আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলার নিকট গ্রহণযোগ্য মূলনীতি ও জীবনবিধান হল ইসলাম; কারণ, তা হল প্রধান বিষয়; সুতরাং যে ব্যক্তি ইসলাম ভিন্ন অন্য কোনো পথ অনুসরণ করে চলবে, সেই ব্যক্তি ধ্বংসপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন:

إِنَّ ٱلدِّينَ عِندَ ٱللَّهِ ٱلۡإِسۡلَٰمُۗ

“নিশ্চয় ইসলামই আল্লাহর নিকট একমাত্র দ্বীন।”[1]

আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেছেন:

وَمَن يَبۡتَغِ غَيۡرَ ٱلۡإِسۡلَٰمِ دِينٗا فَلَن يُقۡبَلَ مِنۡهُ وَهُوَ فِي ٱلۡأٓخِرَةِ مِنَ ٱلۡخَٰسِرِينَ

“আর কেউ ইসলাম ব্যতীত অন্য কোনো দ্বীন গ্রহণ করতে চাইলে তা কখনো তার পক্ষ থেকে কবুল করা হবে না এবং সে হবে আখিরাতে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত।”[2]

কিন্তু আল্লাহ তা‘আলা হলেন ন্যায়পরায়ণ ও দয়াবান, তিনি তাঁর বান্দাদের জন্য কুফরীকে পছন্দ করেন না; তাই তারা যখন কুফরী করা থেকে বিরত থাকবে, তখন তিনি তাদেরকে (তার প্রিয় বান্দা হিসেবে) গ্রহণ করে নিবেন এবং তাদেরকে ক্ষমা করে দিবেন; কেননা, তিনি হলেন ক্ষমাশীল ও দয়াবান। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

﴿ قُل لِّلَّذِينَ كَفَرُوٓاْ إِن يَنتَهُواْ يُغۡفَرۡ لَهُم مَّا قَدۡ سَلَفَ وَإِن يَعُودُواْ فَقَدۡ مَضَتۡ سُنَّتُ ٱلۡأَوَّلِينَ ٣٨ وَقَٰتِلُوهُمۡ حَتَّىٰ لَا تَكُونَ فِتۡنَةٞ وَيَكُونَ ٱلدِّينُ كُلُّهُۥ لِلَّهِۚ فَإِنِ ٱنتَهَوۡاْ فَإِنَّ ٱللَّهَ بِمَا يَعۡمَلُونَ بَصِيرٞ ٣٩ ﴾ [الانفال: ٣٨، ٣٩]

“যারা কুফরী করে তাদেরকে বলুন, ‘যদি তারা বিরত হয়, তবে যা আগে হয়ে গেছে আল্লাহ্ তা ক্ষমা করবেন; কিন্তু তারা যদি অন্যায়ের পুনরাবৃত্তি করে, তবে পূর্ববর্তীদের রীতি তো গত হয়েছেই। আর তোমরা তাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে থাকবে যতক্ষণ না ফেৎনা দুর হয় এবং দ্বীন পূর্ণরূপে আল্লাহ্‌র জন্য হয়ে যায়; তারপর যদি তারা বিরত হয়, তবে তারা যা করে আল্লাহ্ তো তার সম্যক দ্রষ্টা।”[3]

আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:

«إذا أَسْلَمَ الْعَبْدُ، فَحَسُنَ إِسْلاَمُهُ، كَتَبَ اللَّهُ له كل حسنة كان أَزْلَفَهَا، وَمُحِيَتْ عَنْهُ كُلُّ سَيِّئَةٍ كَانَ أَزْلَفَهَا، ثُمَّ كان بعد ذلك الْقِصَاصُ ، الْحَسَنَةُ بِعَشْر أَمْثَالِهَا إلى سَبْعِمِائَةِ ضِعْفٍ ، وَالسَّيِّئَةُ بِمِثْلِهَا ، إِلاَّ أَنْ يَتَجَاوَزَ اللَّهُ عَنْهَا » . ( رواه البخاري و النسائي ) .

