লগইন করুন
৯. সলাতের সালাম ফিরানোর পর পঠিত দু‘আ :
أَسْتَغْفِرُ اللهَ الَّذِىْ لَا إِلٰهَ إِلَّا هُوَ الْحَىُّ الْقَيُّومُ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ
উচ্চারণ : আস্তাগফিরুল্লা-হাল্লাযী লা- ইলা-হা ইল্লা- হুওয়াল হাইয়ুল ক্বাইয়ূমু ওয়া আতূবু ইলাইহি।
অর্থ : আমি ক্ষমা প্রার্থনা করছি সেই আল্লাহর নিকটে যিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। যিনি চিরঞ্জীব ও বিশ্ব চরাচরের ধারক এবং তাঁর দিকেই আমি ফিরে যাচ্ছি বা তাওবাহ্ করছি।[1]
১০. বিতর-এর কুনূত :
اَللّٰهُمَّ اهْدِنِىْ فِيمَنْ هَدَيْتَ وَعَافِنِىْ فِيمَنْ عَافَيْتَ وَتَوَلَّنِىْ فِيمَنْ تَوَلَّيْتَ وَبَارِكْ لِىْ فِيمَا أَعْطَيْتَ وَقِنِىْ شَرَّ مَا قَضَيْتَ إِنَّكَ تَقْضِىْ وَلَا يُقْضٰى عَلَيْكَ وَإِنَّه لَا يَذِلُّ مَنْ وَّالَيْتَ وَلَا يَعِزُّ مَنْ عَادَيْتَ تَبَارَكْتَ رَبَّنَا وَتَعَالَيْتَ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মাহদিনী ফীমান হাদায়তা, ওয়া ‘আ-ফিনী ফীমান ‘আ-ফায়তা, ওয়া তাওয়াল্লানী ফীমান তাওয়াল্লায়তা, ওয়া বা-রিকলী ফীমা- আ‘ত্বায়তা, ওয়াক্বিনী শাররা মা- ক্বাযায়তা; ফাইন্নাকা তাক্বযী ওয়ালা- ইয়ুক্বয়া ‘আলায়কা, ইন্নাহূ লা- ইয়াযিল্লু মাঁও ওয়া-লায়তা, ওয়ালা- ইয়া‘ইযযু মান্ ‘আ-দায়তা, তাবা-রকতা রব্বানা- ওয়া তা‘আ-লায়তা।
অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি যাদেরকে সুপথ দেখিয়েছেন, আমাকে তাদের মধ্যে গণ্য করে সুপথ দেখান। যাদেরকে আপনি মাফ করেছেন, আমাকে তাদের মধ্যে গণ্য করে মাফ করে দিন। আপনি যাদের অভিভাবক হয়েছেন, তাদের মধ্যে গণ্য করে আমার অভিভাবক হয়ে যান। আপনি আমাকে যা দান করেছেন, তাতে বরকত দিন। আপনি যে ফায়সালা করে রেখেছেন, তার অনিষ্ট হ’তে আমাকে বাঁচান। কেননা আপনি সিদ্ধান্ত দিয়ে থাকেন, আপনার বিরুদ্ধে কেউ সিদ্ধান্ত দিতে পারে না। আপনি যার সাথে বন্ধুত্ব রাখেন, সে কোনদিন অপমানিত হয় না। আর আপনি যার সাথে দুশমনী করেন, সে কোনদিন সম্মানিত হ’তে পারে না। হে আমাদের রব্! আপনি বরকতময় ও সর্বোচচ।[2]
১১. জানাযার সলাতের মৃত ব্যক্তির জন্য দু‘আ :
اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِحَيِّنَا وَمَيِّتِنَا وَشَاهِدِنَا وَغَائِبِنَا وَصَغِيرِنَا وَكَبِيرِنَا وَ ذَكَرِنَا وَأُنْثَانَا اَللّٰهُمَّ مَنْ أَحْيَيْتَه مِنَّا فَأَحْيِه عَلَى الْإِسْلَامِ وَمَنْ تَوَفَّيْتَه مِنَّا فَتَوَفَّه عَلَى الْإِيمَانِ. اَللّٰهُمَّ لَا تَحْرِمْنَا اَجْرَه وَتُضِلِّنَا بَعْدَه
