উত্তর: শাইখ আব্দুল আযীয ইবন আবদুল্লাহ ইবন বায রহ. বলেন, সালাতুদ-দুহা গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে তা পালন করেছেন এবং সাহাবীগণকে তা পালন করার নির্দেশ দিয়েছেন। (মাজমু‘উল ফাতওয়া: ৩৯৬/১১)
উত্তর: রাসূল্লাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«يُصْبِحُ عَلَى كُلِّ سُلَامَى مِنْ أَحَدِكُمْ صَدَقَةٌ، فَكُلُّ تَسْبِيحَةٍ صَدَقَةٌ، وَكُلُّ تَحْمِيدَةٍ صَدَقَةٌ، وَكُلُّ تَهْلِيلَةٍ صَدَقَةٌ، وَكُلُّ تَكْبِيرَةٍ صَدَقَةٌ، وَأَمْرٌ بِالْمَعْرُوفِ صَدَقَةٌ، وَنَهْيٌ عَنِ الْمُنْكَرِ صَدَقَةٌ، وَيُجْزِئُ مِنْ ذَلِكَ رَكْعَتَانِ يَرْكَعُهُمَا مِنَ الضُّحَى»
“তোমাদের শরীরের প্রতিটি হাড় ও জোড়া সদকা করার দাবি নিয়ে সকালে উপনীত হয়। তোমাদের প্রতিটি তাসবীহ (সুবহানাল্লাহ বলা) সদকা, প্রতিটি তাহমীদ (আল-হামদুলিল্লাহ বলা) সদকা, প্রতি তাহলীল (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু বলা) সাদকা এবং সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজ থেকে নিষেধ করা সাদকা। আর দুই রাকাত সালাতুত-দুহা আদায় করা উল্লিখিত সব কর্মের সমান হবে”। (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৭২০)
উত্তর: শাইখ আব্দুল আযীয ইবন আবদুল্লাহ ইবন বায রহ. বলেন, সূর্য এক ধনুক পরিমাণ উপরে উঠা থেকে নিয়ে পশ্চিম আকাশে হেলে পড়ার আগ পর্যন্ত। উত্তম হলো, এ সালাত পূর্ণ গরম হওয়ার পরপরই পড়ে নেওয়া। আর একেই বলে আউয়াবীনের সালাত। (মাজমু‘উল ফাতওয়া: ৩৯৬/১১)
উত্তর: শাইখ মুহাম্মাদ ইবন সালেহ ইবন উসাইমীন রহ. বলেন, সূর্য এক ধনুক পরিমাণ উঁচু হওয়ার পর থেকে অর্থাৎ সূর্য উদয়ের পনের বা ত্রিশ মিনিট পর থেকে সূর্য ডলে পড়ার পাঁচ-দশ মিনিট পূর্ব পর্যন্ত। (মাজমু‘উল ফাতওয়া: ৩০৬/১৪)
উত্তর: শাইখ আব্দুল আযীয ইবন আবদুল্লাহ ইবন বায রহ. বলেন, সর্বনিম্ন রাকাত সংখ্যা দুই রাকাত। আর যদি চার, ছয় বা আট রাকাত বা তার চেয়েও বেশিও কেউ স্বীয় সামর্থ্য অনুযায়ী আদায় করে, তাতে কোনো অসুবিধা নেই। এ সালাতের রাকাত সংখ্যার সুনির্দিষ্ট কোনো সংখ্যা নির্ধারিত নয়। (মাজমু‘উল ফাতওয়া: ৩৯৯/১১)
শাইখ মুহাম্মাদ ইবন সালেহ ইবন উসাইমীন রহ. বলেন, সর্ব নিম্ন দুই রাকাত। আর বেশির কোনো সীমা নেই। মানুষ তার সামর্থ্য অনুযায়ী আদায় করবে। (মাজমু‘উল ফাতাওয়া: ৩০৫/১৪)।
সর্বনিম্ন দুই রাকাত। বেশির কোনো সীমা নেই। তবে উত্তম হলো, আট রাকাতের অধিক না হওয়া। উচিৎ হলো, প্রতি দুই রাকাতে সালাম ফিরানো। এক সালামের একসাথে পড়া উচিৎ নয়। (আল-লাজনাহ আদ-দায়িমাহ: ১৪৫/৬)
উত্তর: শাইখ আব্দুল আযীয ইবন আবদুল্লাহ ইবন বায রহ. বলেন, সালাতুদ-দুহা প্রতিদিনের সুন্নাত। (মাজমু‘উল ফাতাওয়া: ৩০-৫৯)।
শাইখ মুহাম্মাদ ইবন সালেহ ইবন উসাইমী রহ. বলেন, সবচেয়ে স্পষ্ট কথা হলো, সালাতুদ-দুহা সবসময় সুন্নাত। (আশ-শরহুল মুমতি‘: ৪-৮৩)
উত্তর: শাইখ আব্দুল আযীয ইবন আবদুল্লাহ ইবন বায রহ. বলেন, ইশরাকের সালাত ও সালাতুদ-দুহা একই সালাত। প্রথম ওয়াক্তের মধ্যে সালাতুদ-দুহা আদায় করাকেই ইশরাক বলে। (মাজমু‘উল ফাতাওয়া: ৪০১/১১)
শাইখ মুহাম্মাদ ইবন সালেহ ইবন উসাইমীন রহ. বলেন, ইশরাকের সালাতই হলো সালাতুদ-দুহা, তবে যদি তুমি তা সূর্য উজ্জ্বল হওয়া ও এক ধনুক পরিমাণ উপরে উঠার পর সকাল সকাল আদায় কর, তবে তা হবে ইশরাকের সালাত। আর যদি তা শেষ ওয়াক্তে বা মাঝামাঝি সময়ে আদায় করা হয় তখন তা হবে সালাতুত দুহা। (লিকায়ুল বাব আল-মাফতুহ)
উত্তর: সালাতুদ-দুহার উত্তম সময়, উট (বা গো) বাছুরের গা যখন সূর্যের তাপে গরম হতে শুরু করে। আর তা হলো, সূর্যের আলো পরিপূর্ণ ছড়ানো ও উজ্জল হওয়ার পর থেকে নিয়ে সূর্য মাথা বরাবর হওয়ার আগ পর্যন্ত। (ফাতওয়া বিষয়ক আল-লাজনাহ আদ-দায়িমাহ: ১৪৮/৬)
উত্তর: শাইখ মুহাম্মাদ ইবন সালেহ ইবন উসাইমীন রহ. বলেন, একাধিক ব্যক্তি একত্র হলে কোনো কোনো নফল সালাত জামা‘আতে পড়াতে কোনো অসুবিধা নেই, তবে এটি এমন সুন্নাতে রাতেবা নয় যে, যখনই সুন্নাত সালাত পড়বে তা জামা‘আতের সাথে পড়তে হবে। (মাজমু‘উল ফাতাওয়া: ৩৩৫/১৪)
উত্তর: ঈদ অথবা বৃষ্টির সালাত সালাতুদ-দুহার স্থলাভিষিক্ত হবে না, তা আলাদা সালাত। (আল-লাজনাহ আদ-দায়িমাহ: ২৫৬/৭)