“বান্দা যখন ইসলাম গ্রহণ করে এবং তার ইসলাম গ্রহণ উত্তমভাবে হয়, তখন আল্লাহ তা‘আলা তার আগের সকল ভাল কাজকে ভাল কাজ বলে গণ্য করেন এবং তার আগের সকল গুনাহ্ ক্ষমা করে দেওয়া হয়; অতঃপর শুরু হয় প্রতিদান; একটি সৎ কাজের বিনিময়ে দশ গুণ থেকে সাতশত গুণ পর্যন্ত সাওয়াব দেওয়া হয়; আর একটি মন্দ কাজের বিনিময়ে তার সমপরিমাণ মন্দ প্রতিফল; তবে আল্লাহ যদি মাফ করে দেন, তাহলে ভিন্ন কথা।”[4]

নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের এই বাণী একটি অতিরিক্ত হুকুম (বিধান) সাব্যস্ত করল, যা আল্লাহর পক্ষ থেকে এক বিশেষ অনুগ্রহ ও দয়া হিসেবে প্রমাণিত; তা হল ইসলাম পূর্ব সময়ের সকল ভাল কাজকে ভাল কাজ বলে গণ্য করে নেওয়া[5]; আর অনুরূপভাবে তা হয়ে যাবে মহান আল্লাহর অপার দান এবং মহান রব কর্তৃক প্রদত্ত পুরস্কার।

অতএব, ঐ সত্তার নামে শপথ করে বলছি, যাঁর হাতে আমার জীবন! এই মহান অনুগ্রহ ও অবদান থেকে আত্মভোলা ব্যক্তি ছাড়া আর কেউ উদাসীন থাকতে পারে না, যাকে শয়তান দখল করে নিয়েছে, ফলে সে তার রবকে ভুলে গেছে। আল-কুরআনের ভাষায়:

﴿ وَقَالُواْ لَوۡ كُنَّا نَسۡمَعُ أَوۡ نَعۡقِلُ مَا كُنَّا فِيٓ أَصۡحَٰبِ ٱلسَّعِيرِ ١٠ فَٱعۡتَرَفُواْ بِذَنۢبِهِمۡ فَسُحۡقٗا لِّأَصۡحَٰبِ ٱلسَّعِيرِ ١١ إِنَّ ٱلَّذِينَ يَخۡشَوۡنَ رَبَّهُم بِٱلۡغَيۡبِ لَهُم مَّغۡفِرَةٞ وَأَجۡرٞ كَبِيرٞ ١٢ وَأَسِرُّواْ قَوۡلَكُمۡ أَوِ ٱجۡهَرُواْ بِهِۦٓۖ إِنَّهُۥ عَلِيمُۢ بِذَاتِ ٱلصُّدُورِ ١٣ أَلَا يَعۡلَمُ مَنۡ خَلَقَ وَهُوَ ٱللَّطِيفُ ٱلۡخَبِيرُ ١٤ ﴾ [الملك: ١٠، ١٤]

“আর তারা বলবে, যদি আমরা শুনতাম অথবা বিবেক-বুদ্ধি প্রয়োগ করতাম, তাহলে আমরা জ্বলন্ত আগুনের অধিবাসী হতাম না। অতঃপর তারা তাদের অপরাধ স্বীকার করবে। সুতরাং ধ্বংস জ্বলন্ত আগুনের অধিবাসীদের জন্য! নিশ্চয় যারা গায়েব অবস্থায় তাদের রবকে ভয় করে, তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও মহাপুরস্কার। আর তোমরা তোমাদের কথা গোপনেই বল অথবা প্রকাশ্যে বল, তিনি তো অন্তরসমূহে যা আছে তা সম্পর্কে সম্যক অবগত। যিনি সৃষ্টি করেছেন, তিনি কি জানেন না? অথচ তিনি সূক্ষ্মদর্শী, সম্যক অবহিত।”[6]

