লগইন করুন
خبر এর সংজ্ঞা: خبر এর আভিধানিক অর্থ: সংবাদ দেয়া।
এখানে খবর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো এমন কথা, কাজ, অনুমোদন অথবা গুণাগুণ- যা রসূল ছবাল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর দিকে সম্পর্কযুক্ত করা হয়।[1]
কথা বা বাণী সম্পর্কে অনেক বিধি বিধান চলে গিয়েছে। অতঃপর এখন আলোচনা হবে তার কর্ম সম্পর্কে। রসূল ছবাল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কর্ম বিভিন্ন ধরণের।
প্রথম প্রকার: প্রকৃতির চাহিদানুসারে যে কর্ম তিনি পালন করেছেন। যেমন: খাওয়া, পান করা, ঘুমানো প্রভৃতি। এসব কর্মের ব্যাপারে সত্তাগতভাবে কোন হুকুম নেই। তবে কোন কারণ বশতঃ এসব আদিষ্ট বা নিষিদ্ধ হতে পারে। আবার অনেক সময় এদের পালনীয় বৈশিষ্ট্যও থাকতে পারে। যেমন: ডান হাতে খাওয়া। অথবা নিষিদ্ধ বৈশিষ্ট্যও থাকতে পারে। যেমন: বাম হাতে খাওয়া।
দ্বিতীয় প্রকার: অভ্যাসগতভাবে তিনি যা করেছেন। যেমন: পোশাকের বৈশিষ্ট্য। এগুলি সত্তাগতভাবে মুবাহ বা বৈধ। তবে কারণ বশতঃ এগুলি আদিষ্ট বা নিষিদ্ধ হতে পারে।
তৃতীয় প্রকার: যে সব কর্ম তিনি খাছভাবে পালন করেছেন। এগুলো কেবল তার জন্যই খাছ হবে। যেমন: একাদিক্রমে সিয়াম রাখা, কোন মহিলা নিজেকে উৎসর্গ করলে তাকে বিবাহ করা প্রভৃতি।
দলীল ছাড়া কোন কর্মকেই তার জন্য خاص হওয়ার হুকুম দেওয়া যাবে না। কেননা তার কর্মের ব্যাপারে শরীয়াতে মূলনীতি হলো তার অনুসরণ করা।
চতুর্থ প্রকার: যা তিনি ইবাদত হিসাবে পালন করেছেন। এক্ষেত্রে তার উপর ওয়াজিব হলো তা পালন করা, যাতে করে আমলটির প্রচার হয়। কেননা, এগুলো প্রচার করা তার উপর ওয়াজিব।
অতঃপর তা পালন করা অধিকতর বিশুদ্ধ মতানুসারে, আমাদের এবং তার জন্য বাঞ্চনীয়। এটি এজন্য যে, ইবাদত হিসেবে তার কর্মপালন, কর্মটি শরীয়াতসিদ্ধ হওয়ার উপর প্রমাণ করে। এক্ষেত্রে আরো মূলনীতি হলো, তা বর্জন করার জন্য শাস্তি না হওয়া। কাজেই সেটি এমন শরীয়াতসিদ্ধ বিষয় হিসাবে গণ্য হবে, যা বর্জনে শাস্তি নেই। এটিই হলো মানদুব কর্মের বাস্তব অবস্থা।
এর দৃষ্টান্ত হলো আয়েশা (রা.) এর বর্ণিত হাদীছ। তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিলো, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন বাড়ীতে প্রবেশ করতেন, তখন তিনি প্রথমে কি করতেন? তিনি বলেন: ‘মিসওয়াক করতেন’।[2]
বাড়ীতে প্রবেশের সময় মিসওয়াক করার ব্যাপারে শুধুমাত্র তার কর্মই পাওয়া যায়। কাজেই এটি মানদুব (পালনীয়) হিসাবে গণ্য হবে।
