লগইন করুন
আমেরিকার ১৬তম প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন বলেছেন- “আমার নিকট যেসব বিদ্বেষপূর্ণ ও শক্ৰতাপূর্ণ চিঠি পাঠানো হয়েছে তা আমি কখনো পড়ে দেখেনি, আমি কখনো সেসব চিঠির খাম খুলে দেখিনি এবং সেগুলোর উত্তর দেয়ার ঝামেলা পোহাইনি, আমি যদি এসব বিষয় নিয়ে ব্যস্ত থাকতাম তবে আমার জনগণের জন্য কিছু করার সময় আমার থাকত না।”
فَأَعْرِضْ عَنْهُمْ
“অতএব, (তাদেরকে শাস্তি না দিয়ে বরং) তাদেরকে উপেক্ষা করুন।” (৪-সূরা আন নিসাঃ আয়াত-৬৩)
“অতএব, আপনি তাদেরকে সৌজন্যমূলক ক্ষমা করুন।” (১৫-সূরা হিজরঃ আয়াত-৮৫)
“অতএব, আপনি তাদেরকে উপেক্ষা করুন এবং বলুন ‘সালাম’।” (৪৬-সূরা আল আহকাফঃ আয়াত-৮৯)
দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময় আমেরিকার নৌ-বাহিনীর যিনি কমাণ্ডার ছিলেন তিনি খুবই মেধাবী ও রাশভারী লোক ছিলেন এবং ফলে তিনি উল্লেখযোগ্য খ্যাতি অর্জন করেন। যা হোক, তার অধিনস্থদের সাথে তাকে কাজ কারবার করতে হতো এর মধ্যে কিছু লোক এমন ছিল যারা তার প্রতি হিংসা-বিদ্বেষ পোষণ করত এবং তার পিছনে সর্বদা তাকে গালি-গালাজ করত ও তার সমালোচনা করত। আর ঘটনা যখন এমনই তখন তিনিও এ ব্যাপারে ভালোভাবেই জানতেন যে তারা তার সম্বন্ধে কী বলে। এ ব্যাপারে তিনি মন্তব্য করেন একথা বলে যে, “এখন আমার সমালোচনার প্রতি প্রতিরোধ ক্ষমতা সৃষ্টি হয়েছে। এখন আমি বয়স্ক হয়েছি এবং এ বিষয়ে অবগত আছি যে, কথা মাহাত্ম্যকে ধ্বংস করতে পারে না এবং শক্তিশালী বাধাও সৃষ্টি করতে পারে না।”
একজন আরব কবি বলেছেন- “(আমাকে মৌখিকভাবে আক্রমণ করে) কবির আমার কাছ থেকে কি প্রত্যাশ করে। অথচ আমি বয়সে চল্লিশের সীমা পেরিয়ে গেছি!”
একথা দাবি করা হয়েছে যে, ঈসা (আঃ) বলেছেন যে, “তোমার শক্রকে ভালবাস।”
এ কথার অর্থ এই যে, আপনার শক্রদেরকে আপনার সাধারণ ক্ষমা করা উচিত। এভাবেই আপনি প্রতিশোধ গ্রহণের আশংকা, ঘৃণা ও বিদ্বেষ থেকে মুক্ত হতে পারবেন।
“এবং তারাও যারা মানুষকে ক্ষমা করে; আর আল্লাহ তো অবশ্যই সৎকর্মশীলদের ভালোবাসেন।” (৩-সূরা আলে ইমরানঃ আয়াত-১৩৪)
মক্কা বিজয়ের পূর্বে যারা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে কষ্ট দিয়েছে ও তার অনেক ক্ষতি করেছে, মক্কার শাসনভার অধিকার করার পর আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে বলেছেন,
“তোমরা চলে যাও, কেননা তোমরা স্বাধীন।”
“আজ তোমাদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই।” (১২-সূরা ইউসুফ : আয়াত-৯২)
“যা অতীত হয়ে গেছে আল্লাহ্ তা ক্ষমা করে দিয়েছেন।” (৫-সূরা মায়িদাঃ আয়াত-৯৫)