লগইন করুন
আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ইবরাহীম (আঃ) তিনবার ব্যতীত জীবনে আর কখনো মিথ্যা বলেননি। তার দু’টি ছিল শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য। (১) তিনি তাদের কথার উত্তরে বলেছিলেন, আমি অসুস্থ। (২) তাঁর দ্বিতীয় কথাটি ছিল, বরং তাদের বড় মূর্তিটিই একাজ করেছে। (৩) আর একটি ছিল তাঁর নিজস্ব ব্যাপারে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, একদা ইবরাহীম (আঃ) ও তাঁর স্ত্রী সারা মিসরের এক অত্যাচারী শাসকের এলাকায় পৌঁছেন। তখন শাসককে খবর দেয়া হল যে, এখানে একজন লোক এসেছে, তাঁর সাথে আছে একজন অতীব পরমা সুন্দরী নারী। রাজা তখন ইবরাহীমের কাছে লোক পাঠাল। সে তাকে জিজ্ঞেস করল যে, বাদশাহ জানতে চেয়েছেন, এ রমণী কে? ইবরাহীম (আঃ) বললেন, সে আমার বোন। অতঃপর তিনি সারার কাছে আসলেন এবং তাকে বললেন, হে সারা! তুমি আমাকে মিথ্যুক প্রমাণ কর না। আমি তাদেরকে বলেছি, তুমি আমার বোন। যদি এ অত্যাচারী শাসক জানতে পারে যে, তুমি আমার স্ত্রী, তাহলে সে তোমাকে আমার নিকট হতে জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিবে। অতএব যদি সে তোমাকে জিজ্ঞেস করে, তাহলে তুমি বলিও যে, তুমি আমার বোন। মূলতঃ তুমি আমার দ্বীনী বোন। আমি ও তুমি ছাড়া এ মাটির উপর কোন মুমিন নেই। এবার রাজা সারার নিকট (তাকে আনার জন্য) লোক পাঠাল। সারাকে উপস্থিত করা হল। অপর দিকে ইবরাহীম (রাঃ) ছালাত আদায়ের জন্য দাঁড়ালেন। সারা যখন রাজপ্রাসাদে প্রবেশ করলেন, রাজা তখন তাকে ধরার জন্য হাত বাড়ালো। তখনই সে আল্লাহর গযবে পাকড়াও হল। অন্য বর্ণনায় রয়েছে- তখন তার দম বন্ধ হয়ে গেল। এমনকি অজ্ঞান হয়ে মাটির উপর পায়ের আঘাত করতে লাগল। অত্যাচারী শাসক নিজের অবস্থা বেগতিক দেখে সারাকে বলল, আমার জন্য আল্লাহর কাছে দো‘আ কর, আমি তোমার ক্ষতি করব না। তখন সারা তার জন্য আল্লাহর কাছে দো‘আ করলেন। ফলে সে বিপদ থেকে মুক্তি পেল। অতঃপর সে দ্বিতীয় বার ধরার জন্য হাত বাড়াল। তখন সে পূর্বের ন্যায় কিংবা আরো কঠিনভাবে পাকড়াও হল। এবারও সে বলল, আমার জন্য দো‘আ কর, আমি তোমার কোন ক্ষতি করব না। তখন সারা আবারো তার জন্য আল্লাহর কাছে দো‘আ করলেন। ফলে সে মুক্তি পেল। এরপর সে রাজা তার একজন দারোয়ানকে ডেকে বলল, তোমরা তো আমার কাছে কোন মানুষকে আননি, বরং তোমরা আমার কাছে এনেছ একজন শয়তান। তারপর সে সারার খেদমতের জন্য হাজেরা নামক একজন রমণী দান করলো। অতঃপর সারা ইবরাহীমের কাছে ফিরে আসলেন। এসময় তিনি ছালাতে দাঁড়িয়ে ছিলেন। ছালাতের মধ্যেই হাতের ইশারায় সারাকে জিজ্ঞেস করলেন, ঘটনা কি হল? সারা বললেন, আল্লাহ কাফেরের কুপরিকল্পনাকে তার উপরই নিক্ষেপ করেছেন। সে আমার খেদমতের জন্য হাজেরাকে দান করেছে। হাদীছটি বর্ণনার পর আবু হুরায়রা (রাঃ) বললেন, হে আকাশের পানির সন্তান! অর্থাৎ আরববাসীগণ এ হাজেরাই তোমাদের আদী মাতা (বুখারী, বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৫৪৬০)। অত্র হাদীছদ্বয় দ্বারা হাজেরার ঈমানের দৃঢ়তা এবং ঈমানের দাবী কেমন হতে পারে, তা বুঝা যায়।
