লগইন করুন
ইব্রাহীম (আঃ)-কে যখন আগুনে নিক্ষেপ করা হয়েছিল তখন তিনি এ কালিমাحَسْبُنَا اللهُ وَنِعْمَ الْوَكِيلُ বলেছিলেন এবং এর ফলে আগুন তার জন্য শীতল ও শান্তিদায়ক হয়েছিল। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ওহুদের যুদ্ধে এ কালিমা পাঠ করেছিলেন আর তাই আল্লাহ তাকে বিজয়ী করেছিলেন। যখন ইব্রাহীম (আঃ)-কে অগ্নিকুণ্ডে নিক্ষেপ করা হয়েছিল তখন জিব্রাঈল (আঃ) এসে তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, “আমার কাছ থেকে আপনি কি কিছু চান?” ইব্রাহীম (আঃ) আত্মবিশ্বাসের সাথে উত্তর দিয়েছিলেন, “আপনার কাছ থেকে নয় বরং আল্লাহর কাছ থেকে চাই!”
মূসা (আঃ)-এর পিছন থেকে শক্ররা ধাওয়া করছে আর তার সামনে সাগর; এমন অবস্থায় তিনি বললেন-
كَلَّا إِنَّ مَعِيَ رَبِّي سَيَهْدِينِ
“(আমি ধ্বংস হব!) কক্ষনো নয়, নিশ্চয় আমার সাথে আমার প্রভু আছেন; তিনি আমাকে সঠিক পথ প্রদর্শন করবেন।” (২৬-সূৱা আশ শেয়ারা: আয়াত ৬২)
সাহাবীগণ বর্ণনা করেছেন যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন হিজরতের সময় (পথিমধ্যে) গুহাতে লুকিয়ে ছিলেন তখন আল্লাহর হুকুমে একটি কবুতর ও একটি মাকড়সা এসে গুহার মুখে তাদের বাসা বানিয়ে ফেলল, যা দেখে স্বাভাবিকভাবেই মনে হয়েছিল যে সে গুহাতে কোন লোক প্রবেশ করেনি। আর তাই কাফেররাও বলেছিল যে, “এ গুহাতে মুহাম্মদ প্রবেশ করেনি।”
যারা আল্লাহর প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস রাখেন আল্লাহ তাদেরকে রক্ষা করেন। বিখ্যাত আরব কবি আল্লামা বুসরী বলেছেন-
ظنوا الحمام وظنوا العنكبوت علــى ٭ خير البرية لم تنسج ولم تحــــــــــم
وقاية الله أغنت عن مضاعفـــــــــةٍ ٭ من الدروع وعن عالٍ من الأطـــــُم
“সকল সৃষ্টির সেরা সৃষ্টি যেখানে আছেন সেখানে কবুতর ও মাকড়সা বাসা বাঁধতে পারে কাফেররা এমনটা ধারণাও করতে পারেনি।
আল্লাহর রক্ষণাবেক্ষণ তাকে শক্ত বর্ম ও সুউচ্চ দুর্গ থেকে অমুখাপেক্ষী করে দিয়েছিল। (আল্লাহর হেফাজতের কারণে সেগুলোর কোন প্রয়োজন হয়নি)
বিখ্যাত আরব কবি (আহমদ) শাওকী বলেছেন-
وإذا العناية لاحظتك عيونُها ٭ نم فالمحوادث كلّهنَّ أمانُ
যখন আল্লাহর সাহায্যের দৃষ্টি তোমার উপর পড়ে তখন তুমি নিশ্চিন্তে ঘুমাও; কেন না তখন যা কিছু ঘটবে সবই নিরাপদ।”
“কেননা তুমি আমার নজরে আছ।” (৫২-সূরা আত তুরঃ আয়াত-৪৮)
“কেননা আল্লাহ হলেন উত্তম রক্ষক এবং তিনি সর্বাপেক্ষা করুণাময়।” (১২-সূরা ইউসুফঃ আয়াত-৬৪)