হে সন্দেহের মরুভূমিতে দিশেহারা মানব জাতি! ঐ আল্লাহর দিকে পালিয়ে আস, সবকিছু যাঁর রহমত ও জ্ঞানের পরিধিভুক্ত।

হে বিচ্ছিন্ন প্রবৃত্তির মরীচিকায় উত্তেজিত কামনাবিভোর জাতি! মহান রব ও নিরবিচ্ছিন্ন ছায়ার দিকে ছুটে আস।

হে লোকসকল! এ মাহান সংবাদটি নিয়ে মুহূর্তকাল চিন্তা, গবেষণা ও বিচার-বিশ্লেষণ কর।

আবদুর রাহমান ইবন শুমাসাহ আল-মাহরী রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন:

« حَضَرْنَا عَمْرَو بنَ العَاصِ رضي الله عنه وَهُوَ في سِيَاقَةِ الْمَوْتِ ، فَبَكَى طَوِيلاً ، وَحَوَّلَ وَجْهَهُ إِلَى الجِدَارِ ، فَجَعَلَ ابْنُهُ يَقُولُ : يَا أبَتَاهُ ، أمَا بَشَّرَكَ رسولُ الله صلى الله عليه وسلم بكَذَا ؟ أمَا بَشَّرَكَ رسولُ الله صلى الله عليه وسلم بِكَذَا ؟ قَالَ : فَأقْبَلَ بِوَجْهِهِ ، فَقَالَ : إنَّ أفْضَلَ مَا نُعِدُّ شَهَادَةُ أنْ لا إلهَ إِلاَّ الله ، وَأنَّ مُحَمَّداً رسول اللهِ ، إنِّي قَدْ كُنْتُ عَلَى أطْبَاقٍ ثَلاَثٍ :

لَقَدْ رَأيْتُنِي وَمَا أحَدٌ أشَدُّ بُغضاً لرسولِ الله - صلى الله عليه وسلم - مِنِّي ، وَلاَ أحَبَّ إليَّ مِنْ أنْ أكُونَ قدِ اسْتَمكنتُ مِنْهُ فَقَتَلْتُه ، فَلَوْ مُتُّ عَلَى تلكَ الحَالِ لَكُنْتُ مِنْ أهْلِ النَّارِ .

فَلَمَّا جَعَلَ اللهُ الإسلامَ في قَلْبِي أتَيْتُ النبيَّ صلى الله عليه وسلم ، فقُلْتُ : ابسُطْ يَمِينَكَ فَلأُبَايِعُك ، فَبَسَطَ يَمِينَهُ . قَالَ : فَقَبَضْتُ يَدِي ، فَقَالَ : « مَا لَكَ يَا عَمْرُو ؟ » . قلتُ : أردتُ أنْ أشْتَرِطَ . قَالَ : « تَشْتَرِط مَاذا ؟ » قُلْتُ : أنْ يُغْفَرَ لِي ، قَالَ : « أمَا عَلِمْتَ أن الإسلامَ يَهْدِمُ مَا كَانَ قَبْلَهُ ، وَأن الهِجْرَةَ تَهْدِمُ مَا كَانَ قَبلَهَا ، وَأنَّ الحَجَّ يَهْدِمُ مَا كَانَ قَبْلَهُ ؟ » .

وَمَا كَانَ أحدٌ أحَبَّ إليَّ مِنْ رَسُولِ الله صلى الله عليه وسلم ، وَلاَ أجَلَّ في عَيني مِنْهُ وَمَا كُنْتُ أُطيقُ أن أملأ عَيني مِنْهُ ؛ إجلالاً لَهُ ، ولو سئلت أن أصفه مَا أطقت ، لأني لَمْ أكن أملأ عيني مِنْهُ ، ولو مُتُّ عَلَى تِلْكَ الحالِ لَرجَوْتُ أن أكُونَ مِنْ أهْلِ الجَنَّةِ .