সাঈদ ইবনু জুবাইর (রাঃ) হতে বর্ণিত, ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, নারী জাতি সর্বপ্রথম কোমরবন্দ বানানো শিখেছে ইসমাঈল (আঃ)-এর মায়ের নিকট থেকে। হাজেরা (আঃ) কোমরবন্দ লাগাতেন সারা (আঃ)-এর থেকে নিজের মর্যাদা গোপন রাখার জন্য। অতঃপর ইবরাহীম (আঃ) হাজেরা ও তাঁর শিশু ছেলে ইসমাঈল (আঃ)-কে সঙ্গে নিয়ে বের হলেন এ অবস্থায় যে, হাজেরা শিশুকে দুধ পান করাতেন। অবশেষে যেখানে কা‘বা ঘর অবস্থিত, ইবরাহীম (আঃ) তাঁদের উভয়কে সেখানে নিয়ে এসে মসজিদের উঁচু অংশে যমযম কুপের উপরে অবস্থিত একটি বিরাট গাছের নিচে তাদেরকে রাখলেন। তখন মক্কায় না ছিল কোন মানুষ, না ছিল কোনরূপ পানির ব্যবস্থা। পরে তিনি তাদেরকে সেখানেই রেখে গেলেন। আর এছাড়া তিনি তাদের নিকট রেখে গেলেন একটি থলের মধ্যে কিছু খেজুর এবং একটি মশকে কিছু পানি। অতঃপর ইবরাহীম (আঃ) ফিরে চললেন। তখন ইসমাঈল (আঃ)-এর মা পিছু পিছু আসলেন এবং বলতে লাগলেন, হে ইবরাহীম! আপনি কোথায় চলে যাচ্ছেন? আমাদেরকে এমন এক ময়দানে রেখে যাচ্ছেন, যেখানে না আছে কোন সাহায্যকারী আর না আছে কোন ব্যবস্থা। তিনি এ কথা তাকে বারবার বললেন। কিন্তু ইবরাহীম (আঃ) তাঁর দিকে তাকালেন না। হাজেরা তাঁকে বললেন, এর আদেশ কি আপনাকে আল্লাহ দিয়েছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ। হাজেরা বললেন, তাহলে আল্লাহ আমাদেরকে ধ্বংস করবেন না। অতঃপর তিনি ফিরে আসলেন। আর ইবরাহীম (আঃ)ও সামনে চললেন। চলতে চলতে যখন তিনি গিরিপথের বাঁকে পৌঁছলেন, যেখানে স্ত্রী ও সন্তান তাঁকে আর দেখতে পাচ্ছে না, তখন তিনি কা‘বা ঘরের দিকে মুখ করে দাঁড়ালেন। অতঃপর তিনি দু’হাত তুলে এ দো‘আ করলেন এবং বললেন, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমি আমার পরিবারের কতককে আপনার সম্মানিত ঘরের নিকট এক অনুর্বর উপত্যকায় রেখে যাচ্ছি, যাতে আপনার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে (ইবরাহীম ৩৭)। আর ইসমাঈলের মাতা ইসমাঈলকে স্বীয় স্তনের দুধ পান করাতেন এবং নিজে ঐ মশক থেকে পানি পান করতেন। অবশেষে মশকে যা পানি ছিল তা ফুরিয়ে গেল। তিনি নিজে তৃষ্ণার্ত হলেন এবং তাঁর শিশুপুত্রটিও তৃষ্ণায় কাতর হয়ে পড়ল। তিনি শিশুটির দিকে দেখতে লাগলেন। তৃষ্ণায় তার বুক ধড়ফড় করছে অথবা রাবী বলেন, সে মাটিতে পড়ে ছটফট করছে। শিশু পুত্রের এ করুণ অবস্থার প্রতি তাকানো অসহনীয় হয়ে পড়ায় তিনি সরে গেলেন। আর তাঁর অবস্থানের নিকটবর্তী পর্বত ‘ছাফা-কে একমাত্র তাঁর নিকটতম পর্বত হিসাবে পেলেন। অতঃপর তিনি তার উপর উঠে দাঁড়ালেন এবং ময়দানের দিকে তাকালেন। এদিকে সেদিকে তাকিয়ে দেখলেন, কোথাও কাউকে দেখা যায় কি-না? তিনি কাউকে দেখতে পেলেন না। তখন ‘ছাফা’ পর্বত থেকে নেমে পড়লেন। এমনকি যখন তিনি নিচু ময়দান পর্যন্ত পৌঁছলেন, তখন তিনি তাঁর কামিজের এক প্রান্ত তুলে ধরে একজন ক্লান্ত-শ্রান্ত মানুষের মত ছুটে চললেন। অবশেষে ময়দান অতিক্রম করে ‘মারওয়া’ পাহাড়ের নিকট এসে তার উপর উঠে দাঁড়ালেন। অতঃপর এদিকে সেদিকে তাকালেন, কাউকে দেখতে পান কি-না? কিন্তু কাউকে দেখতে পেলেন না। এমনিভাবে সাতবার দৌড়াদৌড়ি করলেন।
আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘বনী ইসরাঈলের কোন এক ব্যক্তি বনী ইসরাঈলের অপর ব্যক্তির নিকট এক হাজার দীনার ঋণ চাইল। তখন সে (ঋণদাতা) বলল, কয়েকজন সাক্ষী আন, আমি তাদের সাক্ষী রাখব। সে বলল, সাক্ষী হিসাবে আল্লাহই যথেষ্ট। তারপর ঋণদাতা বলল, তাহলে একজন যামিনদার উপস্থিত কর। সে বলল, যামিনদার হিসাবে আল্লাহই যথেষ্ট। ঋণদাতা বলল, তুমি সত্যিই বলেছ। এরপর নির্ধারিত সময়ে পরিশোধের শর্তে তাকে এক হাজার দীনার দিয়ে দিল। তারপর ঋণ গ্রহীতা সামুদ্রিক সফর করল এবং তার প্রয়োজন সমাধা করে সে যানবাহন খুঁজতে লাগল, যাতে সে নির্ধারিত সময়ের ভেতর ঋণদাতার কাছে এসে পৌঁছতে পারে। কিন্তু সে কোন যানবাহন পেল না। তখন সে এক টুকরো কাঠ নিয়ে তা ছিদ্র করল এবং ঋণদাতার নামে একখানা পত্র ও এক হাজার দীনার তার মধ্যে ভরে ছিদ্রটি বন্ধ করে সমুদ্র তীরে এসে বলল, হে আল্লাহ! তুমি তো জান, আমি অমুকের নিকট এক হাজার দীনার ঋণ চাইলে সে আমার কাছে যামিনদার চেয়েছিল। আমি বলেছিলাম, আল্লাহই যামিন হিসাবে যথেষ্ট। এতে সে রাযী হয়। তারপর সে আমার কাছে সাক্ষী চেয়েছিল, আমি বলেছিলাম, সাক্ষী হিসাবে আল্লাহই যথেষ্ট। তাতে সে রাযী হয়ে যায়। আমি তার ঋণ (যথাসময়ে) পরিশোধের উদ্দেশ্যে যানবাহনের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি, কিন্তু পাইনি। তাই আমি তোমার নিকট সোপর্দ করলাম। এই বলে সে কাষ্টখন্ডটি সমুদ্রে নিক্ষেপ করল। আর কাষ্ঠখন্ডটি সমুদ্রে প্রবেশ করল। অতঃপর লোকটি ফিরে গেল এবং নিজের শহরে যাওয়ার যানবাহন খুঁজতে লাগল। ওদিকে ঋণদাতা এই আশায় সমুদ্রতীরে গেল যে, হয়ত বা ঋণগ্রহীতা কোন নৌযানে করে তার মাল নিয়ে এসেছে। তার দৃষ্টি কাষ্ঠখন্ডটির উপর পড়ল, যার ভিতরে মাল ছিল। সে কাষ্টখন্ডটি তার পরিবারের জ্বালানীর জন্য বাড়ী নিয়ে গেল। যখন সে তা চিরল, তখন সে মাল ও পত্রটি পেয়ে গেল। কিছুদিন পর ঋণগ্রহীতা এক হাজার দীনার নিয়ে হাযির হল এবং বলল, আল্লাহর কসম! আমি আপনার মাল যথাসময়ে পৌঁছে দেয়ার উদ্দেশ্যে সব সময় যানবাহনের খোঁজে ছিলাম। কিন্তু আমি যে, নৌযানে এখন আসলাম, তার আগে আর কোন নৌযান পাইনি। ঋণদাতা বলল, তুমি কি আমার নিকট কিছু পাঠিয়েছিলে? ঋণগ্রহীতা বলল, আমি তো তোমাকে বললামই যে, এর আগে আর কোন নৌযান আমি পাইনি। সে বলল, তুমি কাঠের টুকরোর ভিতরে যা পাঠিয়েছিলে, তা আল্লাহ তোমার পক্ষ হতে আমাকে আদায় করে দিয়েছেন। তখন সে আনন্দচিত্তে এক হাজার দীনার নিয়ে ফিরে চলে এল’ (বুখারী হা/২২৯১, ‘কিতাবুল কিফালাহ’)।
