লগইন করুন
اللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي ، لا إِلَه إِلاَّ أَنْتَ خَلَقْتَني وأَنَا عَبْدُكَ ، وأَنَا على عهْدِكَ ووعْدِكَ ما اسْتَطَعْتُ ، أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ ما صنَعْتُ ، أَبوءُ لَكَ بِنِعْمتِكَ علَيَ ، وأَبُوءُ بذَنْبي فَاغْفِرْ لي ، فَإِنَّهُ لا يغْفِرُ الذُّنُوبِ إِلاَّ أَنْتَ
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা, আনতা রাব্বী, লা- ইলা-হা ইল্লা- আনতা, খালাক্বতানী, ওয়াআনা ‘আবদুকা, ওয়াআনা ‘আলা- ‘আহদিকা ওয়াওয়া‘অ্দিকা মাস তাতা‘অ্তু। আ‘ঊযু বিকা মিন শাররি মা- স্বানা‘তু, আবূউ লাকা বিনি‘মাতিকা ‘আলাইয়্যা, ওয়াআবূউ লাকা বিযামবি। ফাগফিরলী, ফাইন্নাহু লা- ইয়াগফিরুয যুনূবা ইল্লা- আনতা।
অর্থঃ “হে আল্লাহ, আপনি আমার প্রভু, আপনি ছাড়া কোনো মা’বুদ নেই। আপনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন এবং আমি আপনার বান্দা। আমি আপনার কাছে প্রদত্ত অঙ্গিকার ও প্রতিজ্ঞার উপরে রয়েছি যতটুকু পেরেছি। আমি আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করি আমি যে কর্ম করেছি তার অকল্যাণ থেকে। আমি আপনার কাছে প্রত্যাবর্তন করছি আপনি আমাকে যত নিয়ামত দান করেছেন তা-সহ এবং আমি আপনার কাছে প্রত্যাবর্তন করছি আমার পাপ-সহ। অতএব, আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন, কারণ আপনি ছাড়া কেউ পাপ ক্ষমা করতে পারে না।”
শাদ্দাদ ইবনু আউস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: “এই দু‘আটি সাইয়্যেদুল ইস্তিগফার বা আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়ার শ্রেষ্ঠ দু‘আ,
ومن قالها من النهار موقنا بها فمات من يومه قبل أن يمسي فهو من أهل الجنة ومن قالها من الليل وهو موقن بها فمات قبل أن يصبح فهو من أهل الجنة
যে ব্যক্তি এই দু‘আর অর্থের প্রতি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস রেখে দিনের বেলায় তা পাঠ করবে সে যদি ঐ দিন সন্ধ্যার আগে মৃত্যুবরণ করে, তাহলে সে জান্নাতী হবে। আর যদি কেউ এই দু‘আর অর্থে সুদৃঢ় একীন ও বিশ্বাস রেখে রাত্রে (সন্ধ্যায়) তা পাঠ করবে, সে যদি ঐ রাতেই সকালের আগে মৃত্যুবরণ করে, তাহলে সে জান্নাতী হবে।”[1]এখানে আমরা স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি যে, এই দু‘আর ক্ষেত্রে ও মাসনূন সকল দু‘আর ক্ষেত্রে দু‘আর অর্থ হৃদয়ঙ্গম করা এবং দু‘আ পাঠের সময় অর্থের দিকে মনোযোগ দিয়ে, হৃদয়কে অর্থের সাথে সাথে আলোড়িত করে দু‘আ পাঠ করলেই আমরা এ সকল দু‘আর পূর্ণ ফযীলত লাভ করতে পারব। আর যদি অর্থ না বুঝি, বা অর্থ বুঝা সত্ত্বেও অর্থের দিকে মনোযোগ না দিয়ে অভ্যাসমতো মুখস্থ পড়ে যাই, তাহলে আমরা এ সকল দু’আর ফযীলত ও উপকার পুরোপুরি লাভ করতে পারব না।