আরো একটি উদাহরণ হলো, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উযূ করার সময় দাড়ি খেলাল করতেন।[3] আর দাড়ি খেলাল করা চেহারা ধৌত করার অন্তর্ভুক্ত নয় যে, সেটি ব্যাখ্যাহীন বিষয়ের ব্যাখ্যা হিসাবে গণ্য হবে। এটা কেবল তার কর্ম। কাজেই এটি মানদুব হিসাবে গণ্য হবে।
পঞ্চম প্রকার: কুরআন অথবা হাদীছের مجمل বা ব্যাখ্যাহীন বিষয়ের بيان বা বাখ্যা হিসাবে যে কাজ তিনি সম্পন্ন করেছেন। এমন কাজ পালন করা তার উপর আবশ্যক, যাতে মানুষের নিকট কর্মটির ব্যাখ্যা অর্জিত হয়। যেহেতু এমন কর্মের প্রচার করা তার উপর ওয়াজিব।
অতঃপর তার ও আমাদের জন্য এমন কর্মের হুকুম হিসেবে ব্যাখ্যাকৃত نص এর হুকুমই সাব্যস্ত হবে। যদি نص এর হুকুম, ওয়াজিব হয়, তাহলে এ কর্মটিও ওয়াজিব হবে। نص এর হুকুম মানদুব হলে, কর্মটির হুকুমও মানদুব হবে। ওয়াজিবের উদাহরণ হলো ফরয ছ্বালাতের কর্মসমূহ, যা রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিম্নোক্ত মুজমাল আয়াতের ব্যাখ্যা হিসেবে পালন করেছেন। আল্লাহর বাণী:
وَأَقِيمُوا الصَّلَاةَ
‘তোমরা ছ্বলাত প্রতিষ্ঠা করো (সূরা আল-বাক্বারা ২:৪৩)।’
মানদুবের উদাহরণ হলো: বাইতুল্লাহ তাওয়াফ সম্পন্ন করার পর মাকামে ইবরাহীমের পিছনে তার দু’রাকাত ছ্বলাত আদায় করা।[4] তার এ ছ্বলাত আদায় কুরআনের নিম্নোক্ত আয়াতের ব্যাখ্যা স্বরূপ। আল্লাহর বাণী:
وَاتَّخِذُوا مِنْ مَقَامِ إِبْرَاهِيمَ مُصَلًّى
‘‘তোমরা মাকামে ইবরাহিমকে (ইব্রাহীমের দাঁড়ানোর জায়গাকে) ছ্বালাতের জায়গা হিসাবে গ্রহণ করো (সূরা আল-বাক্বারা ২:১২৫)।’’
রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আয়াতটি পাঠ করতে করতে মাকামে ইবরাহিমে আগমন করেছিলেন। এর পিছনে ছ্বলাত আদায় করা সুন্নাত।
কোন কিছুর ব্যাপারে তার স্বীকৃতি, সেটি জায়েয হওয়ার দলীল। তবে সেটি ঐ পদ্ধতিতে জায়েয হবে, সে পদ্ধতির উপর তিনি স্বীকৃতি দিয়েছেন। চাই সেটি কথা হোক বা কর্ম হোক।
কোন কথার উপর তার স্বীকৃতি দেয়ার উদাহরণ হলো: ঐ দাসীর কথাকে স্বীকৃতি দেওয়া, যাকে তিনি প্রশ্ন করেছিলেন, ‘আল্লাহ কোথায়?’ দাসী বলেছিলো, ‘আসমানে’।[5]
