শিয়া আকীদা সম্পর্কে ইবন তাইমিয়্যার মিনহাজুস সুন্নাহ থেকে নির্বাচিত কিছু কথা ইসলামহাউজ.কম ৬৪ টি
শিয়া আকীদা সম্পর্কে ইবন তাইমিয়্যার মিনহাজুস সুন্নাহ থেকে নির্বাচিত কিছু কথা ইসলামহাউজ.কম ৬৪ টি

সকল প্রশংসা সৃষ্টিকুলের রব আল্লাহর জন্য; আর সালাত ও সালাম আমাদের নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি এবং তাঁর পরিবার-পরিজন, সকল সাহাবীগণ ও কিয়ামতের দিন পর্যন্ত যারা তাঁদের যথাযথ অনুসরণ করবে, তাদের উপর রহমত ও শান্তি বর্ষিত হউক।

আল্লাহ তা‘আলা তাঁর কুরআনকে রক্ষা ও প্রতিরক্ষার দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন; আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন:

﴿ إِنَّا نَحۡنُ نَزَّلۡنَا ٱلذِّكۡرَ وَإِنَّا لَهُۥ لَحَٰفِظُونَ ٩ ﴾ [الحجر: ٩]

“নিশ্চয় আমরাই কুরআন নাযিল করেছি এবং আমরা অবশ্যই তার সংরক্ষক।” - (সূরা আল-হিজর: ৯)। আর কুরআনের মাধ্যমে তিনি তাঁর দ্বীনকে সংরক্ষণ করবেন। আল্লাহ তা‘আলা তাঁর দীনকে সংরক্ষণ করার জন্য কতিপয় উপায় ঠিক করেছেন। তন্মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি উপায় হলো আল্লাহ তা‘আলা কর্তৃক তাওহীদবাদী উম্মাতের আলেমগণকে ইসলামের ব্যাপারে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলার এবং বিদ‘আত ও তার ভয়াবহতা বর্ণনা করার তাওফীক প্রদান। আর এ ব্যাপারে তাওফীকপ্রাপ্ত ব্যক্তিগণের মধ্যে অন্যতম একজন ছিলেন শাইখুল ইসলাম আহমদ ইবন তাইমিয়্যা র., কেননা, তিনি এই মহান বিষয়ে মহৎ ভূমিকা রেখেছেন এবং এই সংগ্রামে সুন্দর বীরত্ব প্রদর্শন করেছেন। তাঁর সংগ্রামের ফসল ছিল তাঁর রচিত ও লিখিত অনেক গ্রন্থ (আল্লাহ সেগুলো কবুল করুন)। প্রত্যেক সুন্নাহপ্রেমী ও সুন্নাহর অনুসারী ব্যক্তি এবং কল্যাণ ও হকের অনুসারী প্রত্যেক ব্যক্তি সে গ্রন্থগুলো প্রকাশের ব্যাপারে চেষ্টাসাধনা করেছেন; আর ইসলামের প্রতিরক্ষাকারী ও তার অনুসারী প্রত্যেক ব্যক্তি তা প্রকাশের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন; তন্মধ্যে বাদশা আবদুল আযীয আলে সাউদ (র.) ছিলেন অন্যতম। তিনি শাইখুল ইসলাম আহমদ ইবন তাইমিয়্যা (র.) এর গ্রন্থগুলো মুদ্রণ ও প্রকাশনার বরকতময় মহান উদ্যোগ গ্রহণ করেন এবং তা যথাযথ তত্ত্বাবধান করেন; আর তাঁর পরবর্তীতে এই ব্যাপারে তাঁর নীতির অনুসরণ করেন তাঁর পুণ্যবান ছেলে সন্তানগণ- আল্লাহ তা‘আলা তাঁদের মধ্যকার মৃতদের প্রতি রহম করুন এবং জীবিতদেরকে তাওফীক দান করুন, আর তাঁদের মাঝে বরকত নাযিল করুন। শাইখুল ইসলাম আহমদ ইবন তাইমিয়্যা র. এর মিনহাজুস সুন্নাহ আন-নবুবিয়্যাহ (منهاج السنة النبوية) নামক গ্রন্থটি হল তাঁর গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থগুসমূহের অন্যতম একটি; আর তার বড় একটি অংশের ব্যাপারে আলেমগণ পাঠনে ও সারসংক্ষেপ করার গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। এরই ধারাবাহিকতায় সাউদী ফতোয়া বিভাগের নেতৃত্বে তা মূদ্রণ এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে বণ্টনের ব্যবস্থা করা হয়েছে; আর অনুরূপভাবে ইমাম মুহাম্মদ ইবন সাউদ র. বিশ্ববিদ্যালয় তার প্রকাশনা ও মুদ্রণের করেছে; কারণ, সকল মুসিলমের নিকট এই গ্রন্থটির গুরুত্ব অনেক বেশি। সাউদী রাষ্ট্রের প্রাক্তন গ্রাণ্ড মুফতী শাইখ আবদুল্লাহ ইবন বায র. এর সভাপতিত্বে গঠিত রাষ্ট্রের স্থায়ী ফতোয়া বোর্ড এই গ্রন্থটি পাঠ করার এবং তা থেকে ফায়দা হাসিলের উপদেশ দিয়েছে।

