লগইন করুন
বাসস্থানে বসবাসকারী লোকদের উপর ওয়াজিব হচ্ছে, মসজিদে গিয়ে জামাআতের সাথে ছালাত আদায় করা। যাদের আশে পাশেই মসজিদ পাওয়া যায়। মসজিদ নিকটে থাকা সত্বেও কোন ব্যক্তি বা দলের জন্য গৃহে নামায আদায় করা জায়েয নেই। তবে মসজিদ যদি দূরে হয়, ফলে আযান শুনতে না পায়, তবে বাড়িতে জামাআত করে নামায পড়তে কোন অসুবিধা নেই।
কিছু আলেমের কথার উপর ভিত্তি করে অনেক লোক এই মাসআলাটিতে উদাসীনতার পরিচয় দিচ্ছে। তারা বলে থাকেঃ জামাআতে নামায পড়ার উদ্দেশ্য হচ্ছে, নামাযের জন্য একদল লোকের একস্থানে সমবেত হওয়া। চাই তা মসজিদে হোক বা অন্য কোথাও। অতএব একদল লোক যদি নিজ বাড়িতেও জামাআতের সাথে নামায আদায় করে, তবে তো উদ্দেশ্য হাসিল হয়ে গেল- ওয়াজিব আদায় হয়ে গেল। কিন্তু এটি একটি ভ্রান্ত ধারণা। কেননা মসজিদে জামাআত প্রতিষ্ঠিত করা আবশ্যক। দলীলঃ নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন,
لَقَدْ هَمَمْتُ أَنْ آمُرَ بِالصَّلَاةِ فَتُقَامَ ثُمَّ آمُرَ رَجُلًا فَيُصَلِّيَ بِالنَّاسِ ثُمَّ أَنْطَلِقَ مَعِي بِرِجَالٍ مَعَهُمْ حُزَمٌ مِنْ حَطَبٍ إِلَى قَوْمٍ لَا يَشْهَدُونَ الصَّلَاةَ فَأُحَرِّقَ عَلَيْهِمْ بُيُوتَهُمْ بِالنَّارِ
“নিশ্চয় আমার ইচ্ছা হয়, নামাযের আদেশ দেই, নামায কায়েম করা হোক। তারপর এক ব্যক্তিকে আদেশ দেই সে লোকদের নিয়ে নামায কায়েম করবে। অতঃপর কাঠের বোঝা বহনকারী কিছু লোক নিয়ে আমি বের হই, এমন লোকদের উদ্দেশ্যে, যারা নামাযের জামাআতে উপস্থিত হয়নি। তারপর তাদেরকেসহ তাদের বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে দিব।” অথচ হতে পারে এই লোকেরা নিজ গৃহে নামায আদায় করেছে।
তাছাড়া গুটিকতক লোক একস্থানে সমবেত হয়ে নামায আদায় করলেই যদি জামাআতের প্রয়োজনীয়তা শেষ হয়ে যায়- মসজিদে যাওয়ার আবশ্যকতা না থাকে, তবে মসজিদ প্রতিষ্ঠারই বা দরকার কি!?
অতএব ঐ লোকদের উপর ওয়াজিব হচ্ছে, মসজিদে গিয়ে জামাআতের সাথে নামায আদায় করা। তবে যদি মসজিদ বেশী দূরে হয়, সেখানে যেতে কষ্ট হয়, তবে গৃহে নামায আদায় করতে কোন দোষ নেই।