ثُمَّ وَلِينَا أشْيَاءَ مَا أدْرِي مَا حَالِي فِيهَا ؟ فَإذَا أنَا مُتُّ فَلاَ تَصحَبَنِّي نَائِحَةٌ وَلاَ نَارٌ ، فَإذا دَفَنْتُمُونِي ، فَشُنُّوا عَليَّ التُّرابَ شَنّاً ، ثُمَّ أقِيمُوا حَوْلَ قَبْرِي قَدْرَ مَا تُنْحَرُ جَزورٌ ، وَيُقْسَمُ لَحْمُهَا ، حَتَّى أَسْتَأنِسَ بِكُمْ ، وَأنْظُرَ مَا أُرَاجعُ بِهِ رسُلَ رَبّي » . ( رواه مسلم ) .

“আমরা ‘আমর ইবন ‘আসের নিকট হাযির হলাম, তখন তিনি ছিলেন মুমূর্ষাবস্থায়— মৃত্যুযন্ত্রনায় কাতর; তারপর তিনি বহুক্ষণ ধরে কাঁদলেন এবং তার চেহারা দেয়ালের দিকে ফিরিয়ে নেন। এ অবস্থা দেখে তার পুত্র তাকে উদ্দেশ্য করে বলতে লাগলেন: হে আব্বাজান! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি আপনাকে এরূপ সুসংবাদ শোনান নি? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি আপনাকে অমুক সুসংবাদ শোনান নি? বর্ণনাকারী বলেন: তারপর তিনি মুখ ফেরালেন এবং বললেন: আমাদের সর্বোত্তম পুঁজি হল এই কথার সাক্ষ্য দেওয়া যে, আল্লাহ ছাড়া আর কোনো সত্য ইলাহ নেই এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রাসূল। বস্তুত আমি জীবনে তিন তিনটি পর্যায়[7] অতিক্রম করেছি:

আমার জীবনের এমন একটি পর্যায়ও ছিল, যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের চেয়ে আর কারও প্রতি আমার এতো বেশি কঠোর বিদ্বেষ ও শত্রুতা ছিল না; আওতায় পেলে তাঁকে হত্যা করে ফেলার চাইতে বেশি প্রিয় আমার নিকট আর কিছু ছিল না; সুতরাং ঐ অবস্থায় যদি আমার মৃত্যু হয়ে যেত, তাহলে আমি নিশ্চিত জাহান্নামের অধিবাসী হয়ে যেতাম।

অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা যখন আমার অন্তরে ইসলামের মনোভাব ও আকর্ষণ তৈরি করে দিলেন, তখন আমি নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট আসলাম এবং তারপর বললাম: আপনার ডান হাত বাড়িয়ে দিন, আমি আপনার নিকট (আনুগত্যের) বাই‘আত গ্রহণ করতে চাই; তখন তিনি তাঁর ডানহাত প্রসারিত করে দিলেন। তিনি (‘আমর ইবন ‘আস রা.) বললেন: এবার আমি হাত গুটিয়ে নিলাম। তিনি বললেন: হে ‘আমর! তোমার কী হয়েছে? জবাবে আমি বললাম: আমি শর্ত করতে চাই। তিনি বললেন: তুমি কী শর্ত করতে চাও? জবাবে আমি বললাম: আমাকে যেন ক্ষমা করে দেওয়া হয়; এবার তিনি বললেন: “তোমার কি জানা নেই যে, ইসলাম ইসলাম-পূর্ব জীবনের সকল গুনাহ মিটিয়ে দেয়? আর হিজরত হিজরত-পূর্ব জীবনের সকল গুনাহ ধ্বংস করে দেয়? আর হাজ্জ হাজ্জ-পূর্ব জীবনের সকল গুনাহ ধ্বংস করে দেয়?” (যাই হউক, এরপর আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট বাই‘আত গ্রহণ করলাম)।

