লগইন করুন
وَمَا يُخَالِفْ ثِقَةٌ فِيْهِ الْمَلا | فَالشَّاذُ وَالْمَقْلُوْبُ قِسْمَانِ تَلا
إبْدَالُ رَاوٍ مَا بِرَاوٍ قِسْمُ | وَقَلْبُ إسْنَادٍ لِمَتْنٍ قِسْمُ
“আর যেখানে সেকাহ রাবি বৃহৎ সংখ্যক রাবির বিরোধিতা করে তাই শায। আর শাযের অনুগামী মাকলুব দু’প্রকার: সনদের কোনো রাবিকে অপর রাবি দ্বারা পরিবর্তন করা একপ্রকার। আর মতনের জন্য সনদ পরিবর্তন করা আরেক প্রকার”। অত্র কবিতায় বর্ণিত ক্রমানুসারে হাদিসের একবিংশ ও দ্বাবিংশ প্রকার শায ও মাকলুব। এ প্রকারের সম্পর্ক সনদ ও মতন উভয়ের সাথে।
শায হাদিস
شاذ শব্দটি شذوذ থেকে গৃহীত, যার অর্থ একাকী, বিচ্ছিন্ন, দলছুট ও নীতি মুক্ত। হাদিসে এসেছে:
«لا يَجْمَعُ اللَّهُ هَذِهِ الأُمَّةَ عَلَى الضَّلالَةِ أَبَدًا، وَيَدُ اللَّهِ عَلَى الْجَمَاعَةِ فَمَنْ شَذَّ شَذَّ فِي النَّارِ».
“আল্লাহ এ উম্মতকে কখনো গোমরাহির উপর একত্র করবেন না, আর জামাতের উপর আল্লাহর হাত রয়েছে, অতএব যে দলছুট বা বিচ্ছিন্ন হল, সে জাহান্নামে ছিটকে পড়ল”।[1]
‘শায’ এর পারিভাষিক সংজ্ঞা প্রসঙ্গে লেখক রাহিমাহুল্লাহ্ বলেন: “একাধিক সেকাহ রাবির বিপরীত একজন সেকাহ রাবির বর্ণনাকে শায বলা হয়”। লেখক রাহিমাহুল্লাহ্ সেকার বিপরীত ملأ শব্দ ব্যবহার করেছেন, যার অর্থ কওমের নেতৃবৃন্দ ও প্রধান ব্যক্তিবর্গ, যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
﴿ قَالَ ٱلۡمَلَأُ ٱلَّذِينَ ٱسۡتَكۡبَرُواْ مِن قَوۡمِهِۦ لَنُخۡرِجَنَّكَ يَٰشُعَيۡبُ وَٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ مَعَكَ مِن قَرۡيَتِنَآ أَوۡ لَتَعُودُنَّ فِي مِلَّتِنَاۚ قَالَ أَوَلَوۡ كُنَّا كَٰرِهِينَ ٨٨ ﴾ [الاعراف: ٨٧]
“তার কওম থেকে যে নেতৃবৃন্দ অহংকার করেছিল তারা বলল, ‘হে শু‘আইব, আমরা তোমাকে ও তোমার সাথে যারা ঈমান এনেছে তাদেরকে অবশ্যই আমাদের জনপদ থেকে বের করে দেব অথবা তোমরা আমাদের ধর্মে ফিরে আসবে’। সে বলল, ‘যদিও আমরা তা অপছন্দ করি তবুও?”[2]
হাদিস শাস্ত্রে ملأ বা প্রধান ব্যক্তিবর্গ হলেন অধিক সেকাহ রাবিগণ, যাদের আদালত ও দ্বাবত সবার নিকট স্বীকৃত। তাদের একজনকেও ملأ বলা হয়, কারণ তার আদালত, স্মৃতি শক্তি ও যথাযথ হাদিস সংরক্ষণ করা, তার নিম্নপর্যায়ের একাধিক রাবির আদালত, স্মৃতি শক্তি ও যথাযথ হাদিস সংরক্ষণ করা অপেক্ষা শ্রেষ্ঠতর ও অধিক নির্ভুল। এ জন্য একলা ইবরাহিম ‘আলাইহিস সালামকে উম্মত বলা হয়েছে, অথচ উম্মত অর্থ একটি জাতি। ইরশাদ হচ্ছে:
﴿ إِنَّ إِبۡرَٰهِيمَ كَانَ أُمَّةٗ قَانِتٗا لِّلَّهِ حَنِيفٗا وَلَمۡ يَكُ مِنَ ٱلۡمُشۡرِكِينَ ١٢٠ ﴾ [النحل: ١٢٠]
