোকদের প্রতি দৃষ্টিপাত করো না। তা হলে আশা করা যায় যে, তোমরা একদা তোমাদের উপর অর্পিত আল্লাহ্ তা’আলার অসংখ্য নি’মত অবহেলা করবে না’’।[2]

>
[1] (বুখারী, হাদীস ৬৪৯০ মুসলিম, হাদীস ২৯৬৩)

[2] (মুসলিম, হাদীস ২৯৬৩)