লগইন করুন
শিশুদের শিক্ষা-দীক্ষা তা‘লীম-তরবিয়তের ক্ষেত্রে স্কুল, মাদরাসা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা ও তা‘লীম-তরবিয়ত প্রদান করার বিষয়টি নির্ভর করে পারিবারিক শিক্ষা বা বাবা-মা ও অভিভাবকদের শিক্ষার ওপর। স্কুল, মাদরাসা, মক্তব তথা সামাজিক প্রতিষ্ঠানের তুলনায় একজন অভিভাবক, বাবা-মা তার সন্তান তা‘লীম-তরবিয়ত প্রদান করতে অধিক সক্ষম। কারণ, বাবা-মা ও অভিভাবক তার একটি সন্তানের ইতিবাচক ও নেতিবাচক সার্বিক দিক খুব ভালোভাবে বিবেচনা করতে পারে। অনেকেই ইতিবাচক বিষয়গুলো প্রতিষ্ঠা করতে অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে সার্বক্ষণিকভাবে চেষ্টা করে। কিন্তু একটি প্রতিষ্ঠানের সে সমস্ত দিকগুলো বিবেচনা করা সহজসাধ্য না হওয়ার কারণে তারা লাগামহীনভাবে তা‘লীম-তরবিয়ত প্রদান করতে থাকে। আবার কোনো কোনো সময় সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে নানা ধরনের সমস্যাও থাকতে পারে। এজন্য প্রত্যাশিত তা‘লীম-তরবিয়তের বেলায় বাবা-মা এবং অভিভাবকদের ভূমিকাই অধিক গুরুত্বপূর্ণ।
একটি আদর্শ পরিবারের হাতেই রয়েছে শিশুদের তা‘লীম-তরবিয়তের সর্বাধিক ক্ষমতা ও শক্তি। এজন্য শিশুদের তা‘লীম-তরবিয়তের ক্ষেত্রে পরিবারকে শিশুদের চোখে আয়না বা রঙ্গিন চশমার সাথে তুলনা করা হয়। রঙ্গিন চশমা যেমন চোখে লাগালে, প্রকৃতির দৃশ্যও রঙ্গিন দেখায় তেমনিভাবে পরিবার তার সন্তানকে যা বুঝাবে, যা শিক্ষা দিবে, তাই বুঝবে ও শিখবে। শিশু কি দেখল অথবা কি শুনল সেটি বড় কথা নয়, বরং শিশুদের ক্ষেত্রে বড় কথা হচ্ছে শিশুদের কি বুঝানো হচ্ছে। এজন্য দেখা যায়, একই প্রতিষ্ঠানের একই সিলেবাস একই শিক্ষকের তত্বাবধানে ছাত্র ও শিশুগুলো ভিন্ন প্রকৃতি ও ভিন্ন স্বভাবের হয়ে থাকে। অথচ কথা ছিল একই প্রকৃতি একই স্বভাবের হওয়ার। কিন্তু তারপরও ভিন্ন প্রকৃতি ও ভিন্ন স্বভাবের হওয়ার কারণ হচ্ছে পারিবারিক প্রভাব এবং বন্ধু-বান্ধব ও প্রতিবেশী পরিবেশের প্রভাব। এজন্য শিশুদের আত্মিক, মানসিক ও জৈবিক গঠনের ক্ষেত্রে, শিক্ষা-দীক্ষায় বাবা-মা ও অভিভাবকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হয়।