“নিশ্চয় ইবরাহীম ছিলেন এক উম্মত, আল্লাহর একান্ত অনুগত ও একনিষ্ঠ। তিনি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন না”।[3] অতএব সেকাহ রাবি অপেক্ষাকৃত কম সেকাহ রাবির বিবেচনায় ملأ বা জামাত। লেখক রাহিমাহুল্লাহ্ এখানে একশব্দ দ্বারা শাযের দু’প্রকারকে নির্দেশ করে যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখেছেন। সেকাহ রাবি যদি অধিক সেকাহ বা একাধিক সেকাহ রাবির বিরোধিতা করে, তাহলে তার বর্ণিত হাদিস শায।
হাফেয ইব্ন হাজার রাহিমাহুল্লাহ্ শাযের সংজ্ঞায় বলেন:
"مخالفة المقبول لمن هو أولى منه" (النزهة:صـ98)
“মাকবুল রাবির তার চেয়ে উত্তম রাবির বিরোধিতা করা শায”।[4] এখানে মাকবুল দ্বারা উদ্দেশ্য সহি ও হাসান হাদিসের রাবি, আর উত্তম দ্বারা উদ্দেশ্য এক বা একাধিক সেকাহ রাবি। অর্থাৎ মাকবুল রাবি একাধিক মাকবুল কিংবা অধিক সেকাহ রাবির বিরোধিতা করলে তার হাদিস শায।
বিরোধিতা দ্বারা উদ্দেশ্য:
মানযুমার ব্যাখ্যাকার সুলাইমানি রহ. বলেন: “বিরোধিতার অর্থ শব্দের বৃদ্ধি, যাতে অতিরিক্ত অর্থ রয়েছে। মকবুল রাবির হাদিসে যদি সেকাহ রাবির তুলনায় অতিরিক্ত শব্দ থাকে তাই শায। উভয়ের মাঝে সমন্বয় করা সম্ভব হোক বা না-হোক। এটা বিজ্ঞ মুহাদ্দিসদের অভিমত।
কেউ বলেন: সেকাহ রাবির হাদিস যদি মকবুল রাবির হাদিসের সাথে পুরোপুরি সাংঘষির্ক হয়, তাহলে মকবুল রাবির হাদিস শায, নচেৎ নয়। এ কথা ঠিক নয়। এ সংজ্ঞা মোতাবেক শাযের উদাহরণ পাওয়া দুষ্কর। ফকিহ ও মুহাদ্দিসদের নিকট এমন শায নেই যার সাথে মাহফুযের সমন্বয় করা সম্ভব নয়। ‘ইলালের উপর লিখিত গ্রন্থসমূহ দেখলে অনুমিত হয় যে, তারা এমন অনেক বৃদ্ধির উপর শাযের বিধান আরোপ করেছেন, যেখানে মূল বর্ণনার সাথে তার কোনো বিরোধ নেই, বরং কতক শায মূল হাদিসের সম্পূরক, তবুও তারা শায বলেছেন, যেমন কুকুরে চাটা পাত্রকে পবিত্র করার হাদিসে فَلْيُرِقْهُ শব্দের বৃদ্ধিকে মুহাদ্দিসগণ শায বলেছেন”।[5] ইমাম মুসলিম রাহিমাহুল্লাহ্ বর্ণনা করেন:
وحَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ السَّعْدِيُّ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، أَخْبَرَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ أَبِي رَزِينٍ وَأَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا وَلَغَ الْكَلْبُ فِي إِنَاءِ أَحَدِكُمْ، فَلْيُرِقْهُ، ثُمَّ لِيَغْسِلْهُ سَبْعَ مِرَارٍ » وحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيل بْنُ زَكَرِيَّاءَ، عَنِ الأَعْمَشِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ، وَلَمْ يَقُلْ: فَلْيُرِقْهُ
এ হাদিসে ইমাম মুসলিমের উস্তাদ আলি ইব্ন হুজর আসসা‘য়েদি; তার উস্তাদ আলি ইব্ন মুসহির; তার উস্তাদ আ‘মাশ; তার উস্তাদ আবু রাযিন ও আবু সালেহ; তার উস্তাদ সাহাবি আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু। তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