এই জন্য আমি পছন্দ করেছি যে, আমি এ মূল্যবান গ্রন্থটিকে হাতের নাগালে নিয়ে আসব এবং তার উপকারিতাকে ব্যাপক করার কাজে অংশগ্রহণ করব; ফলে আমি তার উপর কতগুলো প্রশ্ন প্রণয়নের ব্যবস্থা করেছি এবং সেসব প্রশ্নের উত্তর আমি শাইখুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়্যা র. এর বক্তব্য থেকে কোনো প্রকার বৃদ্ধি করা বা পাঠাংশের মধ্যে কোনো প্রকার পরিবর্তন ছাড়াই সম্পাদন করেছি- আল্লাহ শাইখুল ইসলামকে রহম করুন এবং তাঁকে ক্ষমা করুন। আল্লাহ এটাকে ভালোভাবে ইসলাম ও মুসলিমগণের কাজে লাগান এবং ঐ ব্যক্তিকে দ্বিগুণ পুরস্কার দান করুন, যিনি আল্লাহ তা‘আলার প্রতিদানের প্রত্যাশায় তাঁর গ্রন্থসমূহ প্রকাশ করা এবং তা বণ্টন করার ব্যবস্থা করেছেন।

* * *

সকল প্রশংসা সৃষ্টিকুলের রব আল্লাহর জন্য; আর সালাত ও সালাম আমাদের নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি এবং তাঁর পরিবার-পরিজন, সকল সাহাবীগণ ও কিয়ামতের দিন পর্যন্ত যারা তাঁদের যথাযথ অনুসরণ করবে, তাদের উপর রহমত ও শান্তি বর্ষিত হউক।

এসব প্রশ্ন ও উত্তর আবর্তিত হয় রাফেযী (শিয়া) মতবাদকে কেন্দ্র করে এবং ঐসব ব্যক্তিদেরকে কেন্দ্র করে, যারা নিজেদেরকে শিয়া, ইমামিয়্যা, জাফরিয়্যা এবং দ্বাদশ ইমামীয় নামে আখ্যায়িত করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে; মূলত এ হচ্ছে কতগুলো নাম যা বাস্তব অর্থে এক এবং একটি দল বা সম্প্রদায়কে বুঝায়। আর এরা আমাদের বর্তমান যুগের শিয়া সম্প্রদায়ের বড় বড় দল।