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মাগফির লিহাইয়িনা- ওয়া মাইয়িতিনা- ওয়া শা-হিদিনা- ওয়া গা-য়িবিনা- ওয়া সগীরিনা- ওয়া কাবীরিনা- ওয়া যাকারিনা- ওয়া উনসা-না-। আল্লা-হুম্মা মান আই্য়াইতাহূ মিন্না- ফাআহয়িহী ‘আলাল ইসলা-ম, ওয়া মান ত্বওয়াফফায়তাহূ মিন্না- ফাতাওফফাহূ ‘আলাল ঈমা-ন। আল্লা-হুম্মা লা তাহরিমনা- আজরাহূ ওয়াতু যিল্লিনা- বা‘দাহূ।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমাদের জীবিত ও মৃত এবং (এই জানাযায়) উপস্থিত-অনুপস্থিত, আমাদের ছোট ও বড়, পুরুষ ও নারী সকলকে আপনি ক্ষমা করুন। যাকে আপনি বাঁচিয়ে রাখবেন, তাকে ইসলামের উপরে বাঁচিয়ে রাখুন এবং যাকে মারতে চান, তাকে ঈমানের হালাতে মৃত্যু দান করুন। হে আল্লাহ! এই মাইয়েতের (জন্য দু‘আ করার) উত্তম প্রতিদান হ’তে আপনি আমাদেরকে বঞ্চিত করবেন না এবং তার পরে আমাদেরকে পরীক্ষায় ফেলবেন না।[3]
১২.
اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لَه وَارْحَمْهُ وَعَافِه وَاعْفُ عَنْهُ وَأَكْرِمْ نُزُلَه وَوَسِّعْ مُدْخَلَه وَاغْسِلْهُ بِالْمَاءِ وَالثَّلْجِ وَالْبَرَدِ وَنَقِّه مِنَ الْخَطَايَا كَمَا نَقَّيْتَ الثَّوْبَ الْأَبْيَضَ مِنَ الدَّنَسِ وَأَبْدِلْهُ دَارًا خَيْرًا مِّنْ دَارِه وَأَهْلًا خَيْرًا مِّنْ أَهْلِه وَزَوْجًا خَيْرًا مِّنْ زَوْجِه وَأَدْخِلْهُ الْجَنَّةَ وَأَعِذْهُ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ وَمِنْ عَذَابِ النَّارِ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মাগফির লাহূ ওয়ারহামহু ওয়া ‘আ-ফিহী ওয়া‘ফু ‘আনহু ওয়া আকরিম নুযুলাহূ ওয়া ওয়াস্সি‘ মুদখালাহূ; ওয়াগসিলহু বিলমা-য়ি ওয়াস্সালজি ওয়াল বারাদ; ওয়া নাক্বক্বিহী মিনাল খাত্বা-ইয়া- কামা- ইউনাক্বক্বাস্ সাওবুল আব্ইয়াযু মিনাদ্ দানাস; ওয়া আবদিলহু দা-রান খায়রাম মিন্ দা-রিহী ওয়া আহলান খায়রাম মিন আহলিহী ওয়া যাওজান খায়রাম মিন যাওজিহী; ওয়া আদখিলহুল জান্নাতা ওয়া আ‘ইযহু মিন ‘আযা-বিল ক্ববরি ওয়া মিন ‘আযা-বিন্ না-র।
অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি এই মাইয়িতকে ক্ষমা করুন। তাকে অনুগ্রহ করুন। তাকে নিরাপদে রাখুন এবং তার গুনাহ মাফ করুন। আপনি তাকে সম্মানজনক আতিথেয়তা প্রদান করুন। তার বাসস্থান প্রশস্ত করুন। আপনি তাকে পানি, বরফ ও শিশির দ্বারা ধৌত করুন এবং তাকে পাপ হ’তে এভাবে মুক্ত করুন, যেভাবে সাদা কাপড় ময়লা হ’তে সাফ করা হয়। আপনি তাকে দুনিয়ার গৃহের বদলে উত্তম গৃহ দান করুন। তার দুনিয়ার পরিবারের চাইতে উত্তম পরিবার এবং দুনিয়ার জোড়ার চাইতে উত্তম জোড়া দান করুন। তাকে আপনি জান্নাতে দাখিল করুন এবং তাকে কবরের ‘আযাব হ’তে ও জাহান্নামের ‘আযাব হ’তে রক্ষা করুন।[4]
