লগইন করুন
উত্তর: যাকাতুল ফিতর শব্দটির নামকরণ করা হয়েছে সাওম ভঙ্গকে কেন্দ্র করে। সাওম ভঙ্গ বা শেষ করার কারণেই উক্ত যাকাত প্রদান করা আবশ্যক। সুতরাং উক্ত নির্দিষ্ট কারণের সাথেই সংশ্লিষ্ট রাখতে হবে, অগ্রীম করা চলবে না। একারণে ফিতরা বের করার সর্বোত্তম সময় হচ্ছে ঈদের দিন সালাতের পূর্বে। কিন্তু ঈদের একদিন বা দু’দিন আগে তা আদায় করা জায়েয। কেননা এতে প্রদানকারী ও গ্রহণকারীর জন্য সহজতা রয়েছে। কিন্তু এরও আগে বের করার ব্যাপারে বিদ্বানদের প্রাধান্যযোগ্য মত হচ্ছে তা জায়েয নয়। এ ভিত্তিতে ফিতরা আদায় করার সময় দু’টি:
১) জায়েয বা বৈধ সময়। তা হচ্ছে ঈদের একদিন বা দু’দিন পূর্বে। ২) ফযীলতপূর্ণ উত্তম সময়। তা হচ্ছে ঈদের দিন - ঈদের সালাতের পূর্বে। কিন্তু সালাতের পর পর্যন্ত দেরী করে আদায় করা হারাম। ফিতরা হিসেবে কবূল হবেনা। ইবন আব্বাসের হাদীসে বর্ণিত হয়েছে:
«مَنْ أَدَّاهَا قَبْلَ الصَّلَاةِ فَهِيَ زَكَاةٌ مَقْبُولَةٌ وَمَنْ أَدَّاهَا بَعْدَ الصَّلَاةِ فَهِيَ صَدَقَةٌ مِنَ الصَّدَقَاتِ»
“সালাতের পূর্বে যে উহা আদায় করে তার যাকাত গ্রহণযোগ্য। আর যে ব্যক্তি সালাতের পর আদায় করবে তার জন্য তা একটি সাধারণ সাদকা হিসেবে গণ্য হবে।”[1]
তবে কোনো লোক যদি জঙ্গল বা মরুভূমি বা এ ধরণের জনমানবহীন কোনো স্থানে থাকার কারণে ঈদের দিন সম্পর্কে অজ্ঞ থাকে এবং ঈদের সালাত শেষ হওয়ার পর সে সম্পর্কে অবগত হয়, তবে ঈদের পর ফিতরা আদায় করলেও তার কোনো অসুবিধা হবে না।