লগইন করুন
জ্ঞানগত বিচারে ‘রহিতকরণ’ হওয়া সম্ভব এবং শারঈ ভাবেও এটি বাস্তব সম্মত বিষয়।
‘রহিতকরণ’ জ্ঞানগত ভাবে সম্ভব হওয়ার যৌক্তিকতা হচ্ছে যেহেতু আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘য়ালার হাতেই রয়েছে সমস্ত জিনিসের চাবিকাঠি।
বিধান দেওয়ার অধিকার কেবল তারই। কারণ তিনিই প্রতিপালক, অধিপতি। কাজেই তার এ অধিকার রয়েছে যে, তিনি তার প্রজ্ঞা ও রহমতের দাবি অনুসারে বান্দার জন্য শারঈ বিধান দেবেন।
বাদশা তার প্রজাকে স্বীয় ইচ্ছানুযায়ী নির্দেশ দিবেন এটা কি বিবেক বাঁধা দেয়?
উপরন্তু বান্দার প্রতি আল্লাহর দয়া ও হিকমতের দাবি হলো, তিনি তাদের জন্য এমন শারঈ বিধান প্রনয়ণ করবেন, যে ব্যাপারে তিনি জানেন যে, এতে তাদের জন্য দ্বীন-দুনিয়ার কল্যাণ রয়েছে। আর কল্যাণ অবস্থা ও সময় ভেদে বিভিন্ন হয়। কাজেই কোন হুকুম একটি সময়ে বা অবস্থায় বান্দার জন্য অধিকতর কল্যাণ বিবেচিত হয়, আবার অন্য সময় বা অবস্থার প্রেক্ষিতে আরেকটি হুকুম তাদের জন্য অধিকতর কল্যাণকর বিবেচিত হতে পারে। তিনি সর্বজ্ঞাত, সর্বজ্ঞ।
শারঈ এর বাস্তবতার দলীল হলো (১) আল্লাহ বাণী:
مَا نَنْسَخْ مِنْ آَيَةٍ أَوْ نُنْسِهَا نَأْتِ بِخَيْرٍ مِنْهَا أَوْ مِثْلِهَا
‘‘আমি কোন আয়াত রহিত করলে অথবা বিস্মৃত করে দিলে তদপেক্ষা উত্তম অথবা তার সমপর্যায়ের আয়াত আনয়ন করি (সূরা আল-বাক্বারা ২:১০৬)।’’
(২) আল্লাহর বাণী:
الْآَنَ خَفَّفَ اللَّهُ عَنْكُمْ
‘‘এখন আল্লাহ তোমাদের উপর বোঝা হালকা করে দিয়েছেন (সূরা আল-আনফাল ৮:৬৬)।’’
فَالْآَنَ بَاشِرُوهُن
‘‘অতএব, এখন তোমরা তোমাদের স্ত্রীদের সাথে (রমজানের রাতে) সহবাস করতে পারো (সূরা আল-বাক্বারা ২:১৮৭)।’’
এগুলি পূর্বের হুকুম পরিবর্তিত হওয়ার ব্যাপারে সুস্পষ্ট দলিল।
(৩) রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বাণী:
كُنْتُ نَهَيْتُكُمْ عَنْ زِيَارَةِ الْقُبُورِ فَزُورُوهَا
‘‘আমি তোমদেরকে কবর যিয়ারত করতে নিষেধ করেছিলাম। এখন তোমরা যিয়ারত করবে।’’ [1]
অত্র হাদীছটি ‘কবর যিয়ারতের নিষেধাজ্ঞা’ রহিত হওয়ার ব্যাপারে সুস্পষ্ট দলীল।