লগইন করুন
উত্তর: বল, আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই, এই সাক্ষ্য দেওয়ার অর্থ, আল্লাহ ব্যতীত সত্যিকার কোনো মাবুদ নেই। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿وَإِذۡ قَالَ إِبۡرَٰهِيمُ لِأَبِيهِ وَقَوۡمِهِۦٓ إِنَّنِي بَرَآءٞ مِّمَّا تَعۡبُدُونَ ٢٦ إِلَّا ٱلَّذِي فَطَرَنِي فَإِنَّهُۥ سَيَهۡدِينِ ٢٧ وَجَعَلَهَا كَلِمَةَۢ بَاقِيَةٗ فِي عَقِبِهِۦ لَعَلَّهُمۡ يَرۡجِعُونَ ٢٨﴾
[الزخرف: ٢٦، ٢٨]
“আর স্মরণ কর যখন ইবরাহীম স্বীয় পিতা ও তার কওমকে বলেছিল, তোমরা যেগুলোর ইবাদত কর, নিশ্চয় আমি তাদের থেকে মুক্ত। তবে তিনি ছাড়া যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর নিশ্চয় তিনি আমাকে শীঘ্রই হিদায়াত দিবেন। আর এটিকে সে তার উত্তরসূরিদের মধ্যে এক চিরন্তন বাণী বানিয়ে রেখে গেল, যাতে তারা সেদিকেই প্রত্যাবর্তন করতে পারে”। [আয-যুখরুফ, আয়াত: ২৮] অপর আয়াতে বলেন,
﴿ذَٰلِكَ بِأَنَّ ٱللَّهَ هُوَ ٱلۡحَقُّ وَأَنَّ مَا يَدۡعُونَ مِن دُونِهِ ٱلۡبَٰطِلُ وَأَنَّ ٱللَّهَ هُوَ ٱلۡعَلِيُّ ٱلۡكَبِيرُ ٣٠﴾ [لقمان: ٣٠]
“এগুলো প্রমাণ করে যে, নিশ্চয় আল্লাহই সত্য এবং তারা আল্লাহর পরিবর্তে যাকে ডাকে, তা বাতিল। নিশ্চয় আল্লাহই হলেন সর্বোচ্চ, সুমহান”। [সূরা লুকমান, আয়াত: ২৯]
আর মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসূল, এই সাক্ষ্য দেওয়ার অর্থ, আমরা বিশ্বাস ও স্বীকার করি যে, তিনি আল্লাহর বান্দা ও রাসূল। তিনি বান্দা, তার ইবাদত করা যাবে না, তিনি নবী, অস্বীকার করা যাবে না। তিনি যা নির্দেশ করেন তা মানতে হবে এবং যে সংবাদ দেন, তা বিশ্বাস করতে হবে। তিনি যা থেকে নিষেধ ও সতর্ক করেছেন তা থেকে বিরত থাকতে হবে। আর তিনি যা প্রবর্তন করেছেন, তা ব্যতীত অন্য কিছুর মাধ্যমে আল্লাহর ইবাদত করা যাবে না।
উম্মতের ওপর তার হক হচ্ছে, সম্মান ও মর্যাদা দান করা, ভালোবাসা এবং প্রত্যেক সময় ও মুহূর্তে নিঃশর্ত ভাবে সাধ্যানুযায়ী তার অনুসরণ করা। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿قُلۡ إِن كُنتُمۡ تُحِبُّونَ ٱللَّهَ فَٱتَّبِعُونِي يُحۡبِبۡكُمُ ٱللَّهُ وَيَغۡفِرۡ لَكُمۡ ذُنُوبَكُمۡۚ ٣١﴾ [ال عمران: ٣١]
“বল, তোমরা যদি আল্লাহকে ভালোবাসো, তাহলে আমার অনুসরণ কর, আল্লাহ তোমাদেরকে ভালোবাসবেন এবং তোমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করে দেবেন”। [সূরা আলে-ইমরান, আয়াত: ৩১]