১৩. মৃত ব্যক্তিকে দাফন করার পর দু‘আ :
اَللهم اغْفِرْلَه وَثَبِّتْهُ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মাগফির লাহূ ওয়া সাব্বিতহু।
অর্থ : হে আল্লাহ! তুমি এই মৃতকে ক্ষমা কর। আর এ সময় তাকে (ঈমানের উপর) দৃঢ় রাখ।[5]
১৪. মেযবানের জন্য মেহমানের দু‘আ :
اَللّٰهُمَّ بَارِكْ لَهُمْ فِيمَا رَزَقْتَهُمْ وَاغْفِرْ لَهُمْ وَارْحَمْهُمْ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা বা-রিকলাহুম ফীমা- রাযাক্বতাহুম ওয়ার্ হামহুম।
অর্থ : হে আল্লাহ! তুমি তাদেরকে যে রিয্ক্ব দিয়েছ তাতে তুমি বরকত দান কর, তাদেরকে ক্ষমা করে দাও এবং তাদের ওপর রহমত বর্ষণ কর।[6]
১৫. ক্ষমা প্রার্থনার শ্রেষ্ঠ দু‘আ বা সাইয়্যিদুল ইস্তিগফার :
اَللّٰهُمَّ أَنْتَ رَبِّىْ لَا إِلٰهَ إِلَّا أَنْتَ، خَلَقْتَنِىْ وَأَنَا عَبْدُكَ، وَأَنَا عَلٰى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ، أَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ، أَبُوْءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَىَّ، وَأَبُوْءُ لَكَ بِذَنْبِىْ فَاغْفِرْ لِىْ، فَإِنَّه لَا يَغْفِرُ الذُّنُوْبَ إِلَّا أَنْتَ.
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা আনতা রব্বী, লা- ইলা-হা ইল্লা- আনতা, খালাকতানী ওয়া আনা ‘আবদুকা ওয়া আনা ‘আলা- ‘আহদিকা ওয়া ওয়া‘দিকা মাসতাত‘তু আ‘ঊযুবিকা মিন শাররি মা সনা‘তু, আবূউ লাকা বিনি‘মাতিকা ‘আলাইয়া ওয়া আবূউ বিযাম্বী, ফাগফিরলী, ফাইন্নাহূ লা- ইয়াগফিরুয্ যুনূবা ইল্লা- আনতা।
অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি আমার রব্, আপনি ছাড়া কোন রব্ নেই। আপনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন। আমি আপনার বান্দা। আমি সাধ্যমত আপনার কাছে দেয়া ওয়া‘দা ও প্রতিশ্রুতি পালনে সচেষ্ট আছি। আমি আমার কৃতকর্মের অনিষ্ট হ’তে আপনার নিকট আশ্রয় চাই। আমাকে যে নি‘আমত দান করেছেন তা স্বীকার করছি এবং আমি আমার পাপসমূহ স্বীকার করছি। অতএব আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন। কেননা আপনি ছাড়া কেউ ক্ষমাকারী নেই।[7]
১৬. মৃত্যু হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাময় ব্যক্তির দু‘আ :
اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِىْ وَارْحَمْنِىْ وَأَلْحِقْنِىْ بِالرَّفِيقِ الْأَعْلٰى
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মাগফিরলী ওয়ার হামনী ওয়া আল হিক্বনী বিররাফীক্বিল আ‘লা-।
অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন, আমার প্রতি দয়া করুন এবং আমাকে মহান বন্ধুর সাথে মিলিয়ে দিন।[8]
১৭. কেউ প্রশংসা করলে বলতে হয় :
