লগইন করুন
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
فَلَا تَدۡعُواْ مَعَ ٱللَّهِ أَحَدٗا
“কাজেই তোমরা আল্লাহর সাথে অন্য কাউকে ডেকো না।” [সূরা আল-জিন্ন, আয়াত: ১৮]
এখানে ‘আহাদান’ শব্দটি ‘নাকেরা’ না বাচক এর স্থানে ব্যবহৃত হওয়ায় সার্বজনীন এর অর্থ দেয়। অর্থাৎ এক আল্লাহ ব্যতীত কাউকে ডাকা হবে না। আর আল্লাহ ব্যতীত অন্যকে ডাকা বড় শির্ক যা ব্যক্তির সব আমলকে ধ্বংস করে দেয়। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
وَقَدِمۡنَآ إِلَىٰ مَا عَمِلُواْ مِنۡ عَمَلٖ فَجَعَلۡنَٰهُ هَبَآءٗ مَّنثُورًا
“আর তারা যে কাজ করেছে আমি সে দিকে অগ্রসর হব। অতঃপর তাকে বিক্ষিপ্ত ধুলিকণায় পরিণত করে দেবো।” [সূরা আল-ফুরকান, আয়াত: ২৩]
এ বিষয়ে আরো দলীল হল সূরা আল-আ‘রাফের শেষে আল্লাহ তা‘আলার বাণী:
﴿أَيُشۡرِكُونَ مَا لَا يَخۡلُقُ شَيۡٔٗا وَهُمۡ يُخۡلَقُونَ ١٩١ وَلَا يَسۡتَطِيعُونَ لَهُمۡ نَصۡرٗا وَلَآ أَنفُسَهُمۡ يَنصُرُونَ ١٩٢ وَإِن تَدۡعُوهُمۡ إِلَى ٱلۡهُدَىٰ لَا يَتَّبِعُوكُمۡۚ سَوَآءٌ عَلَيۡكُمۡ أَدَعَوۡتُمُوهُمۡ أَمۡ أَنتُمۡ صَٰمِتُونَ ١٩٣ إِنَّ ٱلَّذِينَ تَدۡعُونَ مِن دُونِ ٱللَّهِ عِبَادٌ أَمۡثَالُكُمۡۖ فَٱدۡعُوهُمۡ فَلۡيَسۡتَجِيبُواْ لَكُمۡ إِن كُنتُمۡ صَٰدِقِينَ ١٩٤ أَلَهُمۡ أَرۡجُلٞ يَمۡشُونَ بِهَآۖ أَمۡ لَهُمۡ أَيۡدٖ يَبۡطِشُونَ بِهَآۖ أَمۡ لَهُمۡ أَعۡيُنٞ يُبۡصِرُونَ بِهَآۖ أَمۡ لَهُمۡ ءَاذَانٞ يَسۡمَعُونَ بِهَاۗ قُلِ ٱدۡعُواْ شُرَكَآءَكُمۡ ثُمَّ كِيدُونِ فَلَا تُنظِرُونِ ١٩٥ إِنَّ وَلِـِّۧيَ ٱللَّهُ ٱلَّذِي نَزَّلَ ٱلۡكِتَٰبَۖ وَهُوَ يَتَوَلَّى ٱلصَّٰلِحِينَ ١٩٦ وَٱلَّذِينَ تَدۡعُونَ مِن دُونِهِۦ لَا يَسۡتَطِيعُونَ نَصۡرَكُمۡ وَلَآ أَنفُسَهُمۡ يَنصُرُونَ ١٩٧﴾ [الاعراف: ١٩١، ١٩٧]
“তারা কি এমন বস্তুকে শরীক করে যারা কিছুই সৃষ্টি করে না? বরং ওরা নিজেরাই সৃষ্ট, ওরা না তাদেরকে সাহায্য করতে পারে আর না নিজেদেরকে সাহায্য করতে পারে। আর তোমরা তাদেরকে সৎপথে ডাকলেও তারা তোমাদেরকে অনুসরণ করবে না; তোমরা ওদেরকে ডাক বা চুপ থাক, তোমাদের জন্য উভয়ই সমান। আল্লাহ ছাড়া তোমরা যাদেরকে আহ্বান কর তারা তো তোমাদেরই মতো বান্দা; সুতরাং তোমরা তাদেরকে ডাক, অতঃপর তারা যেন তোমাদের ডাকে সাড়া দেয়, যদি তোমরা সত্যবাদী হও। তাদের কি পা আছে যা দিয়ে ওরা চলে? তাদের কি হাত আছে যা দিয়ে ওরা ধরে? তাদের কি চোখ আছে যা দিয়ে ওরা দেখে? কিংবা তাদের কি কান আছে যা দিয়ে ওরা শুনে? বলুন, ‘তোমরা যাদেরকে আল্লাহর শরীক করেছ তাদেরকে ডাক তারপর আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র কর এবং আমাকে অবকাশ দিও না’। আর আল্লাহ ছাড়া তোমরা যাদেরকে ডাক তারা তো তোমাদেরকে সাহায্য করতে পারে না এবং তারা তাদের নিজেদেরকেও সাহায্য করতে পারে না।” [সূরা আল-আ‘রাফ: ১৯১-১৯৭]
এ আয়াতসমূহ সুস্পষ্ট দলীল যে, আল্লাহ ব্যতীত অন্যের কাছে দো‘আ করা বড় শির্ক এবং মুসলিম মিল্লাত থেকে বহিষ্কারকারী।