কোন কর্মের ব্যাপারে তাঁর স্বীকৃতি দেয়ার উদাহরণ: একটি ক্ষুদ্র সেনাদলের সেনাধ্যক্ষের কর্মের স্বীকৃতি। যিনি তার অধীনস্থ ছাহাবীদের নিয়ে ছ্বালাতে কিরা’আত শেষে সূরা ইখলাস পড়তেন। আল্লাহর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেন, তোমরা তাকে জিজ্ঞাস করো, সে কেন এমন করে থাকে?’ অতঃপর লোকজন তাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জবাবে বলেন, যেহেতু সূরাটিতে আল্লাহর ছিফাত বর্ণিত হয়েছে, এজন্যই আমি এটি পড়তে ভালবাসি। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেন, তোমরা তাকে জানিয়ে দিও যে, আল্লাহও তাঁকে ভালবাসেন।[6]
আরো একটি দৃষ্টান্ত দেয়া হলো: হাবশীদের ইসলামে উদ্ভুদ্ধ করার জন্য মসজিদে তাদের খেলাধুলা করার স্বীকৃতি দেওয়া।[7]
অতঃপর যে সব কর্ম তাঁর যামানায় সংঘটিত হয়েছে অথচ তিনি তা জানেন নি। সেক্ষেত্রে উক্ত কর্মকে তাঁর দিকে সম্পৃক্ত করা যাবে না। তবে উক্ত কর্মসমূহের ব্যাপারে আল্লাহ তা‘আলার সম্মতি থাকার কারণে তা দলীল হিসাবে গণ্য হবে। এজন্য ছাহাবীরা আযল[8] জায়েয হওয়ার ব্যাপারে তাদের আযল করার উপর আল্লাহর সম্মতিকে দলীল হিসাবে গ্রহণ করেছেন। জাবির (রা.) বলেন, আমরা আযল করতাম এমতাবস্থায় যে তখন কুরআন নাযিল হতো।[9]
ইমাম মুসলিম বর্ধিতভাবে বর্ণনা করেছেন, সুফিয়ান সাওরী বলেছেন, যদি এটি নিষিদ্ধ হওয়ার মত কোন বিষয় হতো, তবে কুরআন আমাদেরকে অবশ্যই তা নিষেধ করে দিতো।
এ ব্যাপারে আল্লাহর সম্মতি রয়েছে তার দলীল-প্রমাণ হলো, মুনাফিকরা যে সব জঘন্য কর্ম গোপন করতো, আল্লাহ তায়ালা তা প্রকাশ করে দিয়েছেন এবং তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। সুতরাং প্রমাণিত হয় যে, আল্লাহ তা‘য়ালা যে সব কর্মের ব্যাপারে নিরব থেকেছেন তা জায়েয কর্ম।
রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দিকে সম্পর্কিত ‘চারিত্রিক গুণের’ দৃষ্টান্ত হলো:
كان النبي صلى الله عليه وسلم أجود الناس وأشجع الناس
‘‘ রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মানুষের মাঝে সবচেয়ে বেশী দানশীল এবং সবচেয়ে বড় বীর পুরুষ ছিলেন।’’
রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দিকে সম্পর্কিত আকৃতিগত গুণের দৃষ্টান্ত হলো নিচের হাদীছ:
كان النبي صلى الله عليه وسلم ربعة من الناس ليس بالطويل ولا بالقصير
রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মধ্যম আকৃতির মানুষ ছিলেন। খুব বেশী লম্বা ছিলেন না; আবার খাটোও ছিলেন না।’’
খবরকে যাদের দিকে সম্পর্কযুক্ত করা হয়, তাদের বিবেচনায় এর প্রকারভেদ:
খবর যাদের দিকে সম্পর্কযুক্ত করা হয়, তাদের বিবেচনায় তিন প্রকার। যথা:
