লগইন করুন
অতঃপর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার ডানে সালাম প্ৰদান করতেন এ বলে- “আসসালামু আলাইকুম অরহমাতুল্লাহ” (এ পরিমাণ মাথা ঘুরাতেন যে) তাঁর ডান গালের শুভ্রতা দেখা যেত, বাম দিকেও সালাম প্রদান
করতেন— “আসসালামুআলাইকুম অরহমাতুল্লাহ” (এ পরিমাণ মাথা ঘুরাতেন যে) তাঁর বাম গালের শুভ্রতা দেখা যেত।[1] কখনো কখনো প্রথম সালামে এটুকু বৃদ্ধি করতেনঃ “অবারাকাতুহ”[2] আর ডানে “আসসালামুআলাইকুম অরহমাতুল্লাহ” বললে বামে কখনো কখনো এটুকু বলে ক্ষান্ত হতেন “আসসালামুআলাইকুম”[3] আবার কখনো কখনো একটিই সালাম প্ৰদান করতেন সম্মুখের দিকে ডান দিকে সামান্য একটু ধাবমান অবস্থায়।[4]
ছাহাবাগণ ডানে বামে সালাম ফিরানোর সময় তাদের হাত দ্বারা ইঙ্গিত করতেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে এরূপ করতে দেখে বলেছিলেনঃ
ما شأنكم تشيرون بأيديكم كأنها أذناب خيل شمس إذا سلم أحدكم فليلتفت إلى صاحبه ولا يومئ بيده (فلما صلوا معه أيضا لم يفعلوا ذلك) وفي رواية: إنما يكفي أحدكم أن يضع يده على فخذه ثم يسلم على أخيه من على يمينه وشماله
তোমাদের ব্যাপার কী, তোমরা তোমাদের হাত দ্বারা এভাবে ইঙ্গিত করছি যেন তা উশৃঙ্খল তেজস্বী ঘোড়ার লেজ?[5] যখন তোমাদের কেউ সালাম ফিরাবে সে যেন তার সাথীর দিকে দৃষ্টিপাত করে, হাত দ্বারা ইঙ্গিত না করে।” এরপর যখন তারা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে ছালাত আদায় করত তখন আর তারা তা করত না। অন্য বর্ণনায় এসেছেঃ তোমাদের যে কারো জন্য এতটুকু যথেষ্ট যে, সে তার উরুর উপর হাত রাখবে এবং ডানে বামে অবস্থিত তার ভাইকে সালাম প্রদান করবে।[6]
[2] আবু দাউদ, ইবনু খুযাইমাহ (১/৮৭/২) ছহীহ সনদে আব্দুল হক এটিকে ছহীহ প্রমাণ করেছেন তার “আহকাম” গ্রন্থে (৫৬/২)। অনুরূপভাবে নববী ও হাফিযী ইবনু হাজারও, আরো বর্ণনা করেছেন আব্দুর রাযযাক তার মুছানুনাফ গ্রন্থে (২/২১৯), আবু ইয়ালা তার মুসনাদ গ্রন্থে (৩/১২৫২), ত্ববারানী “কবীর” গ্রন্থে (৩/৬৭/২), আওসাত্ব গ্রন্থে (১/২৬০০/২), দারাকুতনী অন্য সূত্রে।
[3] নাসাঈ, আহমাদ ও সাররাজ ছহীহ সনদে।
[4] ইবনু খুযাইমাহ, বাইহাকী, যিয়া-“মুখতারাহ” গ্রন্থে, আব্দুল গনী মাকদিসী সুনান গ্রন্থে (২৪৩/১) ছহীহ সনদে, আহমাদ, ত্ববারানী “আউসাত্ব” গ্রন্থে, (৩২/২) যাওয়ায়েদুল মু’জামাইন থেকে, হাকিম বৰ্ণনা করে ছহীহ বলেছেন এবং যাহাবী ও ইবনুল মুলাককিন (২৯/১) তার সমর্থন করেছেন। আর এটি ইরওয়া গ্রন্থে (৩২৭নং) হাদীছের আওতায় উদ্ধৃত হয়েছে।
[5] شمس শব্দটি شموس শব্দের বহুবচন, যার অর্থ তেজস্বিতা ও উগ্রতাসম্পন্ন ঐ চঞ্চল পশু যে স্থির থাকে না।
[6] মুসলিম, আবু আওয়ানাহ, সাররাজ ও ইবনু খুযাইমাহ। জ্ঞাতব্যঃ ইবাযিয়াহরা (খারীজীদের একটি দল) এ হাদীছকে বিকৃত করেছে। তাদের মধ্যমণি (নেতা) তার অজ্ঞাত মুসনাদে এটিকে অন্য শব্দে বর্ণনা করেছেন। যাতে করে এটি দ্বারা তাকবীরের সাথে হাত উঠালে তাদের নিকট ছালাত বিনষ্ট হওয়ার পক্ষে দলীল গ্রহণ করতে পারে। তাদের অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন সায়ইয়াবীও, তারও প্রতিবাদ করা হয়েছে ভূমিকায়। তাদের বর্ণিত শব্দ বাত্বিল। এর বিশদ বর্ণনা রয়েছে “যাঈফাহ” গ্রন্থে (৬০৪৪)।