«إِذَا وَلَغَ الْكَلْبُ فِي إِنَاءِ أَحَدِكُمْ، فَلْيُرِقْهُ، ثُمَّ لِيَغْسِلْهُ سَبْعَ مِرَارٍ»
“যখন তোমাদের কারো পাত্র কুকুর চাটে, সে যেন তাতে যা আছে তা ঢেলে ফেলে দেয়, অতঃপর সাতবার তা ধুয়ে নেয়”। এ হাদিসের অপর সনদে মুসলিমের উস্তাদ: মুহাম্মদ ইব্ন সাব্বাহ; তার উস্তাদ ইসমাইল ইব্ন যাকারিয়্যা; তার উস্তাদ আ‘মাশ; অতঃপর সনদ পূর্ববৎ, কিন্তু আ‘মাশ থেকে ইসমাইল ইব্ন যাকারিয়্যা فَلْيُرِقْهُ শব্দ বলেননি।[6]
‘আ‘মাশে’র দু’জন ছাত্র: আলি ইব্ন মুসহির ও ইসমাইল ইব্ন যাকারিয়্যা। তাদের থেকে সনদ দু’ভাগ হয়েছে। মুসলিম বলেন: দু’জনের সনদ ও হাদিস হুবহু এক, তবে ইসমাইল فَلْيُرِقْهُ শব্দ বৃদ্ধি করেননি, যা আলি ইব্ন মুসহির বৃদ্ধি করেছেন। উভয়ের হাদিসে পার্থক্য শুধু এখানেই।
আলি ও ইসমাইল উভয়ে সমপর্যায়ের রাবি, তবে ইসমাইলের অনেক মুতাবে‘ ও অনুসারী হাদিস রয়েছে, যা আলি ইব্ন মুসহিরের পক্ষে নেই, স্বয়ং মুসলিম ইসমাইলের স্বপক্ষে তিনটি মুতাবে‘ উল্লেখ করেছেন, যেগুলোয় فَلْيُرِقْهُ শব্দের বৃদ্ধি নেই, যথা:
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ: قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِذَا شَرِبَ الْكَلْبُ فِي إِنَاءِ أَحَدِكُمْ، فَلْيَغْسِلْهُ سَبْعَ مَرَّاتٍ»
“তোমাদের কারো পাত্রে যখন কুকুর পান করে, সে যেন তা সাতবার ধৌত করে”।[7]
দ্বিতীয় মুতাবি‘:
وحَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيل بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ حَسَّانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «طَهُورُ إِنَاءِ أَحَدِكُمْ، إِذَا وَلَغَ فِيهِ الْكَلْبُ، أَنْ يَغْسِلَهُ سَبْعَ مَرَّاتٍ، أُولَاهُنَّ بِالتُّرَابِ»
“তোমাদের কারো পাত্রে যখন কুকুর চাটে, তার পবিত্রতা হচ্ছে পাত্রটিকে সাতবার ধোয়া, প্রথমবার মাটি দ্বারা”।[8]
তৃতীয় মুতাবি‘:
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ، قَالَ: هَذَا مَا حَدَّثَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ، عَنْ مُحَمَّدٍ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَذَكَرَ أَحَادِيثَ مِنْهَا، وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «طَهُورُ إِنَاءِ أَحَدِكُمْ، إِذَا وَلَغَ الْكَلْبُ فِيهِ، أَنْ يَغْسِلَهُ سَبْعَ مَرَّاتٍ»
“তোমাদের কারো পাত্রের পবিত্রতা, যখন কুকুর তাতে চাটে, পাত্রটিকে সাতবার ধোয়া”।[9]
চতুর্থ মুতাবি‘: ইমাম বুখারি রাহিমাহুল্লাহ্ বর্ণনা করেন:
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الْأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِذَا شَرِبَ الْكَلْبُ فِي إِنَاءِ أَحَدِكُمْ فَلْيَغْسِلْهُ سَبْعًا»
“যখন কুকুর তোমাদের কারো পাত্রে পান করে, সে যেন তা সাতবার ধৌত করে”।[10]
