হিসনুল মুসলিম চলাচল, সফর [ভ্রমন] ড. সাঈদ ইব্ন আলী ইব্ন ওয়াহফ আল-ক্বাহত্বানী
১০৩. রাত্রির শেষ প্রহরে মুসাফিরের দো‘আ
215- «سَمَّعَ سَامِعٌ بِحَمْدِ اللَّهِ، وَحُسْنِ بَلاَئِهِ عَلَيْنَا، رَبَّنَا صاحِبْنَا، وَأَفْضِلْ عَلَيْنَا، عَائِذاً بِاللَّهِ مِنَ النَّارِ».
(সাম্মা‘আ সা-মি‘উন বিহামদিল্লা-হ, ওয়া হুসনি বালা-ইহী ‘আলাইনা, রাব্বানা সা-হিবনা, ওয়া আফদিল ‘আলাইনা, ‘আ-ইযান বিল্লা-হি মিনান না-রী)
২১৫- “আমরা যে আল্লাহ্র প্রশংসা করলাম, আর আমাদের উপর তাঁর উত্তম নেয়ামতের ঘোষণা দিলাম, তা একজন শ্রোতা আমার এ কথা শুনে অন্যের কাছে পৌঁছে দিক। হে আমাদের রব! আপনি আমাদের সাথী হোন, আর আমাদের উপর অনুগ্রহ বর্ষণ করুন। আগুন থেকে আল্লাহ্র কাছে আশ্রয়প্রার্থী হয়ে (এ দো‘আ করছি)।”[1]
[1] মুসলিম, ৪/২০৮৬, নং ২৭১৮। আর হাদীসে ব্যবহৃত سَمِعَ سامِعٌ শব্দের অর্থ, ‘একজন সাক্ষ্যদাতা সাক্ষ্য প্রদান করুন যে, আমরা আল্লাহর প্রশংসা করেছি তার যাবতীয় নেয়ামতের উপর, তাঁর উত্তম দান-দয়ার উপর।’ আর যদি হাদীসে ব্যবহৃত শব্দটিকে سَمَّعَ سامِعٌ ধরা হয়, তখন অর্থ হবে, ‘একজন শ্রোতা আমার এ কথা শুনে তা অন্যের কাছে পৌঁছে দিক।’ আর এ-কথাটি তিনি বলেছেন শেষ রাত্রির দো‘আ ও যিকর সম্পর্কে সচেতন করার জন্য। শারহুন নাওয়াওয়ী ‘আলা সহীহ মুসলিম, ১৭/৩৯।