লগইন করুন
মহান আল্লাহ সৃষ্টির স্তর অনুযায়ী দা‘ওয়াতের স্তরনির্ধারণ করেছেন।
মানুষ তিন প্রকার:
প্রথম: হক্বের দা‘ওয়াত দিলে তারা গ্রহণ করে ও অনুসরণ করে। এ সকল ব্যক্তিদেরকে যুক্তিপূর্ণ উত্তম পন্থায় বর্ণনা করা, শরী‘আতের উদ্দেশ্য বুঝানো ও ইসলামের মানবিক দিকগুলোতুলে ধরারমাধ্যমে দা‘ওয়াত দিতে হয়।
দ্বিতীয়: হক্ব শোনার পর তা স্বীকার করে নেয়, তবে তা গ্রহণ করা ও তদনযায়ী আমল করার ব্যাপারে কালক্ষেপণ করে। এই শ্রেণীর মানুষকে উত্তম উপদেশ দেয়া ও বান্দার উপর আল্লাহর অনুগ্রহ স্বরণ করিয়ে দেয়া প্রয়োজন। পাশাপাশি তাদেরকে জান্নাত লাভের প্রতি উৎসাহ দিতে হবে ও জাহান্নাম সম্পর্কে ভীতি প্রদর্শন করতে হবে-যাতে তারা আনুগত্যের ছওয়াব জানার পর সেদিকে অগ্রসর হয় এবং অবাধ্যতার শাস্তি জানার পর তা থেকেসতর্ক হয় ও সৎ-আমলের প্রতি তার বক্ষ প্রশস্ত হয়।
তৃতীয়: হক্বের দা‘ওয়াত দেয়া হলে তারা তা স্বীকার করে না এবং কবুলও করে না; বরং নানা সন্দেহ ও বিভ্রাট সৃষ্টি করে তাপ্রত্যাখ্যানকরে।এই শ্রেণীর মানুষের সাথে উত্তম পন্থায় তর্ক-বিতর্ক হবে। তাদের সামনে বোধগম্য ও যৌক্তিক উদাহরণ পেশ করতে হবে, যাতে তারা তুষ্ট হয় এবং সন্দেহ দূরীভূত হয়। আল্লাহ তা‘আলা তর্কের পদ্ধতি বর্ণনা করে বলেন:
(ادْعُ إِلَى سَبِيلِ رَبِّكَ بِالْحِكْمَةِ وَالْمَوْعِظَةِ الْحَسَنَةِ وَجَادِلْهُمْ بِالَّتِي هِيَ أَحْسَنُ إِنَّ رَبَّكَ هُوَ أَعْلَمُ بِمَنْ ضَلَّ عَنْ سَبِيلِهِ وَهُوَ أَعْلَمُ بِالْمُهْتَدِينَ (125)) [النحل: 125]
‘তুমি তোমার রবের পথে হিকমত ও সুন্দর উপদেশের মাধ্যমে আহবান কর এবং সুন্দরতর পন্থায় তাদের সাথে বিতর্ক কর। নিশ্চয় একমাত্র তোমার রব-ই জানেন কে তাঁর পথ থেকে ভ্রষ্ট হয়েছে এবং হেদায়াতপ্রাপ্তদের তিনি খুব ভাল করেই জানেন’(সূরা আন-নাহল: ১২৫)।