এখানে ইসমাইল ইব্ন যাকারিয়্যার অনুসারী চারটি মুতাবে‘ বা অনুসারী হাদিস দেখলাম, কেউ আলি ইব্ন মুসহিরের ন্যায় فَلْيُرِقْهُ শব্দের বৃদ্ধি করেননি।
হাফেয ইব্ন হাজার বলেন: “ইমাম নাসায়ি বলেন: আমাদের জানা মতে এ হাদিসে فَلْيُرِقْهُ শব্দ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে আলি ইব্ন মুসহিরের কোনো মুতাবে‘ বা অনুসারী হাদিস নেই। হামযাহ আল-কিনানি বলেন: ‘আলি ইব্ন মুসহিরের হাদিস মাহফুয নয় [অর্থাৎ শায], ইব্ন আব্দুল বার রাহিমাহুল্লাহ্ বলেন: ‘আ‘মাশে’র হাফেয ছাত্র শু‘বা ও আবু মু‘আবিয়া এ শব্দ বৃদ্ধি করেননি। ইব্ন মানদাহ বলেন: আলি ইব্ন মুসহির ব্যতীত কোনো সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে এ শব্দের বৃদ্ধি জানা যায়নি”।[11]
আমরা ইব্ন হাজার রাহিমাহুল্লাহু থেকে জানলাম যে, মুহাদ্দিসগণ আলি ইব্ন মুসহিরের বৃদ্ধিকে শায বলেছেন, অথচ উভয় বর্ণনায় কোনো বৈপরীত্য নেই। দ্বিতীয়ত কুকুরে চাটা পাত্র পবিত্র করার পূর্বে পানি ফেলে দেওয়া জরুরি, যা فَلْيُرِقْهُ শব্দের অর্থ, কারণ কুকুরে চাটা বস্তু পাত্রে রেখে পবিত্র করা সম্ভব নয়, তবুও فَلْيُرِقْهُ শব্দের বৃদ্ধিকে আলেমগণ শায বলেছেন। অতএব আমাদের নিকট প্রমাণিত হল যে, মাকবুল রাবি যদি একাধিক সেকাহ কিংবা তার চেয়ে উত্তম রাবির বিপরীত কোনো শব্দ বৃদ্ধি করেন, যার অতিরিক্ত অর্থ রয়েছে তাই শায, যেমন এখানে আলি ইব্ন মুসহির বর্ণিত فَلْيُرِقْهُ শব্দ শায।
এ উম্মতের প্রথম যুগের আলেমগণ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের মুখ নিঃসৃত বাণীকে হুবহু সংরক্ষণ করার জন্য কি পরিমাণ চেষ্টা ও শ্রম ব্যয় করেছেন, দেখলে অবাক লাগে। দীনের দুশমন এবং ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর শত্রু ব্যতীত কেউ উম্মতের প্রথম যুগের মনীষীদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে না।
আজান পরবর্তী দো‘আয়إِنَّكَ لا تُخْلِفُ الْمِيعَادَ বৃদ্ধি শায:
قال الإمام البخاري -رحمه الله- في صحيحه- حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَيَّاشٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعَيْبُ بْنُ أَبِي حَمْزَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ قَالَ حِينَ يَسْمَعُ النِّدَاءَ، اللَّهُمَّ رَبَّ هَذِهِ الدَّعْوَةِ التَّامَّةِ وَالصَّلَاةِ الْقَائِمَةِ آتِ مُحَمَّدًا الْوَسِيلَةَ وَالْفَضِيلَةَ وَابْعَثْهُ مَقَامًا مَحْمُودًا الَّذِي وَعَدْتَهُ، حَلَّتْ لَهُ شَفَاعَتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ»
আমরা এ সনদে দেখছি: ইমাম বুখারির উস্তাদ আলি ইব্ন ‘আইয়াশ; তার উস্তাদ শু‘আইব ইব্ন আবু হামযাহ; তার উস্তাদ মুহাম্মদ ইব্ন মুনকাদির; তার উস্তাদ সাহাবি জাবের ইব্ন আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: যে কেউ আযান শ্রবণ করার পর বলল:
