লগইন করুন
নাবী (সা.) হতে প্রমাণিত, তিনি বায়তুল্লাহর পূর্ব দক্ষিণ কোণায় অবস্থিত হাজরে আসওয়াদ (কালো পাথর) হতে তাওয়াফ শুরু করেন। আর তিনি হিজরের (হাতীম) বাহির দিয়ে সম্পূর্ণ কা‘বা ঘরের তাওয়াফ করেন। আর তিনি মক্কায় সর্বপ্রথম পদার্পণ করে তাওয়াফের শুধুমাত্র প্রথম তিন চক্করে রামাল (পায়ের ধাপ ছোট করে দ্রুত চলা) করেন। আর তিনি (সা.) নিজ তাওয়াফে হাজরে আসওয়াদ স্পর্শ করতেন এবং তাকে চুম্বন দিতেন।[1]
আবার কখনও তিনি নিজ হাত দ্বারা হাজরে আসওয়াদ স্পর্শ করতেন এবং হাতে চুম্বন দিতেন। আবার কখনও বাহনে চেপে নিজ লাঠি দ্বারা স্পর্শ করেন এবং তাতে চুম্বন দেন। আর কখনও তিনি নিজ উটের উপর সাওয়ার হয়ে তাওয়াফ করেন এবং প্রত্যেক চক্করে হাজরে আসওয়াদের দিকে হাতের ইশারা করতেন। আর নাবী (সা.) হতে ইহাও প্রমাণিত যে, তিনি রুকনে ইয়ামানী স্পর্শ করতেন (কিন্তু তাতে চুম্বন দিতেন না)।
আর হাজরে আসওয়াদ চুম্বনের বিভিন্ন পদ্ধতি হওয়ার কারণ হচ্ছে, সুবিধা অনুযায়ী চুম্বন করা; যখন যেমনটি সুবিধাজনক হয়েছে তখন তিনি তাই করেছেন। (আল্লাহই অধিক জ্ঞানী) আর নাবী (সা.) যে হাজরে আসওয়াদকে কখনো স্পর্শ করে হাতে চুম্বন দিয়েছেন, কখনো সরাসরি পাথরেই চুম্বন দিয়েছেন এবং কখনো হাতের ইশারা করেছেন, এসমস্ত একমাত্র মহান আল্লাহর ইবাদাত ও তাঁর মহত্ত্ব প্রকাশের উদ্দেশ্যে। কখনো এবিশ্বাস নিয়ে নয় যে, পাথর কোন উপকার বা অপকার করতে পারে।
উমার (রা.) হতে বর্ণিত যে, তিনি হাজরে আসওয়াদে চুম্বন দিয়ে বলতেন:
إِنِّي أَعْلَمُ أَنَّكَ حَجَرٌ لَا تَضُرُّ وَلَا تَنْفَعُ وَلَوْلَا أَنِّي رَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُقَبِّلُكَ مَا قَبَّلْتُكَ
নিশ্চয়ই আমি জানি যে, তুমি একটি পাথর, কোন ক্ষতিও করতে পার না এবং কোন উপকারও করতে পার না। তাই আমি যদি তোমাকে চুম্বন দিতে নবী (সা.)-কে না দেখতাম তাহলে কখনো আমি তোমাকে চুম্বন দিতাম না।[2]
[2]. সহীহ বুখারী ১৫৯৭।