(১) মারফু: যে খবরকে বাস্তবিকভাবে অথবা বিধানগত ভাবে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দিকে সম্পর্কযুক্ত করা হয়, তাকে মারফু বলে।
বাস্তবিকভাবে মারফু হলো রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কথা, কাজ ও তাঁর অনুমোদন।
বিধানগত ভাবে মারফু হলো যে সব কর্মকে তাঁর সুন্নাতের দিকে অথবা তাঁর যামানার দিকে সম্পর্কযুক্ত করা হয়, যেগুলি সরাসরি তাঁর সম্পৃক্ততার উপর প্রমাণ করে না। এর অন্যতম হলো ছাহাবীদের এরকম বলা ‘আমাদের আদেশ করা হয়েছে বা নিষেধ করা হয়েছে’ অথবা এ জাতীয় শব্দ বলা। যেমন: আব্দুল্লাহ বিন আব্বাসের কথা:
أمر الناس أن يكون آخر عهدهم بالبيت إلا أنه خفف عن الحائض
‘‘লোকদেরকে আদেশ দেওয়া হয় যে, হজ্জে তাদের শেষ কর্ম যেন তাওয়াফ করা হয়। তবে তিনি এ বিধানটি ঋতুবতী মহিলাদের জন্য সহজ করে দিয়েছেন।’’ [10]
অনুরূপভাবে উম্মু আতিয়্যার কথা:
نهينا عن اتباع الجنائز ولم يعزم علينا
‘‘আমাদেরকে জানাযায় অনুসরণ করতে নিষেধ করা হয়েছে। তবে কড়াকড়ি ভাবে বলা হয়নি।’’[11]
(২) মাওকুফ: যে হাদীছ ছাহাবীদের দিকে সম্পর্কযুক্ত করা হয় এবং মারফু এর হুকুম সাব্যস্ত করা হয় না, তাকে মাওকুফ হাদীছ বলে। এটি অগ্রগণ্য মতানুসারে দলীল হিসাবে বিবেচিত হবে। তবে এটি যদি কুরআন ও হাদীছের স্পষ্ট বর্ণনার সাথে কিংবা অপর কোন ছাহাবীর বক্তব্যের সাথে বিরোধপূর্ণ হয়, তাহলে ভিন্ন হুকুম হবে। কুরআন ও হাদীছের স্পষ্ট বর্ণনার সাথে বিরোধপূর্ণ হলে, কুরআন ও হাদীছের স্পষ্ট বর্ণনা গ্রহণ করা হবে। আর অন্য ছাহাবীর বক্তব্যের সাথে বিরোধপূর্ণ হলে, অগ্রাধিকারযোগ্য মতটি গ্রহণ করা হবে।
সাহাবীর সংজ্ঞা: ‘‘সাহাবী ঐ ব্যক্তিকে বলা হয়, যিনি বিশ্বাসী অবস্থায় এর সাথে মিলিত হয়েছেন এবং এই অবস্থার উপরই মৃত্যু বরণ করেছেন।’’
(৩) মাকতু’: যে হাদীছ তাবেঈ বা পরবর্তী কোন ব্যক্তির দিকে সম্পর্কযুক্ত করা হয়, তাকে মাকতু’ হাদীছ বলা হয়।’
তাবেঈ: ‘তাবেঈ ঐ ব্যক্তি যিনি রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি বিশ্বাসী অবস্থায় ছাহাবীদের সাথে মিলিত হয়েছেন এবং এ অবস্থার উপরই মুত্যু বরণ করেছেন।’
সনদের দিক দিয়ে হাদীছের প্রকারভেদ:
সনদের দিক দিয়ে খবর দু’ভাগে বিভক্ত: (১) المتواتر - (খবরে মুতাওয়াতির) (২) الآحاد (খবরে আহাদ)।
(১) المتواتر-(খবরে মুতাওয়াতির): ঐ হাদীছকে বলে যা এতো বিপুল সংখ্যক রাবী হাদীছ বর্ণনা করেন যে, মানব প্রকৃতি স্বভাবতই তাদের মিথ্যার উপর একমত হওয়া অসম্ভব মনে করবে এবং তারা এটি ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য পন্থায় বর্ণনা করবে। এর উদাহরণ হলো রসূলের বাণী:
