লগইন করুন
عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَدِمَ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَبْيٌ فَإِذَا امْرَأَةٌ مِنَ السَّبْيِ قَدْ تَحَلَّبَ ثَدْيُهَا تَسْعَي إِذَا وَجَدَتْ صَبِيًّا فِي السَّبْيِ أَخَذَتْهُ فَأَلْصَقَتْهُ بِبَطْنِهَا وَأَرْضَعَتْهُ فَقَالَ لَنَا النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَتَرَوْنَ هَذِهِ طَارِحَةً وَلَدَهَا فِي النَّارِ قُلْنَا لَا وَهِيَ تَقْدِرُ عَلَى أَنْ لَا تَطْرَحَهُ فَقَالَ لَلَّهُ أَرْحَمُ بِعِبَادِهِ مِنْ هَذِهِ بِوَلَدِهَا-
ওমর (রাঃ) বলেন, একবার নবী করীম (ছাঃ)-এর নিকট কতক যুদ্ধবন্দী আসল। দেখা গেল একটি স্ত্রী লোকের দুধ ঝরে পড়ছে আর সে শিশু অন্বেষণে দৌড়াদৌড়ি করছে। হঠাৎ সে বন্দীদের মধ্যে একটি শিশু পেল এবং তাকে কোলে টেনে নিল ও দুধ পান করাল। তখন নবী করীম (ছাঃ) আমাদেরকে বললেন, তোমাদের কি মনে হয় এই স্ত্রী লোকটি নিজের ছেলেকে আগুনে নিক্ষেপ করতে পারে? সে যখন অন্যের সন্তানের প্রতি এত দয়া দেখায়, তখন নিজের সন্তানকে কি আগুনে নিক্ষেপ করতে পারে? আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! কখনো না, সে তার সন্তানকে আগুনে নিক্ষেপ করতে পারে না। রাসূল (ছাঃ) বললেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ তাঁর বান্দার প্রতি এই স্ত্রী লোকের সন্তানের প্রতি দয়া অপেক্ষা অধিক দয়াবান’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/২৩৭০; বাংলা মিশকাত হা/২২৬০)। এ হাদীছ দ্বারা বুঝা গেল আল্লাহ কত বড় দয়ালু। কাজেই এত দয়াশীল আল্লাহ সহজে তাঁর বান্দাকে জাহান্নামে দিবেন না। আমরা এ ব্যাপারে বড় আশাবাদী।
عَنْ جَابِرٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا يُدْخِلُ أَحَدًا مِنْكُمْ عَمَلُهُ الْجَنَّةَ وَلَا يُجِيرُهُ مِنَ النَّارِ وَلَا أَنا إِلا برحمةِ الله».
জাবিরcবলেন, রাসূলুল্লাহaবলেছেন, তোমাদের কাউকে তার আমল জান্নাতে পৌঁছাতে পারবে না এবং তাকে জাহান্নাম হতেও বাঁচাতে পারবে না, এমন কি আমাকেও নয়, আল্লাহর রহমত ছাড়া (মুসলিম, মিশকাত হা/২৩৭২)।
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ اللهَ كَتَبَ الْحَسَنَاتِ وَالسَّيِّئَاتِ فَمَنْ هَمَّ بِحَسَنَةٍ فَلَمْ يَعْمَلْهَا كَتَبَهَا اللهُ لهُ عندَهُ حَسَنَة كَامِلَة فَإِن هم بعملها كَتَبَهَا اللهُ لَهُ عِنْدَهُ عَشْرَ حَسَنَاتٍ إِلَى سَبْعِمِائَةِ ضِعْفٍ إِلَى أَضْعَافٍ كَثِيرَةٍ وَمَنْ هَمَّ بِسَيِّئَةٍ فَلَمْ يَعْمَلْهَا كَتَبَهَا اللهُ عِنْدَهُ حَسَنَةً كَامِلَةً فَإِن هُوَ هَمَّ بِعَمَلِهَا كَتَبَهَا اللهُ لَهُ سَيِّئَةَ وَاحِدَةً.
ইবনু আববাসcবলেন, রাসূলুল্লাহaবলেছেন, আল্লাহ পাপ পূণ্য সম্পর্কে নির্ধারণ করে রেখেছেন, যে ব্যক্তি পূণ্যের সংকল্প করে আর তা সম্পাদন না করে, আল্লাহ তার জন্য তাকে নিজের নিকট একটি পূর্ণ পূণ্যরূপে লিখেন। আর যদি তার সংকল্প করে, অতঃপর তা সম্পাদন করে, আল্লাহ্ তার জন্য তাকে দশ গুণ হতে সাতশত গুণ বরং বহুগুণ পর্যন্ত পুণ্যরূপে লিখেন। আর যে পাপের সংকল্প করে অতঃপর তা সম্পাদন না করে, আল্লাহ্ তার জন্য তাকে নিজের নিকট একটি পূর্ণ পুণ্যরূপে লিখেন। আর যদি সে তার সংকল্প করে অতঃপর তা সম্পাদন করে, আল্লাহ তার জন্য তাকে একটি মাত্র পাপরূপে লিখেন (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/২৩৭৪)।
عَنْ أَبِي أُمَامَةَ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: وَعَدَنِي رَبِّي أَنْ يُدْخِلَ الْجَنَّةَ مِنْ أُمَّتِي سَبْعِينَ أَلْفًا لَا حِسَابَ عَلَيْهِمْ وَلَا عَذَابَ مَعَ كُلِّ أَلْفٍ سَبْعُونَ أَلْفًا وَثَلَاثُ حَثَيَاتٍ مِنْ حَثَيَاتِ رَبِّي.
আবু উমামা (রাঃ) বলেন, আমি রাসূল (ছাঃ)-কে বলতে শুনেছি, আমার প্রতিপালক আমার সাথে এ ওয়াদা করেছেন যে, তিনি আমার উম্মতের মধ্য হতে সত্তর হাযার মানুষকে বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। তাদের কোন হিসাব এবং কোন শাস্তি হবে না। তারপর প্রত্যেক হাযারের সাথে আরো সত্তর হাযার এবং আমার প্রতিপালকের অঞ্জলী সমূহের তিন অঞ্জলী লোক জান্নাতে প্রবেশ করাবেন (আহমাদ, তিরমিযী, ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/৫৫৫৬, বাংলা মিশকাত হা/৫৩২২)।