লগইন করুন
[অর্থাৎ, শেষ রাতে নফল (অতিরিক্ত বা স্বেচ্ছাপ্রণোদিত) সালাত আদায় করুন। -অনুবাদক]
শেষ রাত্রে (যখন কোন মানুষ আপনাকে দেখে না) সালাতে দাঁড়ানো আপনার অন্তরে প্রশান্তি (এনে) দিবে। সহীহ হাদীসে বর্ণিত আছে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- “যে ব্যক্তি শেষ রাত্রে জেগে উঠে আল্লাহকে স্মরণ করল, তারপর অযু করে সালাত পড়ল সে চটপটে ও খুশিচিত্ত (পবিত্র চিত্ত) হয়ে গেল।”
انُوا قَلِيلًا مِّنَ اللَّيْلِ مَا يَهْجَعُونَ
“তারা রাতের সামান্য অংশেই নিদ্রা যেত।” (৫১-সূরা যারিয়াতঃ আয়াত-১৭)
وَمِنَ اللَّيْلِ فَتَهَجَّدْ بِهِ نَافِلَةً لَّكَ
“এবং রাতের কিছু অংশে এর (কুরআন তিলাওয়াতের) মাধ্যমে তাহাজ্জুদ সালাত আদায় করুন, যা আপনার জন্য নফল (অতিরিক্ত)।” (১৭-সূরা বনী ইসরাঈলঃ আয়াত-৭৯)
আবু দাউদ শরীফে একটি সহীহ হাদীসে ইঙ্গিত আছে যে, শেষরাতে তাহাজ্জুদ সালাত আদায়ের মাধ্যম শরীরের আসুস্থতা দূর হয়ে যায়।
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
ا تكن مثل فلان كان يقوم الليل فترك قيام الليل
“অমুক লোকের মতো হয়ো না যে নাকি রাতে দাড়িয়ে তাহাজ্জুদ সালাত পড়ত কিন্তু পরে তা ছেড়ে দিয়েছে।”
নিচের অংশটুকু আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে-
نِعْمَ الرَّجُلُ عَبْدُ اللَّهِ لَوْ كَانَ يَقُوْمُ مِنَ اللَّيْلِ
“আব্দুল্লাহ খুবই ভালো মানুষ। কিন্তু যদি সে রাতে তাহাজ্জুদ সালাত পড়ত তবে কতইনা ভালো হত!”
(উপরোক্ত হাদীস দুটি আরবী পুস্তকে একত্রে একটি হাদীস হিসেবে বর্ণিত আছে ও তার শুরুতে আছে-অর্থাৎ, يَا عَبدَ اللهِ হে আব্দুল্লাহ! ..
ধ্বংসশীল বস্তুর জন্য দুঃখ করবেন না; আল্লাহ ছাড়া এ বিশ্বজগতের সব কিছুই ধ্বংস হয়ে যাবে।
كُلُّ شَيْءٍ هَالِكٌ إِلَّا وَجْهَهُ
“তার সত্তা ছাড়া সব কিছুই ধ্বংস হয়ে যাবে।” (২৮-সূরা কাছাছঃ আয়াত ৮৮)
كُلُّ مَنْ عَلَيْهَا فَانٍ - وَيَبْقَىٰ وَجْهُ رَبِّكَ ذُو الْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ
“এর উপর (অর্থাৎ পৃথিবীর বুকে) যা কিছু আছে সবই ধ্বংসশীল। এবং তোমার মহা প্রতাপশালী ও মহাসম্মানিত প্রভুর সত্তাই শুধু চিরকাল টিকে থাকবেন।” (৫-সূরা আর রহমানঃ আয়াত-২৬-২৭)