লগইন করুন
কোন হুকুমের ব্যাপারে যখন পূর্বোক্ত দলীল সমূহ (কুরআন, হাদীছ, ইজমা ও ক্বিয়াস) এক সাথে আসে অথবা তাদের মধ্যে যে কোন একটি দলীল আসে এবং তার বিরোধী কোন দলীল না আসে, তাহলে সেই হুকুম সাব্যস্ত করা ওয়াজিব। আর যদি দলীল গুলো পরস্পরে বিরোধপূর্ণ হয়, তবে তাদের মাঝে সমন্বয় করা সম্ভব হয়, সমন্বয় করা আবশ্যক। সমন্বয় করা সম্ভব না হলে, ‘রহিতকরণ’ এর মাধ্যমে আমল করা হবে। যদি তার শর্তসমূহ পরিপূর্ণ ভাবে পাওয়া যায়।
‘রহিতকরণ’ সাব্যস্ত করা সম্ভব না হলে, এর কোন একটিকে অপরটির উপর অগ্রাধিকার দেয়া আবশ্যক হবে। এক্ষেত্রে কুরআন সুন্নাহর-
نص কেظاهر এর উপর, ظاهر কে مؤول এর উপর, منطوق (বাচনিক) কে مفهوم (বোধগম্যতা) এর উপর, مثبت (হ্যা বাচক) কে نافي (না বাচক) এর উপর, أصلসম্পর্কে বর্ণনা দানকারী যা أصل এর উপর বহাল রয়েছে- তার উপর, সংরক্ষিত عام কে (যে عام কে কোন ভাবেই خاص করা হয়নি) অসংরক্ষিত عام (যে عام কে অন্য কোন ভাবে خاص করা হয়েছে) এর উপর,
যার মধ্যে গ্রহণযোগ্যতার বৈশিষ্ট্য বেশি রয়েছে, তাকে কম বৈশিষ্ট্য সম্পন্নের উপর,
ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বর্ণনাকে যিনি ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট নন, তার বর্ণনার উপর অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
ক্বিয়াসের মধ্যে قياس جلي কে قياس خفي এর উপর, ইজমার মধ্যে قطعي ইজমাকে ظني ইজমার উপর অগ্রাধিকার দেয়া হবে।