লগইন করুন
তিনি রাতের ছালাতে কখনো নীরবে এবং কখনো সরবে[2] কিরা’আত পড়তেন। তিনি ঘরে ছালাত আদায় কালে হুজরায় অবস্থিত লোক তাঁর কিরা’আত শুনতে পেত।[3] আর কখনো স্বীয় শব্দকে আরো উঁচু করতেন ফলে হুজরার বাহিরে অবস্থানরত লোকও তা শুনতে পেত।[4]
তিনি আবু বকর ও উমর (রাযিয়াল্লাহু আনহুম)-কে এরই (এভাবে পড়ারই) আদেশ প্রদান করেছেন। আর তা ঐ সময় আদেশ দিয়েছিলেন যখন তিনি এক রাত্রে বাহির হয়ে শুনতে পেলেন, আবু বকর নিচুস্বরে ছালাত পড়ছে আবার উমরের কাছ দিয়ে অতিক্রম করে শুনতে পেলেন, তিনি উচ্চৈঃস্বরে ছালাত পড়ছেন। অতঃপর তারা উভয়ে যখন নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর নিকট একত্রিত হলেন তখন নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ হে আবু বকর! আমি তোমার নিকট দিয়ে অতিক্রম করলাম তখন তুমি নিম্নস্বরে ছালাত পড়ছিলে? তিনি জবাব দিলেন- হে আল্লাহর রাসূল, আমি যার সাথে কানা-কানি করেছি তাকে শুনিয়েছি। উমর (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-কে বললেনঃ আমি (আজ রাত্রে) তোমার নিকট দিয়ে অতিক্রম করি তখন তুমি উচ্চৈঃস্বরে ছালাত পড়ছিলো? তিনি বললেন- হে আল্লাহর রাসূল, আমি তন্দ্রাচ্ছন্ন লোকদের জাগাই এবং শয়তানকে তাড়াই। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ হে আবু বকর! তোমার স্বর একটু উচু করবে, আর উমরকে বললেনঃ হে উমার! তোমার স্বর একটু নিচু করা।[5] তিনি বলতেন- প্রকাশ্যে কুরআন পাঠকারী প্রকাশ্যে ছাদাকা দাতার সমতুল্য, আর নীরবে কুরআন পাঠকারী গোপনে ছাদকাদাতার সমতুল্য।[6]
[2] বুখারী “আফ-আলুল ইবাদ” কিতাবে ও মুসলিম।
[3] আবু দাউদ, তিরমিযী, হাসান সনদে “শামাইল” গ্রন্থে। “হুজরা” বলতে এখানে বাড়ীর দ্বার প্রান্তে তার সংশ্লিষ্ট ঘরসমূহের একটি ঘর বুঝানো হয়েছে। হাদীছের মর্ম হচ্ছে এই যে, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) উচ্চস্বর এবং গোপন স্বরের মাঝামাঝি পন্থা অবলম্বন করতেন।
[4] নাসাঈ, তিরমিযী “শামাইল” গ্রন্থে এবং বাইহাকী “আদ-দালাইল” গ্রন্থে হাসান সনদে।
[5] ) আবু দাউদ, হাকিম, তিনি একে ছহীহ বলেছেন ও যাহাবী তাতে একমত পোষণ করেছেন।
[6] আবু দাউদ, হাকিম, তিনি একে ছহীহ বলেছেন ও যাহাবী তাতে একমত পোষণ করেছেন।