লগইন করুন
মানুষ তিনটি পর্যায় অতিক্রম করেঃ ১. অনুকরণ, ২. নির্বাচন ও পছন্দ, ৩. আবিষ্কার ও সৃষ্টি করার গুণ (সৃজনশীলতা)। অন্যের ব্যক্তিত্ব ও আচার-আচরণের অনুকরণ করা হয় হয়তবা যে ব্যক্তিকে অনুকরণ করা হচ্ছে তার প্রচণ্ড ভালোবাসার কারণে অথবা তার সাথে চরম সম্পর্ক থাকার কারণে। যখন অন্যের অনুকরণ চর্চা চরম আকারে করা হয়, যখন অনুকরণকারী অন্যের গলার স্বরেরও নকল করে অথবা অন্যের শারীরিক ভঙ্গিরও (অঙ্গভঙ্গিরও) অনুকরণ করে তখন আসলে সে যা করছে তা হলো তার নিজের ব্যক্তিত্বকে কবর দিচ্ছে।
আজকালকার তরুণদের দিকে তাকান, হাস্যকর মনে হলেও দেখতে পাবেন যে, তারা নামকরা লোকদেরকে তাদের হাটা-চলা, কথা বলা ও নড়াচড়াতেও অনুকরণ করছে। তাদের মূর্তিদের অনুকরণ করার খাতিরে তাদের সকল স্বভাব বৈশিষ্ট্য পরিত্যক্ত হয়। যদি তারা মহান বৈশিষ্ট্য ও মহান ব্যক্তিত্বকে অনুকরণ করতে থাকত তবে আমি তাদেরকে তা করতে সুপারিশ করতাম (তাদেরকে এ কাজ করার জন্য) প্রশংসা করতাম; কেননা, জ্ঞান অন্বেষণে, উদার ও মহৎ হতে বা সদাচরণ অর্জনকল্পে অন্যের অনুকরণ করা সত্যিই মহৎকাজ।
পূর্বে আমি যা বলেছি এখানে তার পুনরাবৃত্তি করতে বাধ্য হচ্ছি (আর তা হলো): আপনি এক অনন্য সত্তা এবং আল্লাহ্ আদম (আঃ)-কে সৃষ্টি করা থেকে নিয়ে এ পর্যন্ত কোন দু’জন লোককেও দেখতে হুবহু একই রকম করে সৃষ্টি করেননি।
“এবং তোমাদের ভাষায় ও রঙের বিভিন্নতা।” (৩০-সূরা আর রূমঃ আয়াত-১২)
তবে কেন আমরা অন্যান্য বিষয়ে, যেমন- বৈশিষ্ট ও মেধায় হুবহু একই রকম হতে চাই?
আপনার স্বরের সৌন্দর্য এর অনুপমতায় এবং আপনার চেহারার সৌন্দর্য আপনার জন্য এর নির্দিষ্ট হওয়ার মাঝেই।
“আর পাহাড়ের মাঝে রয়েছে নানা রঙের পথ (সেগুলো) সাদা, লাল ও মিশমিশে কালো।” (৩৫-সূরা ফাতিরঃ আয়াত-২৭)