«اللَّهُمَّ رَبَّ هَذِهِ الدَّعْوَةِ التَّامَّةِ وَالصَّلَاةِ الْقَائِمَةِ آتِ مُحَمَّدًا الْوَسِيلَةَ وَالْفَضِيلَةَ وَابْعَثْهُ مَقَامًا مَحْمُودًا الَّذِي وَعَدْتَهُ»
কিয়ামতের দিন আমার সুপারিশ তার জন্য অবধারিত হয়ে গেল”।[12]
قال الإمام الترمذي –رحمه الله- حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَهْلِ بْنِ عَسْكَرٍ الْبَغْدَادِيُّ، وَإِبْرَاهِيمُ بْنُ يَعْقُوبَ، قَالَا: حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَيَّاشٍ الْحِمْصِيُّ، حَدَّثَنَا شُعَيْبُ بْنُ أَبِي حَمْزَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ قَالَ حِينَ يَسْمَعُ النِّدَاءَ: اللَّهُمَّ رَبَّ هَذِهِ الدَّعْوَةِ التَّامَّةِ وَالصَّلَاةِ الْقَائِمَةِ آتِ مُحَمَّدًا الْوَسِيلَةَ وَالْفَضِيلَةَ وَابْعَثْهُ مَقَامًا مَحْمُودًا الَّذِي وَعَدْتَهُ إِلَّا حَلَّتْ لَهُ الشَّفَاعَةُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ».
এ সনদে দেখছি ইমাম তিরমিযির উস্তাদ দু’জন: মুহাম্মদ ইব্ন সাহাল ইব্ন আসকার বাগদাদি ও ইবরাহিম ইব্ন ইয়া‘কুব;[13] অতঃপর সাহাবি পর্যন্ত ইমাম বুখারি ও তার সনদ পূর্ববৎ। ইমাম তিরমিযি (মৃ.২৫৬হি.) ও ইমাম বুখারি (মৃ.২৫৬হি.) উভয়ে সমবয়সী ও এক যুগের, তবে তিরমিযি ছিলেন ছাত্র ও বুখারি ছিলেন উস্তাদ। এ হাদিস ইমাম তিরমিযি ইমাম বুখারি ব্যতীত অপর দু’উস্তাদ মুহাম্মদ ইব্ন সাহাল ও ইবরাহিম ইব্ন ইয়াকুব থেকে নিয়েছেন।
قال الإمام أبو داود –رحمه الله- حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَيَّاشٍ، حَدَّثَنَا شُعَيْبُ بْنُ أَبِي حَمْزَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ قَالَ حِينَ يَسْمَعُ النِّدَاءَ: اللَّهُمَّ رَبَّ هَذِهِ الدَّعْوَةِ التَّامَّةِ وَالصَّلَاةِ الْقَائِمَةِ، آتِ مُحَمَّدًا الْوَسِيلَةَ وَالْفَضِيلَةَ وَابْعَثْهُ مَقَامًا مَحْمُودًا الَّذِي وَعَدْتَهُ، إِلَّا حَلَّتْ لَهُ الشَّفَاعَةُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ»
এ সনদে দেখছি ইমাম আবু দাউদ (মৃ২৭৫হি.) এর উস্তাদ ইমাম আহমদ ইব্ন মুহাম্মদ ইব্ন হাম্বল রাহিমাহুল্লাহ্ (মৃ২৪১হি.);[14] তারপর থেকে বুখারি, তিরমিযি ও আবু দাউদের সনদ পূর্ববৎ।
قال الإمام النسائي –رحمه الله- أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ مَنْصُورٍ، قال: حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَيَّاشٍ، قال: حَدَّثَنَا شُعَيْبٌ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ جَابِرٍ، قال: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ قَالَ حِينَ يَسْمَعُ النِّدَاءَ: اللَّهُمَّ رَبَّ هَذِهِ الدَّعْوَةِ التَّامَّةِ وَالصَّلَاةِ الْقَائِمَةِ، آتِ مُحَمَّدًا الْوَسِيلَةَ وَالْفَضِيلَةَ وَابْعَثْهُ الْمَقَامَ الْمَحْمُودَ الَّذِي وَعَدْتَهُ، إِلَّا حَلَّتْ لَهُ شَفَاعَتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ»
