লগইন করুন
ইমাম ত্বহাবী রহিমাহুল্লাহ বলেন,
وَإِنَّ الْقُرْآنَ كَلَامُ اللَّهِ، مِنْهُ بَدَا بِلَا كَيْفِيَّةٍ قَوْلًا وَأَنْزَلَهُ عَلَى رَسُولِهِ وَحْيًا وَصَدَّقَهُ الْمُؤْمِنُونَ عَلَى ذَلِكَ حَقًّا وَأَيْقَنُوا أَنَّهُ كَلَامُ اللَّهِ تَعَالَى بِالْحَقِيقَةِ، لَيْسَ بِمَخْلُوقٍ كَكَلَامِ الْبَرِيَّةِ. فَمَنْ سَمِعَهُ فَزَعَمَ أَنَّهُ كَلَامُ الْبَشَرِ فَقَدْ كَفَرَ وَقَدْ ذَمَّهُ اللَّهُ وَعَابَهُ وَأَوْعَدَهُ بِسَقَرَ حَيْثُ قَالَ تَعَالَى: سَأُصْلِيهِ سَقَرَفَلَمَّا أَوْعَدَ اللَّهُ بِسَقَرَ لِمَنْ قَالَ: إِنْ هَذَا إِلَّا قَوْلُ الْبَشَرِ عَلِمْنَا وَأَيْقَنَّا أَنَّهُ قَوْلُ خَالِقِ الْبَشَرِ، وَلَا يُشْبِهُ قَوْلَ الْبَشَرِ
নিশ্চয়ই কুরআন আল্লাহর কালাম, যা আল্লাহর নিকট থেকে কথা হিসেবে শুরু হয়েছে, তবে এর কোনো ধরণ নির্ধারণ করা যাবে না। এ কালামকে তিনি তার রাসূলের প্রতি অহী হিসাবে নাযিল করেছেন। আর ঈমানদারগণ তাকে এ ব্যাপারে সত্যবাদী বলে মেনে নিয়েছে। তারা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে, এটি সত্যিই আল্লাহর কালাম, কোনো সৃষ্টির কথার মত সৃষ্টি নয়। অতএব, যে ব্যক্তি কুরআন শুনে তাকে মানুষের কালাম বলে ধারণা করবে, সে কাফের হয়ে যাবে। আল্লাহ তা‘আলা তার নিন্দা করেছেন, তাকে দোষারোপ করেছেন এবং তাকে জাহান্নামের ভীতি প্রদর্শন করেছেন। যেমন তিনি বলেছেন, سَأُصْلِيهِ سَقَرَ ‘‘শীঘ্রই তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবো’’। (সূরা মুদ্দাসি্সর: ২৬) সুতরাং যে বলে إِنْ هَذَا إِلَّا قَوْلُ الْبَشَرِ ‘‘এটাতো মানুষের কথা ছাড়া আর কিছুই নয়’’ আল্লাহ তা‘আলা তাকে সাকার নামক জাহান্নামের ভীতি প্রদর্শন করেছেন। অতএব, আমরা জেনে নিলাম ও দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করলাম যে, এ কুরআন মানুষের সৃষ্টিকর্তার কালাম। আর তা কোনো মানুষের কথার সাথে সাদৃশ্য রাখে না।
..............................................................
ব্যাখ্যা: এটি একটি মূল্যবান মূলনীতি এবং দ্বীনের একটি বিরাট মূলভিত্তি। অনেক লোক এ মাস‘আলায় পথভ্রষ্ট হয়েছে। এ ব্যাপারে ইমাম ত্বহাবী যা উল্লেখ করেছেন, তাই সঠিক। যে ব্যক্তি কুরআন-হাদীছ নিয়ে চিন্তা-গবেষণা করবে, সে বুঝতে সক্ষম হবে যে, এ কথাই সত্য ও সঠিক। কোনো প্রকার সন্দেহ ও বাতিল মতবাদ দ্বারা প্রভাবিত হয়ে যে ফিতরাত (সৃষ্টিগত স্বভাব) পরিবর্তিত হয়ে যায়নি, উহাও সাক্ষ্য প্রদান করে যে, কুরআন আল্লাহর কালাম।