লগইন করুন
নামাযান্তে- সকলে মিলে সমস্বরে সূরা ফাতিহা, আয়াতুল কুরসী বা অন্যান্য যিকির করা বিদআত। কেননা নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এবং ছাহাবীদের (রাঃ) থেকে যেটা প্রমাণিত রয়েছে, তাঁরা ফরয নামায শেষ করে কিছুটা উঁচু আওয়াযে যিকির পাঠ করতেন। কিন্তু তাঁরা প্রত্যেকে ভিন্ন ভিন্নভাবে পাঠ করতেন। সমস্বরে নয়। অতএব ফরয নামাযানে- উঁচু কন্ঠে যিকির করা ছহীহ্ সুন্নাহ্ দ্বারা প্রমাণিত। আবদুল্লাহ্ বিন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন,
أَنَّ رَفْعَ الصَّوْتِ بِالذِّكْرِ حِينَ يَنْصَرِفُ النَّاسُ مِنَ الْمَكْتُوبَةِ كَانَ عَلَى عَهْدِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهم عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ كُنْتُ أَعْلَمُ إِذَا انْصَرَفُوا بِذَلِكَ إِذَا سَمِعْتُهُ
“নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর যুগে লোকেরা ফরয নামায শেষ করলে উঁচু কন্ঠে যিকির পাঠ করতেন। ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন, উঁচু কন্ঠের যিকির শুনলে আমি বুঝতাম লোকেরা নামায শেষ করেছেন।”
কিন্তু নামাযের পর উঁচু কন্ঠে বা নীচু কন্ঠে সূরা ফাতিহা পাঠ করার ব্যাপারে নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে কোন হাদীছ আমি জানি না। তবে ছহীহ্ হাদীছে প্রমাণিত হয়েছে, আয়াতুল কুরসী ও মুআব্বেযাতাইন (সূরা ফালাক ও নাস) পাঠ করা।