এ গ্রন্থের উত্তরগুলো শাইখুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়্যা র. এর বক্তব্য থেকে নেয়া হয়েছে, যা তাঁর মূল্যবান গ্রন্থ মিনহাজুস সুন্নাহ আন-নবুবিয়্যাহ (منهاج السنة النبوية) এর মধ্যে রয়েছে। যে ব্যক্তি আরও ব্যাপকভাবে অধ্যয়ন করতে চায়, সে যেন তাঁর মূলগ্রন্থটি অধ্যয়ন করে। এই উত্তরগুলো কোনো প্রকার সংযোজন বা বৃদ্ধি করা ছাড়াই শাইখুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়্যা র. এর বক্তব্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ। শিয়া সম্প্রদায়ের ব্যাপারে শাইখুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়্যা র. এর এ বক্তব্যসমূহ, তাদের মতবাদ ও মতবাদের বর্ণনাসমূহের ব্যাপারে তাঁর ব্যাপক জ্ঞান ও অভিজ্ঞতারই প্রমাণ বহন করে। তিনি এমনভাবে তা বর্ণনা করেছেন যে, তাতে তাদের মূলনীতির অবকাঠামো নষ্ট হয়ে গেছে, ফলে তা যেন উপর থেকে তাদের উপর ভেঙ্গে পড়েছে। ফলে তাদের মূলনীতিগুলো ধসে পড়েছে এবং তাদের বুনিয়াদ ধ্বংস হয়ে গেছে। তারা তাঁর যুক্তি-প্রমাণসমূহকে প্রত্যাখ্যান করতে সক্ষম হল না এবং তাঁর বক্তব্যসমূহের সমালোচনা করতে পারল না; কেননা তাঁর বর্ণনাভিত্তিক ও যুক্তিভিত্তিক দলীল ও প্রমাণসমূহ এবং শান্তিপূর্ণ সমালোচনাগুলো প্রতিষ্ঠিত ছিল সুস্থ বুনিয়াদের উপর; ফলে তা তাদেরকে নির্বাক (লা-জওয়াব) করে দিল এবং তারা পৃষ্ঠ প্রদর্শন করল এমনভাবে তারা যেন ভীতসন্ত্রস্ত গাধা, যা সিংহের সম্মুখ হতে পলায়ন করে। তাই আমরা আল্লাহর কাছে দো‘আ করি তিনি যেন শাইখুল ইসলামকে রহম করেন, পর্যাপ্ত পরিমাণে তাঁকে পুরস্কার দান করেন এবং তাঁর মর্যাদাকে সমুন্নত করেন। এখন আমি আপনাকে নিম্নোক্ত পাতাসমূহের দিকে মনোনিবেশ করার জন্য ছেড়ে দিচ্ছি; যাতে তা পাঠ করতে পারেন, তার দিকে দৃষ্টি দিতে পারেন এবং তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করতে পারেন।

আল্লাহ সকলকে এমন কাজের তাওফীক দিন, যা তিনি ভালবাসেন ও পছন্দ করেন; আর তিনি তাঁর দীনকে বিজয়ী করুন, তাঁর কথাকে সমুন্নত করুন এবং আমাদেরকে এমন সব ব্যক্তিবর্গের অন্তর্ভুক্ত করুন, যাদেরকে তিনি ভালোবাসেন, আর তারাও তাঁকে ভালোবাসেন। ... আমীন!

ইবন তাইমিয়্যা (র.) কর্তৃক রচিত মিনহাজুস সুন্নাহ সহায়ক

শাইখুল ইসলাম ইমাম আহমদ ইবন তাইমিয়্যা র. বলেন: আল্লাহ আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে আমরা আমাদের সালাতের মধ্যে বলি:

﴿ ٱهۡدِنَا ٱلصِّرَٰطَ ٱلۡمُسۡتَقِيمَ ٦ صِرَٰطَ ٱلَّذِينَ أَنۡعَمۡتَ عَلَيۡهِمۡ غَيۡرِ ٱلۡمَغۡضُوبِ عَلَيۡهِمۡ وَلَا ٱلضَّآلِّينَ ٧ ﴾ [الفاتحة: ٦، ٧]