আব্দুল্লাহ ইবনু ওমর (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, নবী (ছাঃ) বলেছেন, একবার তিন জন লোক পথ চলছিল, তারা বৃষ্টিতে আক্রান্ত হল। অতঃপর তারা এক পাহাড়ের গুহায় আশ্রয় নিল। হঠাৎ পাহাড় হতে এক খন্ড পাথর পড়ে তাদের গুহার মুখ বন্ধ হয়ে গেল। তখন তারা একে অপরকে বলল, নিজেদের কৃত কিছু সৎকাজের কথা চিন্তা করে বের কর, যা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য তোমরা করেছ এবং তার মাধ্যমে আল্লাহর নিকট দো‘আ কর। তাহলে হয়ত আল্লাহ তোমাদের উপর হতে পাথরটি সরিয়ে দিবেন। তাদের একজন বলতে লাগল, হে আল্লাহ! আমার আহবা-আম্মা খুব বৃদ্ধ ছিলেন এবং আমার ছোট ছোট সন্তানও ছিল। আমি তাদের ভরণ-পোষণের জন্য পশু পালন করতাম। সন্ধ্যায় যখন আমি বাড়ি ফিরতাম তখন দুধ দোহন করতাম এবং আমার সন্তানদের আগে আমার আহবা-আম্মাকে পান করাতাম। একদিন আমার ফিরতে দেরী হয় এবং সন্ধ্যা হওয়ার আগে আসতে পারলাম না। এসে দেখি তারা ঘুমিয়ে পড়েছেন। যখন আমি দুধ দোহন করলাম, যেমন প্রতিদিন দোহন করি। তারপর আমি তাঁদের শিয়রে (দুধ নিয়ে) দাঁড়িয়ে রইলাম। তাদেরকে জাগানো আমি পছন্দ করিনি এবং তাদের আগে আমার বাচ্চাদেরকে পান করানোও অসঙ্গত মনে করি। অথচ বাচ্চাগুলো দুধের জন্য আমার পায়ের কাছে পড়ে কান্নাকাটি করছিল। এভাবে ভোর হয়ে গেল। হে আল্লাহ! আপনি জনেন আমি যদি শুধু আপনার সন্তুষ্টির জন্যই এ কাজটি করে থাকি তবে আপনি আমাদের হতে পাথরটা খানিক সরিয়ে দিন, যাতে আমরা আসমানটা দেখতে পাই। তখন আল্লাহ পাথরটাকে একটু সরিয়ে দিলেন এবং তারা আসমান দেখতে পেল। দ্বিতীয় ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহ! আমার এক চাচাতো বোন ছিল। পুরুষরা যেমন মহিলাদেরকে ভালবাসে, আমি তাকে তার চেয়ে অধিক ভালবাসতাম। একদিন আমি তার কাছে চেয়ে বসলাম (অর্থাৎ খারাপ কাজ করতে চাইলাম) কিন্তু তা সে অস্বীকার করল যে পর্যন্ত না আমি তার জন্য একশ’ দীনার নিয়ে আসি। পরে চেষ্টা করে আমি তা যোগাড় করলাম (এবং তার কাছে এলাম)। যখন আমি তার দু’পায়ের মাঝে বসলাম (অর্থাৎ সম্ভোগ করতে তৈরী হলাম) তখন সে বলল, হে আল্লাহর বান্দা! আল্লাহকে ভয় কর। অন্যায়ভাবে মোহর (পর্দা) ছিঁড়ে দিয়ো না। (অর্থাৎ আমার সতীত্ব নষ্ট করো না) তখন আমি দাঁড়িয়ে গেলাম। হে আল্লাহ! আপনি জানেন আমি যদি শুধু আপনার সন্তুষ্টির জন্য এ কাজটি করে থাকি, তবে আপনি আমাদের জন্য পাথরটা সরিয়ে দিন। তখন পাথরটা কিছু সরে গেল। তৃতীয় ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহ! আমি এক ফারাক চাউলের বিনিময়ে একজন শ্রমিক নিযুক্ত করেছিলাম। যখন সে তার কাজ শেষ করল আমাকে বলল, আমার পাওনা দিয়ে দাও। আমি তাকে তার পাওনা দিতে গেলে সে তা নিল না। আমি তা দিয়ে কৃষি কাজ করতে লাগলাম এবং এর দ্বারা অনেক গরু ও তার রাখাল জমা করলাম। বেশ কিছু দিন পর সে আমার কাছে আসল এবং বলল, আল্লাহকে ভয় কর (আমার মজুরী দাও)। আমি বললাম, এই সব গরু ও রাখাল নিয়ে নাও। সে বলল, আল্লাহকে ভয় কর, আমার সাথে ঠাট্টা কর না। আমি বললাম, আমি তোমার সাথে ঠাট্টা করছি না, ঐ গুলো নিয়ে নাও। তখন সে তা নিয়ে গেল। হে আল্লাহ! আপনি জানেন, যদি আমি আপনার সন্তুষ্টি লাভের জন্য এ কাজটি করে থাকি, তবে পাথরের বাকীটুকু সরিয়ে দিন। তখন আল্লাহ পাথরটাকে সরিয়ে দিলেন (বুখারী হা/৩৪৬৫)।