من كذب علي متعمدا فاليتبواء مقعده من النار
‘যে ব্যক্তি আমার নামে মিথ্যা কথা বলে, সে যেন তার ঠিকানা জাহান্নাম করে নেয়।’[12]
(২) الآحاد (খবরে আহাদ): মুতাওয়াতির ছাড়া বাকী সবই খবরে আহাদ।
এটি মর্যাদাগত দিক দিয়ে তিন প্রকার। যথা : ১.الصحيح (ছহীহ) ২. الحسن (হাসান) ৩. الضعيف (দ্বঈফ)
১. الصحيح (ছহীহ): ‘ যে হাদীছ ন্যায়নিষ্ঠ পূর্ণ স্মৃতিশক্তি সম্পন্ন রাবী অবিচ্ছিন্ন সনদে বর্ণনা করেন এবং যা শায[13] ও হাদীছের বিশুদ্ধতাকে নষ্টকারী গোপন সূক্ষ্ম দোষ-ক্রটি মুক্ত হয়।’
২. الحسن (হাসান): যে হাদীছ ‘হালকা স্মৃতিশক্তি সম্পন্ন রাবী অবিচ্ছিন্ন সনদে বর্ণনা করেন এবং যা শায ও হাদীছের বিশুদ্ধতাকে নষ্টকারী গোপন সূক্ষ্ম দোষ-ক্রটি থেকে মুক্ত হয়, তাকে হাসান হাদীছ বলে।’ এ ধরণের হাদীছ একাধিক সনদ থাকলে সেটি ছহীহ হাদীছের স্তরে পৌছে যায় এবং সেটিকে ‘ছহীহ লিগাইরিহী’ হিসাবে অভিহিত করা হয়।
৩. الضعيف (দ্বঈফ): যে হাদীছের মধ্যে ছহীহ ও হাসান হাদীছের শর্তসমূহ অবিদ্যমান থাকে, তাকে দ্বঈফ হাদীছ বলে। এ ধরণের হাদীছের যখন একাধিক সনদ এমন ভাবে থাকে, যার একটি অপরটির দিকে শক্তিশালী করে, তখন সেটি হাসানের স্তরে পৌছে যায়। এটিকে ‘হাসানে লিগাইরিহী’ বলা হয়।
দ্বঈফ হাদীছ ছাড়া বাকী সব ধরণের হাদীছই দলীল হিসাবে গণ্য। দ্বঈফ হাদীছ দলীল যোগ্য নয়। তবে সেগুলোকে অন্য হাদীছের শাহেদ (সমর্থক বর্ণনা) হিসাবে পেশ করাতে কোন দোষ নেই।
[2]. ছ্বহীহ মুসলিম হা/২৫৩
[3]. তিরমিযী হা/২৯-৩০, ইবনু মাজাহ হা/৪২৯
[4]. ছ্বহীহ মুসলিম হা/১২১৮
[5]. ছ্বহীহ মুসলিম হা/৫৩৭
[6]. ছ্বহীহ বুখারী হা/৭৩৭৫, ছ্বহীহ মুসলিম হা/৮১৩।
[7]. ছ্বহীহ বুখারী হা/৪৫৪
[8]. আযল হলো স্ত্রীর সাথে যথারীতি মিলন করে বীর্যপাতের ঠিক পূর্বক্ষণে স্ত্রীর যোনী থেকে পুরুষাঙ্গ বের করে বাইরে বীর্যপাত ঘটানো। সাধারণভাবে এ আযল করা মাকরূহ বা নিন্দনীয়। তবে প্রয়োজনীয় অবস্থায় তা জায়েয বলে গণ্য হবে।
[9]. ছহীহ বুখারী /৫২০৭, ছহীহ মুসলিম /১৪৪০।
[10]. ছ্বহীহ বুখারী হা/১৭৫৫, ছ্বহীহ মুসলিম হা/১৩২৮।
[11]. ছ্বহীহ বুখারী হা/১২৭৮, ছ্বহীহ মুসলিম হা/৯৩৮।
[12]. ছ্বহীহ বুখারী হা/১১০, ছ্বহীহ মুসলিম হা/৪ ভূমিকা।
[13]. শায হলো কোন নির্ভরযোগ্য রাবী তার চেয়ে অধিকতর নির্ভরযোগ্য রাবী অথবা একাধিক নির্ভরযোগ্য রাবীর সাথে বিরোধপূর্ণ ভাবে হাদীছ বর্ণনা করেন।