اَللهم لَا تُؤَاخِذْنِىْ بِمَا يَقُوْلُوْنَ وَاغْفِرْ لِىْ مَا لَا يَعْلَمُوْنَ وَاجْعَلْنِىْ خَيْرًا مِّمَّا يَظُنُّوْنَ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা লা- তুআ-খিযনী বিমা- ইয়াকূলূনা, ওয়াগফিরলী মা-লা- ইয়া‘লামূনা ওয়াজ্‘আলনী খাইরাম মিম্মা- ইয়াযুন্নূন।
অর্থ : হে আল্লাহ! তারা যা বলছে তার জন্য আমাকে পাকড়াও করবেন না, আমাকে ক্ষমা করুন, যা তারা জানে না। আর আমাকে তাদের ধারণার চেয়েও ভালো করে দিন।[9]
১৮. শির্ক থেকে বাঁচার দু‘আ :
اَللهم إِنِّىْ أَعُوْذُ بِكَ أَنْ أُشْرِكَ بِكَ وَأَنَا أَعْلَمُ وَأَسْتَغْفِرُكَ لِمَا لَا أَعْلَمُ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা আন্ উশরিকা বিকা ওয়া আনা- আ‘লামু, ওয়া আসতাগফিরুকা লিমা- লা- আ‘লাম।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমার জানা অবস্থায় তোমার সাথে শির্ক করা থেকে তোমার কাছে আশ্রয় চাচ্ছি। আর অজানা অবস্থায় শির্ক হয়ে গেলে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।[10]
১৯. লায়লাতুল ক্বদরের দু‘আ :
اَللّٰهُمَّ إِنَّكَ عَفُوٌّ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّىْ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নাকা ‘আফুউউন তুহিববুল ‘আফ্ওয়া ফা‘ফু ‘আন্নী।
অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি ক্ষমাশীল, ক্ষমা করাকে ভালোবাসেন, অতএব আপনি আমাকে ক্ষমা করুন।[11]
২০. পশুর পিঠে আরোহণের দু‘আ :
سُبْحَانَكَ إِنِّىْ ظَلَمْتُ نَفْسِىْ فَاغْفِرْ لِىْ فَإِنَّه لَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ
উচ্চারণ : সুবহা-নাকা আল্লা-হুম্মা ইন্নী যলামতু নাফসী ফাগফিরলী ফাইন্নাহূ লা- ইয়াগফিরুষ্ যুনূবা ইল্লা- আনতা।
অর্থ : আমি আপনার পবিত্রতা বর্ণনা করছি, হে আল্লাহ! আমি আমার আত্মার ওপর অত্যাচার করেছি। অতএব আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন। কেননা আপনি ছাড়া অপরাধ ক্ষমা করার আর কেউ নেই।[12]
[2]. সুনান আবূ দাঊদ : ১৪২৭, হাদীসটি সহীহ।
[3]. সুনান আবূ দাঊদ : ৩২০৩; সুনান ইবনু মাজাহ : ১৪৯৮; মুসনাদ আহমাদ : ৮৮০৯, হাদীসটি সহীহ।
[4]. সহীহ মুসলিম : ২২৭৬।
[5]. সুনান আবূ দাঊদ : ৩২২৩, হাদীসটি সহীহ।
[6]. সুনান আবূ দাঊদ : ৩৭৩১
[7]. সহীহুল বুখারী : ৬৩০৬
[8]. সহীহুল বুখারী : ৫৬৭৪; সহীহ মুসলিম : ৬৪৪৬; মুসনাদ আহমাদ : ২৫৯৮৯।
[9]. আল আদাব আল মুফরাদ : ৭৬১; শু‘আবুল ঈমান : ৪৮৭৬।
[10]. আল আদাব আল মুফরাদ : ৭১৬।
[11]. সুনান ইবনু মাজাহ : ৩৮৫০; মুসনাদ আহমাদ : ২৫৩৮৪, হাদীসটি সহীহ।
[12]. সুনান আবূ দাঊদ : ২৬০৪; মুসনাদ আহমাদ : ১০৫৬, হাদীসটি সহীহ।