“আমাদেরকে সরল পথের হিদায়াত দিন; তাদের পথ, যাদেরকে আপনি নিয়ামত দিয়েছেন, যাদের উপর আপনার ক্রোধ আপতিত হয়ন এবং যারা পথভ্রষ্টও নয়।” ( সূরা আল-ফাতিহা: ৬–৭ )। বস্তুত পথভ্রষ্ট হচ্ছে ঐ ব্যক্তি, যে হক তথা সত্যকে চিনতে পারে নি, যেমন খ্রিষ্টানগণ; আর অভিশপ্ত হল ঐ বিপথগামী ব্যক্তি, যে সত্যকে জানে এবং তার বিপরীত কাজ করে, যেমন ইয়াহূদীগণ ...; আর ‘সরল পথ’ সত্যকে জানা ও তার উপর আমল করাকে অন্তর্ভুক্ত করে, যেমনটি সুন্নাহ-ভিত্তিক দো‘আর মধ্যে রয়েছে:

«اللهم، أرني الحق حَقّا ووفّقني لاتباعه، وأرني الباطل باطلا ووفّقني لاجتنابه، ولا تَجْعَلْه مشتبهًا علي فاتبع الهوى»

“হে আল্লাহ! আপনি আমাকে সত্যকে সত্যরূপে দেখিয়ে দিন এবং আমাকে তার অনুসরণ করার তাওফীক দিন; আর বাতিলকে বাতিলরূপেই আমাকে দেখিয়ে দিন এবং আমাকে তা বর্জন করার তাওফীক দিন; আর আপনি তাকে আমার জন্য সন্দেহ-সংশয়পূর্ণ করবেন না, তাহলে যে আমি প্রবৃত্তির অনুসরণ করে বসব।” [পৃ. ১৯, ১ম খণ্ড ]।

১. প্রশ্ন: শিয়া-রাফেযী সম্প্রদায়ের ব্যাপারে শাইখুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়্যা (র.) এর বক্তব্য কী?

১. উত্তর: তারা অজ্ঞতা ও যুলুমের দিক বিবেচনায় ভীষণভাবে প্রবৃত্তির পূজারী; নবীগণের পরে প্রথম সারির মুহাজির ও আনসার এবং যাঁরা তাঁদেরকে উত্তমভাবে অনুসরণ করেছে (আল্লাহ তাঁদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন এবং তাঁরাও তাঁর প্রতি সন্তুষ্ট), তাঁদের মধ্যকার আল্লাহ তা‘আলার উত্তম বন্ধুদের সাথে তারা (রাফেযীরা) শত্রুতা করে; পক্ষান্তরে তারা ইয়াহূদী, খ্রিষ্টান, মুশরিক এবং নুসাইরি (তথাকথিত সিরিয়ার আলাভী সম্প্রদায়), ইসমাঈলিয়্যা (আগাখানী সম্প্রদায়) ও অন্যান্য পথভ্রষ্ট নাস্তিকদের বিভিন্ন কাফির ও মুনাফিকদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করে। [পৃ. ২০, ১ম খণ্ড]।

২. প্রশ্ন: তারা কি ইয়াহূদীদের সহযোগিতাকারী?

২. উত্তর: রাফেযীরা কর্তৃক ইয়াহূদীদেরকে সহযোগিতা করার বিষয়টি একটি প্রসিদ্ধ বিষয়। [পৃ. ২১, ১ম খণ্ড]।

৩. প্রশ্ন: তাদের কিছু সংখ্যক দাবি করে যে, তাদের অন্তর পবিত্র, আপনাদের বক্তব্য কী?

৩. উত্তর: সবচেয়ে নিকৃষ্ট অন্তর হলো, কোনো বান্দার অন্তরে উত্তম মুমিনগণ এবং নবীগণের পরে আল্লাহর ওলী তথা বন্ধুদের নেতৃত্বের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করা। [ পৃ. ২২, ১ম খণ্ড ]।

৪. প্রশ্ন: কখন তাদেরকে ‘রাফেযী’ উপাধিতে ভূষিত করা হয় এবং কেন? আর কে এই উপাধি দেন?