এ সনদে দেখছি ইমাম নাসায়ির উস্তাদ আমর ইব্ন মানসুর;[15] তারপর থেকে বুখারি, তিরমিযি, আবু দাউদ ও নাসায়ির সনদ পূর্ববৎ।
قال الإمام ابن ماجة –رحمه الله- حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، وَالْعَبَّاسُ بْنُ الْوَلِيدِ الدِّمَشْقِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ أَبِي الْحُسَيْنِ، قَالُوا: حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَيَّاشٍ الْأَلْهَانِيُّ، حَدَّثَنَا شُعَيْبُ بْنُ أَبِي حَمْزَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ، قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ قَالَ حِينَ يَسْمَعُ النِّدَاءَ: اللَّهُمَّ رَبَّ هَذِهِ الدَّعْوَةِ التَّامَّةِ، وَالصَّلَاةِ الْقَائِمَةِ، آتِ مُحَمَّدًا الْوَسِيلَةَ وَالْفَضِيلَةَ، وَابْعَثْهُ مَقَامًا مَحْمُودًا الَّذِي وَعَدْتَهُ، إِلَّا حَلَّتْ لَهُ الشَّفَاعَةُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ»
এ সনদে দেখছি ইব্ন মাজাহ রাহিমাহুল্লাহর উস্তাদ তিনজন: মুহাম্মদ ইব্ন ইয়াহইয়া, আব্বাস ইব্ন ওয়ালিদ দিমাশকি ও মুহাম্মদ ইব্ন আবুল হুসাইন;[16] তারপর থেকে বুখারি, তিরমিযি, আবু দাউদ, নাসায়ি ও ইব্ন মাজার সনদ পূর্ববৎ। সবার সনদে আলি ইব্ন আইয়াশ আছেন। তারা ব্যতীত ইব্ন খুযাইমাহ, ইব্ন হিব্বান ও অনেক মুহাদ্দিস অভিন্নভাবে হাদিসটি বর্ণনা করেছেন।[17]
ইমাম বায়হাকি রাহিমাহুল্লাহ্ (মৃ.৪৫৮হি.) সুনানে সাগির গ্রন্থে তাদের সবার বিরোধিতা করে বর্ণনা করেন:
قال الإمام البيهقي –رحمه الله- في السنن الصغير- أَخْبَرَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ، وَأَبُو نَصْرٍ أَحْمَدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ أَحْمَدَ الْفَامِيُّ، قَالا: ثنا أَبُو الْعَبَّاسِ مُحَمَّدُ بْنُ يَعْقُوبَ، ثنا مُحَمَّدُ بْنُ عَوْفٍ، ثنا عَلِيُّ بْنُ عَيَّاشٍ، ثنا شُعَيْبُ بْنُ أَبِي حَمْزَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ قَالَ حِينَ يَسْمَعُ النِّدَاءُ: اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ بِحَقِّ هَذِهِ الدَّعْوَةِ التَّامَّةِ وَالصَّلاةِ الْقَائِمَةِ آتِ مُحَمَّدًا الْوَسِيلَةَ وَالْفَضِيلَةَ، وَابْعَثْهُ الْمَقَامَ الْمَحْمُودَ الَّذِي وَعَدْتَهُ إِنَّكَ لا تُخْلِفُ الْمِيعَادَ حَلَّتْ لَهُ شَفَاعَتِي».