আর তখন আমার নিকট রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের চেয়ে অধিক প্রিয় আর কেউ রইল না; আমার চোখে তাঁর চেয়ে অধিক মর্যাদাবানও আর কেউ থাকল না এবং তাঁর অপরিসীম মর্যাদা ও গাম্ভীর্যের দরুন আমি চোখভরে তাঁর প্রতি তাকাতে পর্যন্ত পারতাম না। ফলে আমাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের আকার-প্রকৃতি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তার বর্ণনা দিতে আমি অক্ষম হবো, কারণ আমি তাঁর প্রতি পূর্ণ চোখে তাকাতাম না। এই অবস্থায় যদি আমার মৃত্যু হয়ে যেতো, তাহলে আমি জান্নাতবাসীদের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার নিশ্চিত আশা ছিল।এরপর আমাদেরকে অনেক যিম্মদারী বা দায়-দায়িত্ব মাথায় নিতে হলো; জানি না, সেসব ব্যাপারে আমার অবস্থা কী হবে? যাই হউক, আমার যখন মৃত্যু হবে, তখন আমার জানাযায় যেন কোনো বিলাপকারিনী ও আগুনের সংশ্রব না থাকে। আর তোমরা যখন আমাকে দাফন করবে, তখন আমার কবরে অল্প অল্প করে মাটি ফেলবে; অতঃপর আমার কবরের চারপাশে এ পরিমাণ সময় অবস্থান করবে, যে সময়ের মধ্যে একটি উট যবাই করে তার মাংস বণ্টন করা যায়; যাতে আমি তোমাদের ভালবাসা ও সান্নিধ্য লাভ করতে পারি এবং আমার রবের পাঠানো ফিরিশ্তাদের সাথে কি ধরনের বাক-বিনিময় হয়, তা জেনে নিতে পারি।”[8]

>
[1] সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ১৯

[2] সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ৮৫

[3] সূরা আল-আনফাল, আয়াত: ৩৮ - ৩৯

[4] ইমাম বুখারী রহ. হাদিসটি ‘তা‘লিকাত’ এর মধ্যে বর্ণনা করেছেন: (১/৯৭— ফতহুল বারী); তবে « كَتَبَ اللَّهُ له كل حسنة كان أَزْلَفَهَا » (আল্লাহ তা‘আলা তার আগের সকল ভাল কাজকে ভাল কাজ বলে গণ্য করেন)— এই কথাটি তার বর্ণনার মধ্যে নেই। আর ইমাম নাসায়ী রহ. হাদিসটি সহীহ সনদে বর্ণনা করেছেন এবং তাঁর বর্ণনায় তিনি « كَتَبَ اللَّهُ له كل حسنة كان أَزْلَفَهَا »— এই কথাটি অন্তর্ভুক্ত করেছেন।

হাফেয ইবনু হাজার ‘আসকালানী তাঁর ‘ফতহুল বারী’ (১/৯৯) নামক গ্রন্থে বলেন: “ইমাম বুখারী রহ. এর বর্ণনা যা বাদ গিয়েছে, তা বাকি সকল বর্ণনার মধ্যে বিদ্যমান রয়েছে; আর তা হল ইসলাম গ্রহণ করার পূর্বে করা সকল ভাল কাজকে ভাল কাজ বলে গ্রহণ করার বিষয়টি।”

[5] দেখুন: আমার প্রবন্ধ ‘মুবতিলাতুল আ‘মাল’ ( مبطلات الأعمال ), মাসআলা (প্রশ্ন) নং- ১; তাতে এই বিধান প্রসঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা রয়েছে; যা দারু ইবনিল কায়্যিম— দাম্মাম থেকে প্রকাশিত।

[6] সূরা আল-মুলক, আয়াত: ১০ - ১৪

[7] অর্থাৎ তিনটি পর্যায় মানে তিনটি অবস্থা অতিক্রম করেছি; যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

لَتَرۡكَبُنَّ طَبَقًا عَن طَبَقٖ

“অবশ্যই তোমরা এক স্তর থেকে অন্য স্তরে আরোহণ করবে।” - (সূরা আল-ইনশিকাক, আয়াত: ১৯)।

[8] মুসলিম, হাদিস নং- ৩৩৬