উসূলে ফিক্বহ (ফিক্বহের মূলনীতি) নিষেধ (النَّهْي) শাইখ মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-উসাইমীন (রহঃ)
পরিচিতি

النَّهْي-নিষেধ এর পরিচিতি:

قول يتضمن طلب الكف على وجه الاستعلاء بصيغة مخصوصة هي المضارع المقرون بلا الناهية

অর্থাৎ النَّهْي (নিষেধ) হলো এমন বক্তব্য যা لا অব্যয়যুক্ত المضارع এর নির্দিষ্ট ছীগাহ-শব্দ ব্যবহারের মাধ্যমে নিজেকে উর্দ্ধতন মনে করে কোন কাজ সম্পন্ন হওয়া থেকে বিরত রাখা।


النَّهْي এর উদাহরণ:

আল্লাহর বাণী:

وَلا تَتَّبِعْ أَهْوَاءَ الَّذِينَ كَذَّبُوا بِآياتِنَا وَالَّذِينَ لا يُؤْمِنُونَ بِالْآخِرَةِ) [الأنعام: من الآية 150]

তাদের কু-প্রবৃত্তির অনুসরণ করবেন না, যারা আমার নির্দেশনাবলীকে মিথ্যা মনে করে এবং আখিরাতের প্রতি বিশ্বাস রাখে না (সূরা আল-আন‘আম ৬:১৫০)।

আমাদের ভাষ্য: قول (বক্তব্য) দ্বারা ইঙ্গিত সূচক শব্দ বিলুপ্ত হয়েছে। তাই ইঙ্গিত সূচক শব্দ ‘নিষেধ’ এর অর্থ প্রদান করলেও তা النَّهْي হিসাবে গণ্য হবে না। طلب الكف (বিরত থাকার দাবি) এ অংশ দ্বারা أمر বিলুপ্ত হয়েছে। কারণ আমর কোন কাজ সম্পন্ন করার দাবি নির্দেশ করে। على وجه الاستعلاء (নিজেকে উর্দ্ধতন মনে করা) এ অংশ দ্বারা পারস্পারিক চাওয়া, দু‘আ করা যা ইঙ্গিতের মাধ্যমে النَّهْي থেকে পাওয়া যায় তা النَّهْي এর অন্তর্ভূক্ত হওয়া থেকে বাদ পড়েছে।بصيغة مخصوصة هي المضارع المقرون بلا الناهية (لا অব্যয়যুক্ত المضارع এর নির্দিষ্ট ছীগাহ-শব্দের মাধ্যমে) এ অংশ দ্বারা ঐ সব বিষয় বিলুপ্ত হয়েছে যা আমরের ছীগার মাধ্যমে কোন কাজ থেকে বিরত থাকার দাবি পেশ করা হয়। যেমন: دع -তুমি ছেড়ে দাও। اترك-তুমি বর্জন করো। كف-তুমি বিরত থাকো ইত্যাদি। এসব শব্দ ব্যবহারের মাধ্যমে কাজ থেকে বিরত থাকার দাবিকে অন্তর্ভূক্ত করা হয় তাই এ শব্দসমূহ نهي নয় বরং তা أمر হিসাবে গণ্য। কোন কোন ক্ষেত্রে نهي এর ছীগাহ ছাড়াও অন্যান্য শব্দের মধ্যে طلب الكف (বিরত থাকার দাবি) নিহিত আছে। যেমন: কোন কাজ হারাম-নিষিদ্ধ, মন্দ প্রভৃতি গুণে বিশেষিত করা অথবা কোন কাজের কর্তাকে নিন্দা করা অথবা কোন মন্দ কাজ করলে শাস্তি আরোপ করা ইত্যাদি।[1]

[1]. কোন কাজ হারাম হিসাবে আখ্যায়িত করার উদাহরণ: আল্লাহর বাণী:

وَأَحَلَّ اللَّهُ الْبَيْعَ وَحَرَّمَ الرِّبا

আল্লাহ তা‘আলা ব্যবসাকে হালাল করেছেন আর সূদকে করেছেন হারাম (সূরা আল-বাক্বারা ২:২৭৫)।

কোন কর্মকে মন্দ হিসেবে আখ্যায়িত করার উদাহরণ হলো: রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী:

ثمن الكلب خبيث. ‘কুকুর বিক্রিত মূল্য নিকৃষ্ট।’

কোন কর্মের কারনে শাস্তি বর্ণিত হওয়ার উদাহরণ হলো: আল্লাহর বাণী:

(إِنَّ الَّذِينَ يَأْكُلُونَ أَمْوَالَ الْيَتَامَىٰ ظُلْمًا إِنَّمَا يَأْكُلُونَ فِي بُطُونِهِمْ نَارًا وَسَيَصْلَوْنَ سَعِيرًا)

‘যারা এতীমদের অর্থ-সম্পদ অন্যায়ভাবে খায়, তারা নিজেদের পেটে আগুনই ভর্তি করেছে এবং সত্ত্বরই তারা অগ্নিতে প্রবেশ করবে।’-সুরা আন নিসা /১০।