এ হাদিসে দো‘আর শেষে إِنَّكَ لا تُخْلِفُ الْمِيعَادَ অতিরিক্ত রয়েছে।[18] অথচ তার সনদেও আলি ইব্ন আইয়াশ আছেন, যার পর থেকে সবার সনদ পূর্ববৎ।
আলি ইব্ন আইয়াশের ছাত্রগণ:
১. ইমাম বুখারি;
২. মুহাম্মদ ইব্ন সাহাল ইব্ন আসকার বাগদাদি ও ইবরাহিম ইব্ন ইয়াকুব, তাদের ছাত্র ইমাম তিরমিযি;
৩. আহমদ ইব্ন মুহাম্মদ ইব্ন হাম্বল, তার ছাত্র ইমাম আবু দাউদ;
৪. আমর ইব্ন মানসুর, তার ছাত্র ইমাম নাসায়ি;
৫. মুহাম্মদ ইব্ন ইয়াহইয়া, আব্বাস ইব্ন ওয়ালিদ দিমাশকি ও মুহাম্মদ ইব্ন আবুল হুসাইন, তাদের ছাত্র ইমাম ইব্ন মাজাহ;
৬. মুসা ইব্ন সাহাল রামলি, তার ছাত্র ইব্ন খুযাইমাহ;
৭. মুহাম্মদ ইব্ন ইয়াহইয়া, তার ছাত্র ইব্ন খুযাইমাহ, তার ছাত্র ইব্ন হিব্বান। তারা কেউ আযান পরবর্তী দো‘আয় إِنَّكَ لا تُخْلِفُ الْمِيعَادَ বৃদ্ধি বর্ণনা করেননি।
তাদের সবার বিরোধিতা করে ‘আলি ইব্ন ‘আইয়াশের অপর ছাত্র মুহাম্মদ ইব্ন ‘আউফ إِنَّكَ لا تُخْلِفُ الْمِيعَادَ বৃদ্ধি করেছেন, যদিও তিনি সেকাহ ও নির্ভরযোগ্য। তার থেকে আবুল আব্বাস মুহাম্মদ ইব্ন ইয়া‘কুব, তার থেকে হাকেম আবু আব্দুল্লাহ ও আবু নাসর আহমদ ইব্ন আলি ইব্ন আহমদ আল-ফামি এবং তাদের থেকে ইমাম বায়হাকি বর্ণনা করেছেন। অতএব বায়হাকির বর্ণনা শায ও গায়রে মাহফুয। এখানে বৃদ্ধি ঘটেছে ‘আলি ইব্ন ‘আইয়াশের ছাত্র মুহাম্মদ ইব্ন ‘আউফ থেকে, কারণ তার দু’জন ছাত্র: আবুল আব্বাস ও হাকেম থেকে বায়হাকি অভিন্নভাবে বর্ণনা করেছেন। আল্লাহ ভালো জানেন।
আযান পরবর্তী দো‘আয় وَالدَّرَجَةَ الرَّفِيعَةَ বৃদ্ধি শায:
ইমাম নাসায়ির ছাত্র ইব্নু সুন্নি[19] (মৃ.৩৬৪হি.) তাদের সবার বিরোধিতা করে বর্ণনা করেন:
قال الإمام ابن السني –رحمه الله- حَدَّثَنَا أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَيَّاشٍ، حَدَّثَنَا شُعَيْبٌ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " مَنْ قَالَ حِينَ يَسْمَعُ النِّدَاءَ: «اللَّهُمَّ رَبَّ هَذِهِ الدَّعْوَةِ التَّامَّةِ، وَالصَّلاةِ الْقَائِمَةِ، آتِ مُحَمَّدًا الْوَسِيلَةَ وَالْفَضِيلَةَ وَالدَّرَجَةَ الرَّفِيعَةَ، وَابْعَثْهُ مَقَامًا مَحْمُودًا الَّذِي وَعَدْتَهُ، حَلَّتْ لَهُ الشَّفَاعَةُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ»