৪. উত্তর: যায়েদ (ইবন আলী ইবন হুসাইন) এর আবির্ভাবের সময় থেকে শিয়া সম্প্রদায় রাফেযী ও যায়েদিয়া উপদলে বিভক্ত হয়ে যায়; কারণ, যখন যায়েদকে আবূ বকর ও ওমর রা. সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলো, তখন তিনি তাঁদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেন; তখন একটি দল তাকে প্রত্যাখ্যান করে; ফলে তিনি তাদেরকে লক্ষ্য করে বলেন: "رفضتموني" অর্থাৎ তোমরা আমাকে প্রত্যাখ্যান বা অস্বীকার করেছ। অতএব তারা তাকে প্রত্যাখ্যান বা অস্বীকার করেছে বিধায় তাদেরকে ‘রাফেযী’ নামে নামকরণ করা হয়েছে। আর শিয়া সম্প্রদায়ের মধ্য থেকে যে বা যারা তাকে প্রত্যাখ্যান বা অস্বীকার করেনি তার সাথে তাদের সম্পর্কযুক্ত করার কারণে তাদেরকে ‘যায়েদিয়া’ নামে নামকরণ করা হয়েছে। [পৃ. ৩৫, ১ম খণ্ড]।

৫. প্রশ্ন: রাফেযীরা সাহাবীগণের মধ্য থেকে কাদেরকে নির্দোষ বলে মনে করে?

৫. উত্তর: তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের সকল সাহাবীর মধ্য থেকে অল্প সংখ্যক সাহাবীকে নির্দোষ বলে মনে করে, যাদের সংখ্যা দশজনের কিছু বেশি। [পৃ. ৩৯, ১ম খণ্ড]।

৬. প্রশ্ন: তাদের মধ্যে মিথ্যা ও অজ্ঞতার পরিমাণ বেশি কেন?

৬. উত্তর: যখন তাদের মাযহাবের মূলভিত্তি ছিল মূর্খতা বা অজ্ঞতার উপর নির্ভরশীল, তখন তাদের গোষ্ঠীসমূহ অধিক হারে মিথ্যাবাদী ও মূর্খ হয়ে থাকে। [পৃ. ৫৭, ১ম খণ্ড]।

৭. প্রশ্ন: রাফেযীরা কিসের দ্বারা বিশেষভাবে চিহ্নিত?

৭. উত্তর: আলেমগণ সাধারণ বর্ণনা, রিওয়ায়েত ও সনদের মাধ্যমে এই কথার উপর ঐক্যমত পোষণ করেছেন যে, রাফেযীরা চরম মিথ্যাবাদী গোষ্ঠী; আর তাদের মাঝে মিথ্যার বিষয়টি অনেক পুরাতন বিষয়; আর এই জন্যই ইসলামের ইমামগণ তাদেরকে অধিক হারে মিথ্যা বলার স্বাতন্ত্র্য বৈশিষ্ট্যর অধিকারী বলে জানতেন। [পৃ. ৫৯, ১ম খণ্ড]।

৮. প্রশ্ন: তারা মিথ্যা ও প্রতারণাকে পবিত্র মনে করে— এই কথাটা কি সঠিক এবং তারা তাকে কী নামে নামকরণ করে?

৮. উত্তর: তারা বলে: আমাদের ধর্ম হল ‘তাকিয়্যা’! আর তা হলো: তাদের কোনো ব্যক্তির মনের মধ্যে যা আছে, তার মুখের ভাষায় তার বিপরীত কথা বলা। বস্তুত এটা হল নিরেট মিথ্যা ও কপটতা (নিফাকী)। [পৃ. ৬৮, ১ম খণ্ড]।

দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১০ পর্যন্ত, সর্বমোট ৬৪ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 3 4 5 6 7 পরের পাতা »