লগইন করুন
যখন কারো মহান দৃঢ় ইচ্ছা থাকে, তখন সে আল্লাহর ইচ্ছায় পুণ্যের সুমহান উচ্চতায় আরোহণ করতে পারে। একজন মুসলমানের একটি চরিত্র এও যে, তার কেবলমাত্র উচ্চ ও মহৎ উদ্দেশ্য থাকে তাই নয়, বরং তার দৃঢ় ইচ্ছাও থাকে কেননা, দৃঢ় প্রত্যয় হলো জ্বালানিস্বরূপ, যা তাকে উচ্চতর গুণাবলির দিকে চালিত করে।
আল্লাহর ইচ্ছায় স্থির সংকল্প বা দৃঢ় সংকল্প আপনাকে মহাকল্যাণ বয়ে এনে দিবে। লোকজন আপনাকে এমন দেখতে পাবে যে নাকি শিখছে, ভালো কাজ করছে, উচ্চতর উদ্দেশ্যের জন্য কাজ করে যাচ্ছে অথবা মূলত যে নাকি সাফল্য অর্জন করছে। যা হোক, দৃঢ় প্রত্যয়কে ঔদ্ধত্যের সঙ্গে তালগোল পাকিয়ে ফেলার ভুলে পতিত হবেন না। এ দুয়ের মাঝে আসমান জমিন ফারাক বিদ্যমান। যার স্থির সংকল্প আছে সে প্রতিটি হারানো সুযোগের জন্য অনুতপ্ত হয় এবং সে জন্য সে তার লক্ষ্যে পৌঁছার জন্য অনবরত নিজেকে সম্মুখে চালিত করে। দৃঢ় সংকল্প বা পাকা নিয়ত ধাৰ্মিক, ন্যায়পরায়ণ ও একনিষ্ঠদের চরিত্র। পক্ষান্তরে, ঔদ্ধত্য হলো অসুস্থতা যা অত্যাচারী ও হতভাগাদের মাঝে প্রাধান্য বিস্তার করে (যারা অত্যাচারী, ফলে পরকালে হতভাগা তাদের প্রধান চরিত্র হলো ঔদ্ধত্য। -অনুবাদক)
স্থির সংকল্প মানুষকে উর্ধ্ব দিকে বহন করে নিয়ে যায়। অথচ উদ্ধত্য মানুষকে অধঃপতিত করে তাকে অপযশ ও কলঙ্কের গভীরতম প্রদেশে টেনে নিয়ে যায়। হে জ্ঞানী জ্ঞানপিপাসু ছাত্ররা! তোমরা যে পথে আছ, তাতে দৃঢ় ও দৃঢ় সংকল্প থাকো এবং ভয়ে পশ্চাৎপদ (পিছপা) হয়ে না।