লগইন করুন
উত্তর: জিহ্বার বিষয়টি মহান। একটি বাক্য দ্বারা মানুষ ইসলামে প্রবেশ করে এবং একটি বাক্য দ্বারাই ইসলাম থেকে বের হয়। এ থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাই। জিহ্বার বিচ্যুতি ও পদস্খলন বিভিন্ন প্রকার। (ক) এর মধ্যে রয়েছে এমন কুফরি বাক্য, যা ঈমান বিনষ্ট করে ফেলে ও আমল ধ্বংস করে দেয়। যেমন, আল্লাহ বা তার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে গাল-মন্দ করা অথবা মহান নেতা ও অলীদের রুবুবিয়্যাতের গুণে গুণান্বিত করা, তাদের কাছে ফরিয়াদ করা এবং তাদের প্রতি কল্যাণ ও মানুষের যা হাসিল হয় তা সম্বন্ধ করা। (খ) তাদের প্রশংসায় সীমালঙ্ঘনকারী শব্দ প্রয়োগ করা, তাদেরকে মানবীয় বৈশিষ্ট্যের ঊর্ধ্বে তুলে ধরা, তাদের নামে কসম করা অথবা শরীয়ত ও তার বিধান নিয়ে উপহাস ও ঠাট্টা করা। (গ) আল্লাহর শরীয়তের হুকুম-আহকামের প্রতি অসন্তুষ্টির বাক্য উচ্চারণ করা অথবা দুনিয়াতে তাকদীরের নির্ধারণ অনুযায়ী জান-মাল, সন্তান ইত্যাদি ক্ষেত্রে যে মসীবত আসে তার ওপর প্রশ্ন এবং আপত্তি উত্থাপন করা।
এমন কিছু কবিরা গুনাহ আছে, যা ঈমানের ক্ষতি করে এবং তা ও হ্রাস করে। তার মধ্যে গীবত ও চোগলখুরী অন্যতম। অতএব আল্লাহর শরীয়ত ও তাঁর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নত পরিপন্থী প্রত্যেক শব্দ থেকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা চাই এবং তা থেকে আমাদের জবান হিফাজত করা আবশ্যক। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “বান্দা আল্লাহর সন্তুষ্টি বিধায়ক এমন কথা বলে, যার প্রতি সে বিশেষ গুরুত্বারোপ করে না, কিন্তু আল্লাহ তাকে তা দ্বারা অনেক উচ্চে আসীন করেন। অনুরূপ বান্দা আল্লাহর ক্রোধ উদ্রেককারী এমন কথা বলে ফেলে, যার প্রতি সে বিশেষ গুরুত্বারোপ করে না, কিন্তু তার কারণে সে জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হয়”। [সহীহ বুখারী]