লগইন করুন
উত্তর: বল, ফিরিশতাদের প্রতি ঈমান হচ্ছে, তাদের অস্তিত্ব, গুণাবলি, ক্ষমতা, কাজ এবং তাদের যা নির্দেশ করা হয় তা পালন করা ইত্যাদির প্রতি সত্যায়ন ও দৃঢ় বিশ্বাস রাখা। সেই সঙ্গে আরো বিশ্বাস করা যে, তারা আল্লাহর মর্যাদাবান মহান সৃষ্টি। আল্লাহ তাদেরকে নূর দ্বারা সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿لَّا يَعۡصُونَ ٱللَّهَ مَآ أَمَرَهُمۡ وَيَفۡعَلُونَ مَا يُؤۡمَرُونَ ٦﴾ [التحريم: ٦]
“আল্লাহ তাদেরকে যে নির্দেশ দিয়েছেন সে ব্যাপারে তারা অবাধ্য হয় না। আর তারা তাই করে যা তাদেরকে আদেশ করা হয়”। [সূরা আত-তাহরীম: ৬] তাদের পাখা রয়েছে দু’টো দু’টো, তিনটে তিনটে, চারটে চারটে এবং তার চেয়েও অধিক। তাদের সংখ্যা অনেক। আল্লাহ ব্যতীত তাদের সংখ্যা কেউ জানে না। আল্লাহ তাদেরকে বড় বড় অনেক দায়িত্ব দিয়েছেন। তাদের কেউ আরশের ধারক, কেউ মাতৃগর্ভের দায়িত্বে, কেউ আমল সংরক্ষণ করার কাজে, কেউ বান্দাদের হিফাযত করার কাজে, কেউ জান্নাত ও জাহান্নামের পাহারাদারি প্রভৃতি গুরু দায়িত্বে নিয়োজিত। আর তাদের মধ্যে সর্বোত্তম হলেন জিবরীল আলাইহিস সালাম। তিনি নবীদের ওপর নাযিলকতৃ অহীর দায়িত্বে নিয়োজিত। অতএব আমরা তাদের ব্যাপারে সংক্ষিপ্ত ও বিস্তারিতভাবে ঈমান আনব। যেরূপ সংবাদ দিয়েছেন আমাদের রব তার কিতাবে ও তার রাসূল স্বীয় সুন্নতে। সুতরাং যে ব্যক্তি ফিরিশতাদের অস্বীকার করবে কিংবা মনে করবে, তাদের হাকীকত আল্লাহ যেরূপ সংবাদ দিয়েছেন সেরূপ নয় সে কাফির। কারণ, সে আল্লাহ ও তার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সংবাদকে অস্বীকার করেছে।