লগইন করুন
আয়েশা (রাঃ) বলেন যে, ‘রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) সর্বদা সারগর্ভ দো‘আ পসন্দ করতেন এবং বাকী সব ছেড়ে দিতেন’।[143] নিম্নে উক্ত মর্মে কয়েকটি দো‘আ বর্ণিত হ’ল :
(ক) اَللَّهُمَّ رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَّفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَّقِنَا عَذَابَ النَّارِ، أو اَللَّهُمَّ آتِنَا فِى الدُّنْيَا...আল্লা-হুম্মা রববানা আ-তিনা ফিদ্দুন্ইয়া হাসানাতাঁও ওয়া ফিল আ-খিরাতে হাসানাতাঁও ওয়া ক্বিনা আযা-বান্না-র’। অথবা আল্লা-হুম্মা আ-তিনা ফিদ্দুনিয়া ...।
‘হে আল্লাহ! হে আমাদের পালনকর্তা! তুমি আমাদেরকে দুনিয়াতে মঙ্গল দাও ও আখেরাতে মঙ্গল দাও এবং আমাদেরকে জাহান্নামের আযাব থেকে বাঁচাও’। আনাস (রাঃ) বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) অধিকাংশ সময় এই দো‘আ পাঠ করতেন।[144] ইবাদতের নামে নিজের উপর সাধ্যাতীত কোন কষ্ট চাপিয়ে দেওয়া যাবে না। যদি কেউ এটা করে, তবে তাকে ঐ কষ্টকর ইবাদত ছাড়তে হবে ও উপরোক্ত দো‘আটি পাঠ করতে হবে। তাতে সে ইনশাআল্লাহ স্বাস্থ্য ফিরে পাবে। [145]
(খ) ‘ইসমে আ‘যম’ সহ দো‘আ করা। যেমন, اَللَّهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ بِأَنَّكَ أَنْتَ اللهُ الْأَحَدُ الصَّمَدُ الَّذِيْ لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُوْلَدْ وَلَمْ يَكُن لَّهُ كُفُوًا أَحَدٌ আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকা বেআন্নাকা আনতাল্লা-হুল আহাদুছ ছামাদুল্লাযী লাম ইয়ালিদ ওয়া লাম ইউলাদ ওয়া লাম ইয়াকুল লাহূ কুফুওয়ান আহাদ’ (হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকটে প্রার্থনা করছি; কেননা তুমি আল্লাহ। তুমি একক ও মুখাপেক্ষীহীন। যিনি কাউকে জন্ম দেননি ও যিনি কারু থেকে জন্মিত নন এবং যাঁর সমতুল্য কেউ নেই)। জনৈক ব্যক্তিকে এটা পড়তে শুনে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বললেন, ঐ ব্যক্তি আল্লাহর নিকটে তাঁর ‘ইসমে আযম’ (মহান নাম) সহ দো‘আ করেছে। যে ব্যক্তি উক্ত নাম সহকারে প্রার্থনা করবে, তাকে তা দেওয়া হবে। আর যখন এর মাধ্যমে দো‘আ করা হবে, তা কবুল করা হবে’।[146]
(গ) দুই সিজদার মাঝখানে বৈঠকের দো‘আটিও ‘সারগর্ভ দো‘আ’ হিসাবে গণ্য।[147]
[144] . বুখারী হা/৪৫২২, ৬৩৮৯; বাক্বারাহ ২/২০১; মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/২৪৮৭ ‘দো‘আসমূহ’ অধ্যায়-৯, ‘সারগর্ভ দো‘আ’ অনুচ্ছেদ-৯।
[145] . মুসলিম, তিরমিযী, মিশকাত হা/২৫০২-০৩ ‘সারগর্ভ দো‘আ’ অনুচ্ছেদ-৯।
[146] . ইবনু মাজাহ হা/৩৮৫৭ ‘দো‘আ’ অধ্যায়-৩৪, ‘আল্লাহর ইসমে আযম’ অনুচ্ছেদ-৯; আবুদাঊদ হা/১৪৯৩; ‘আওনুল মা‘বূদ হা/১৪৮২-এর ব্যাখ্যা দ্রষ্টব্য।
[147] . মুসলিম, মিশকাত হা/২৪৮৬ ‘সারগর্ভ দো‘আ’ অনুচ্ছেদ-৯; অত্র বইয়ের ‘দুই সিজদার মধ্যকার দো‘আ’ অনুচ্ছেদ দ্রষ্টব্য, পৃঃ ১৬।