এ সনদে আযান পরবর্তী দো‘আয় وَالْفَضِيلَةَ শব্দের পর وَالدَّرَجَةَ الرَّفِيعَةَ বাক্যের বৃদ্ধি ঘটেছে। অথচ এ সনদেও ‘আলি ইব্ন ‘আইয়াশ আছেন, তার থেকে ‘আমর ইব্ন মানসুর, তার থেকে আবু আব্দুর রহমান, তথা ইমাম নাসায়ি। আমরা পূর্বে দেখেছি ইমাম নাসায়ি তার সুনান গ্রন্থে স্বীয় উস্তাদ ‘আমর ইব্ন মানসুর থেকে এ হাদিস বর্ণনা করেছেন, কিন্তু সেখানে وَالدَّرَجَةَ الرَّفِيعَةَ শব্দের বৃদ্ধি নেই। তাই আমরা নিশ্চিত ‘আলি ইব্ন ‘আইয়াশের ছাত্র ‘আমর ইব্ন মানসুর কিংবা তার ছাত্র ইমাম নাসায়ি থেকে বৃদ্ধি ঘটেনি, খুব সম্ভব ইব্ন সুন্নি থেকে এ বৃদ্ধি ঘটেছে। আল্লাহ ভালো জানেন।মুদ্দাকথা: ইব্ন সুন্নির বর্ণনা বায়হাকিসহ সকল মুহাদ্দিসের বিপরীত, অনুরূপ বায়হাকির বর্ণনা ইব্ন সুন্নিসহ সকল মুহাদ্দিসের বিপরীত, তাই তাদের বর্ণনা শায, যা একপ্রকার দুর্বল হাদিস; পক্ষান্তরে ইমাম বুখারি প্রমুখদের বর্ণনা মাহফুয ও সহি। অতএব আযানের দো‘আয় এ দু’টি শব্দ বৃদ্ধি করা দুরস্ত নয়।
>[2] [সূরা আরাফ: (৮৮)]
[3] [সূরা নাহাল: (১২৭)]
[4] আন-নুযহাহ: (পৃ.৯৮)
[5] আল-জাওয়াহিরুস সুলাইমানিয়াহ: (৩০২-৩০৩)
[6] মুসলিম: (২৭৯)
[7] মুসলিম: (২৮০)
[8] মুসলিম: (২৮১)
[9] মুসলিম: (২৮২)
[10] বুখারি: (১৭২)
[11] ফাতহুল বারি: (৩০১), জাওয়াহিরি থেকে নেয়া।
[12] বুখারি: (৬১৪), দো‘আর অর্থ: ‘হে আল্লাহ, এ পরিপূর্ণ আহ্বান ও প্রতিষ্ঠিত সালাতের প্রভু, আপনি মুহাম্মদকে উসিলা ও ফযিলত দান করুন এবং তাকে প্রশংসিত স্থানে অধিষ্ঠিত করুন, যার ওয়াদা আপনি করেছেন’।
[13] তিরমিযি: (২১১)
[14] আবু দাউদ: (৫২৯)
[15] সুনানুস সুগরা লিন নাসায়ি: (৬৮০), সুনানুল কুবরা লিন নাসায়ি (১৬৩০) ও (৯৪৮২)
[16] ইব্ন মাজাহ: (৭২২)
[17] ইব্ন খুযাইমাহ রহ. এর উস্তাদ মুসা ইব্ন সাহাল রামলি, তার উস্তাদ আলি ইব্ন আইয়াশ। ইব্ন হিব্বান রহ. এর উস্তাদ ইব্ন খুযাইমাহ‘ ; তার উস্তাদ মুহাম্মদ ইব্ন ইয়াহইয়া, তার উস্তাদ আলি ইব্ন ‘আইইয়াশ। সহি ইব্ন খুযাইমাহ‘ : (৪২১), সহি ইব্ন হিব্বান: (১৭২৩)
[18] সুনানুস সাগির লিল বায়হাকি: (১/৪০৯), হাদিস নং: (১৭৫৯), সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকি: (১৪৮)
[19] ‘আমালুল ইওয়াম ওয়াল লাইলাহ’: লি ইব্নুস সুন্নি: (৯৬)